1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিন লাদেনের মৃত্যুবার্ষিকী

৯ জুলাই ২০১৩

খুব ঘটা করে কোথাও শোক দিবস হয়ত পালিত হবেনা, তবে অনেক দেশেই বড় উৎসব বা রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে থাকবে আতঙ্ক৷ আল-কায়েদার হামলার আতঙ্ক! বৃহস্পতিবার আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী৷

https://p.dw.com/p/18QDz
ছবি: AP

ওসামা বিন মোহাম্মদ বিন আওয়াদ বিন লাদেন৷ এত বড় নামে না চিনলেও লাদেন বললে চিনবেন না এমন প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ, সচেতন মানুষ কোথাও থাকতেই পারেনা৷ বিশ্বের যেখানে যে সন্ত্রাসী হামলাই হোক তার কথা মনে পড়বেই৷ আল-কায়েদার দিকে সন্দেহের আঙুল উঠলে সংগঠনটির জন্মদাতাকে মনে না পড়ে কি পারে? বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রই বলুন কিংবা এক হাজারেরও কম মানুষের ভূখণ্ড ভ্যাটিকান সিটি, লাদেনের মৃত্যুদিবসে আবার কোথাও মৃত্যুদূত হানা দেয় কিনা এ আতঙ্ক, এমন দুশ্চিন্তা থাকবেই৷

বিশেষ করে ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর থেকে বিন লাদেন মানেই মূর্তিমান আতঙ্ক৷ সেদিনই ছিনতাই করা দুটি বিমান গিয়ে আঘাত হেনেছিল নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে৷ টুইন টাওয়ারের ধুলোয় মিশে যাওয়া, অসংখ্য মানুষ নিহত-আহত হওয়ার চেয়েও বড় কথা হলো, ইতিহাসে ‘নাইন ইলেভেন' হিসেবে স্থান করে নেয়া দিনটি বিশ্ব রাজনীতিতেই নিয়ে এসেছে বড় পরিবর্তন৷ জঙ্গি হামলা হলেই যে সবার আগে আল-কায়েদা বা অন্য কোনো ইসলামি জঙ্গি সংগঠনের দিকে আঙুল তোলা হয় সেটা আগে এতটা ছিল না৷

Zerstörtes ehemaliges Anwesen von Osama Bin Laden in Abbottabad Pakistan
অ্যাবোটাবাদের সেই বাড়িছবি: picture alliance/dpa

বিন লাদেন কিন্তু আল-কায়েদা গড়ে এমন হামলায় জড়িয়ে পড়ে ২০০১-এর অনেক আগেই৷ সৌদি আরবের ধনাঢ্য পরিবারে জন্ম নেয়া এক তরুণ পাকিস্তানে চলে আসে আশির দশকে৷ আফগানিস্তান তখন সোভিয়েত ইউনিয়নের সমর্থনপুষ্ট নজীবুল্লাহ সরকারের শাসনে৷ লাদেন পাকিস্তানে গোপনে আশ্রয় নেয় সোভিয়েত সেনা দলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে, নজীবুল্লাহ সরকারের পতন ঘটাতে৷ সেই পাকিস্তানেই জীবনাবসান তার৷ আগে তার মাথার দাম ২৫ মিলিয়ন ডলার ঘোষণা করেও যুক্তরাষ্ট্র যাকে স্পর্শ করতে পারেনি, সেই ওসামা বিন লাদেনকে রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানে ঢুকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্রের এক বিশেষ বাহিনী৷ লাদেনের বয়স তখন ৫৪৷

পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে তিনি নিহত হওয়ার পরও অবশ্য বিশ্বে সন্ত্রাসী হামলা বন্ধ হয়ে যায়নি৷ আল-কায়েদাও নিশ্চিহ্ন বা বিলুপ্ত হয়নি৷

এসিবি/ডিজি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য