1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিদেশ থেকে সন্তান দত্তক নিচ্ছেন জার্মানরা

৬ অক্টোবর ২০১০

একটি সময় ছিল যখন জার্মান নিঃসন্তান দম্পতিরা যে কোন এতিমখানা থেকে শিশু দত্তক নিতেন৷ ইদানিংকালের দম্পতিরা দত্তক নিতে চলে যাচ্ছেন বিদেশে৷ কখনো কখনো তাদের যুক্তি মেনে নেওয়ার মত৷

https://p.dw.com/p/PW90
বিদেশি বাবা-মা, বিদেশি বাচ্চাছবি: Debarati Mukherji

তবে অনেক কিছুই নির্ভর করছে কোথায়, কবে, কে বাচ্চা দিতে আগ্রহী৷ চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাচ্চা পাওয়া যায় না ৷ এর জন্য প্রয়োজন সময়ের, প্রস্তুতির৷

রাল্ফ বকস্টেট পেশায় আইনজীবী৷ বসবাস করেন কোলনের কাছে এসেন শহরে৷ বিবাহিত রাল্ফ খেলাধুলা পছন্দ করেন, তা নিয়ে মেতেও থাকেন৷ ১৫ বছর আগে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী জানতে পারেন, যে শারীরিক সমস্যার কারণে তাঁরা কখনোই সন্তান গ্রহণ করতে পারবেন না৷ তাই তাঁরা দত্তক নেওয়ার প্রতি আগ্রহী হন৷ চার বছর আগে তাঁরা দত্তক নেন একটি সন্তান, তবে সেই সন্তান জার্মান নয়, ভিন্ন দেশের৷

Adoption Ausland
নতুন বাচ্চাসহ বকস্টেট পরিবারছবি: Bockstedte

রাল্ফ জানান, জার্মানির আইন অনুযায়ী দত্তক শিশু এবং বাবা-মায়ের মধ্যে অন্তত ৪০ বছরের ব্যবধান থাকতে হবে৷ রাল্ফ এবং স্ত্রী তানিয়ার বয়স ৩৯৷ বয়সের ক্ষেত্রে তাঁরা বেশ তরুণ৷ এ জন্যই তাঁরা আগ্রহী হন জার্মানির বাইরে থেকে শিশু দত্তক নেওয়ার৷

তিনি আরো বলেন, ‘‘যদি জার্মান শিশু দত্তক নেওয়ার কথা ভাবি, তাহলে অন্তত আরো কয়েক বছর আমাদের অপেক্ষা করতে হত৷ আমাদের দেওয়া হত দশ বছরের কাছাকাছি কোন বাচ্চা৷ অথচ আমরা একটি শিশু চেয়েছি৷ যে শিশুটি মনে করবে আমিই বাবা, তানিয়াই মা৷''

Madonna Malawi Adoption
সন্তান দত্তক নিতে পিছিয়ে নেই তারকারাওছবি: AP

বকস্টেট পরিবার যে শিশুটি দত্তক নিয়েছে সেই শিশুটি কলম্বিয়ার৷ নাম মারিয়া৷ বলা প্রয়োজন, শিশু দত্তক নিতে নিঃসন্তান জার্মান দম্পতির প্রথম পছন্দ কলম্বিয়া৷

চার বছর বকস্টেট দম্পতি কলম্বিয়ায় ছিলেন৷ ফিরে আসেন মারিয়াকে কোলে নিয়ে৷ মারিয়া তার মায়ের অষ্টম সন্তান৷ ভাই বোনের মধ্যে মারিয়া হল চতুর্থ, যাকে দত্তক দেওয়া হল৷

শুধু কলম্বিয়া নয় রাশিয়া থেকেও জার্মান দম্পতিরা সন্তান দত্তক নেন৷ এদের সাহায্য করছে এডিএ এ্যাডাপশন এজেন্সি৷ দরিদ্র দেশ থেকে শিশু দত্তক নেওয়ার ওপর জোর দেয় সংস্থাটি৷ বিশেষ যে দেশে শিশুরা অভুক্ত অবস্থায় দিন কাটায়৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন