1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অ্যাক্টিভিস্টদের পাশে জার্মানি...

ভেরা টেলমান/এআই৬ আগস্ট ২০১৬

বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্লগার, সাংবাদিক এবং অ্যাক্টিভিস্টদের উপর সাম্প্রতিক সময়ে নানা ধরনের হামলা গোটা বিশ্বকে নাড়া দিয়েছে৷ এই বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে এক নতুন প্রচারণা শুরু করেছে ডয়চে ভেলে৷

https://p.dw.com/p/1JbZR
জার্মানির মানবাধিকার নীতি এবং মানবিক সহায়তা বিষয়ক কমিশনার ব্যার্বেল কফলার
মানবিক সহায়তা বিষয়ক কমিশনার ব্যার্বেল কফলারছবি: picture-alliance/dpa/B. von Jutrczenka

জার্মানির বন শহরে গত জুনে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামে এই প্রচারণার আওতায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়৷ প্রচারণাটির মাধ্যমে গোটা বিশ্বে বাকস্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে এবং পশ্চিমা দেশগুলোকে বিপদে থাকে অ্যাক্টিভিস্টদের আশ্রয় দেয়ার গুরুত্ব অনুধাবন করতে বলা হয়েছে৷

এই ফোরামে বাংলা ব্লগার এবং প্রকাশকদের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনাকালে জার্মানির কেন্দ্রীয় সরকারের মানবাধিকার নীতি এবং মানবিক সহায়তা বিষয়ক কমিশনার ব্যার্বেল কফলার জানান, তিনভাবে পশ্চিমা দেশগুলো বিপদে থাকা অ্যাক্টিভিস্টদের সহায়তা করতে পারে৷ তিনি বলেন, ‘‘‘ফ্রিডম অনলাইন কোয়ালিশনে' আরো ২৯টি দেশের সঙ্গে সহায়তা করছে জার্মানি৷ এই কোয়ালিশনের লক্ষ্য হচ্ছে অ্যাক্টিভিজমের সঙ্গে সম্পৃক্তদের সহায়তায় আন্তর্জাতিক ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করা৷''

দ্বিতীয়ত, ডিজিটাল যুগে গোপনীয়তার অধিকার সংক্রান্ত একটি ঘোষণাপত্র মানুষের কাছে পৌছে দেয়ার জন্য একজন বিশেষ প্রতিনিধি নিয়োগ করেছে জাতিসংঘ৷ রাজনীতিবিদ কফলারের ভাষায়, ‘‘জার্মানি ‘ওপেন অবজারভেটরি অফ নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস' নামক একটি সফটওয়্যারের জন্য অর্থায়ন করছে, যা কিনা ইন্টারনেটে সেন্সরশিপ, নজরদারি এবং ট্রাফিক মেনিপুলেশনের মতো বিষয়গুলো শনাক্ত করতে সক্ষম৷''

গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামে কফলারের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন প্রকাশক আহমেদুর রশীদ চৌধুরী এবং ব্লগার শাম্মি হক এবং অনন্য আজাদ৷ এঁরা সবাই বাংলাদেশি৷ হক এবং অনন্যকে জার্মানি রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে আর চৌধুরী আশ্রয় পেয়েছেন নরওয়েতে৷

২০১৫ সালে নিজের ব্যবসা এবং বাড়ি, যা তৈরিতে প্রায় বিশ বছর সময় লেগেছিল, ছেড়ে ইউরোপে চলে আসতে বাধ্য হন৷ তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে৷ খোলা চোখে মনে হতে পারে, এটি একটি গণতান্ত্রিক দেশ, যেখানে কোনো গৃহযুদ্ধ নেই, কোনো সমস্যা নেই৷ অথচ তারপরও ব্লগার এবং অন্যান্যদের ওপর হামলা হচ্ছে এবং অনেকেই খুন হচ্ছেন৷ এই অবস্থায় কিছু মানুষ নিজের বাড়িতে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন৷ কেউ কেউ পর্যটক ভিসা নিয়ে আশেপাশের দেশে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন৷ অবস্থা এমন যে, তাঁরা পুলিশের কাছে গেলে পুলিশ সহায়তা দেয়ার বদলে তাঁদের বিদেশে চেলে যেতে বলে৷ বলে বাংলাদেশ মুক্তমনাদের দেশ নয়৷''

দেশত্যাগ যেমন সহজ কোনো ব্যাপার নয়, তেমনি উগ্র ইসলামপন্থিদের কালো তালিকায় থাকা অনেক অ্যাক্টিভিস্টের জন্য খোলামেলা বাঁচাও সহজ নয়৷ ‘‘আমি সাতমাস আগে দেশত্যাগ করেছি৷ আমার কয়েকজন বন্ধুও তাঁদের পরিবারসহ ভারত এবং নেপালে চলে গেছে'', বলেন আজাদ৷ তবে তিনি মনে করেন, নির্বাসিত জীবনের সঙ্গে বাংলাদেশে তাঁর যে জীবন ছিল তার সঙ্গে তুলনা চলে না৷

হক, যিনি হত্যার হুমকি পাওয়ার পর বাংলাদেশ ত্যাগ করেন, যোগ করেন, ‘‘এখানে বসবাস করা খুবই কঠিন, কেননা আমি অনেক নিঃসঙ্গ বোধ করি৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান