বাংলাদেশের এইডস রোগীরা
২৫ অক্টোবর ২০১৪স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম চলতি বছর জুনের প্রথম সপ্তাহে সংসদকে জানান, ১৯৮৯ সাল থেকে গত বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে মোট ১,২৯৯ জন এইডস রোগী শনাক্ত করা হয়েছে৷
তিনি বলেন, এনজিও পরিচালিত ছয়টি কেন্দ্র থেকে সরকারি অর্থায়নে ক্রয় করা ‘অ্যান্টি-রেট্রোভাইরাল' বা এআরভি ওষুধ বিনামূল্যে এইডস রোগীদের প্রদান করা হচ্ছে৷ এছাড়া আটটি সরকারি হাসপাতালে সিডি-৪ সেন্টারের মাধ্যমে এইডস রোগীদের শারীরিক অবস্থা নির্ণয় করাসহ এ সব প্রতিষ্ঠানসমূহে রোগীদের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও ‘কাউন্সেলিং' সেবা দেয়া হচ্ছে৷
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য নিয়ে কথা হয় বেসরকারি সংস্থা ‘মুক্ত আকাশ বাংলাদেশ'-এর নির্বাহী পরিচালক এম এস মুক্তি-র সঙ্গে৷ এই সংস্থা সহ আরও দুটি প্রতিষ্ঠান – আশার আলো সোসাইটি ও কনফিডেনশিয়াল অ্যাপ্রোচ টু এইডস প্রিভেনশন (ক্যাপ) – বাংলাদেশের এইডস রোগীদের এআরভি ওষুধ দেয়া সহ অন্যান্য সেবা দিয়ে থাকে৷ সরকার ও ‘দ্য গ্লোবাল ফান্ড'-এর পক্ষ থেকে ওষুধ কেনার তহবিল পায় এই তিন সংস্থা৷
গত ১০ অক্টোবর ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মুক্তি দাবি করেন, সরকারি হাসপাতাল থেকে এখনও সেবা দেয়া শুরু হয়নি৷ ‘‘বার বার সময় বাড়িয়ে সবশেষ এই মাস (অক্টোবর) থেকে সেবা চালুর কথা থাকলেও এখনও হয়নি৷''
এর ফলে এইডস রোগীরা বিপদে পড়তে যাচ্ছেন বলে মনে করেন তিনি৷ কারণ, ‘‘সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হবে বলে গ্লোবাল ফান্ড আমাদের (তিন সংস্থা) এআরভি-র জন্য আর অর্থ দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে৷ গ্লোবাল ফান্ডের সঙ্গে এই ডিসেম্বরেই আমাদের চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে৷ এরপর রোগীরা কোথা থেকে কীভাবে এআরভি নেবেন সেটা কেউ বলতে পারছে না৷ সরকারেরও এতে মাথাব্যথা আছে বলে মনে হচ্ছে না৷''