1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিপর্যয়ের সময়ে প্রাণ বাঁচাতে পারদর্শী রোবট

১৭ মে ২০২১

বিপর্যয়ের সময় ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া মানুষের প্রাণ বাঁচাতে প্রতিটি মূহূর্তের দাম রয়েছে৷ উদ্ধারকর্মীদের সীমিত ক্ষমতার পরিপূরক হিসেবে একাধিক রোবট সেই কাজে তৎপর হয়ে উঠছে৷

https://p.dw.com/p/3tT9i
Griechenland Samos | Erdbeben
প্রতীকী ছবিছবি: Eurokinissi/AFP/Getty Images

৩৬টি জয়েন্ট থাকায় ‘স্নেক বট' বেশ নমনীয়৷ ফলে কঠিন বা দুর্গম জায়গায় চলাফেরা করতে অসুবিধা হয় না৷ এমনকি পাইপের মধ্য দিয়ে অথবা সিঁড়ি বেয়ে এগিয়ে চলার ক্ষমতাও তার আছে৷ বিপর্যয়ের সময়ে এমন সর্পিল রোবট মানুষের প্রাণ বাঁচাতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক দল সেটি তৈরি করেছে৷

রোবট ডেভেলপার হিসেবে ফুমিটোশি মাটসুনো বলেন, ‘‘প্রথমত এই রোবট এমন সব জায়গায় কাজে লাগানো হয়, যেখানে ঝুঁকির আশঙ্কায় মানুষ প্রবেশ করতে পারে না, অথবা যেখানে মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় রয়েছে৷ এই রোবটগুলি অক্সিজেন বা কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ মাপতে পারে৷ তারপর সাহায্যকারী দল পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়৷ এমন রোবট কাজে লাগানোর আরেকটি সম্ভাব্য পরিস্থিতি হলো যে সব জায়গা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে৷ রোবট সেখানে ঢুকে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে৷ অর্থাৎ এই সব রোবট মানুষের জন্য অসম্ভব বা বিপজ্জনক জায়গায় গিয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে৷''

বিপর্যয়ের সময়ে প্রাণ বাঁচায় যে রোবট

উদ্ধারকার্যের সময় এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ জাপানে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মারাত্মক ঝুঁকি থাকে৷ প্রায় প্রতিদিনই ভূমিকম্প হয়৷ তার উপর টাইফুন, সুনামি ও অগ্নুৎপাতও ঘটে৷ ১৯৯৫ সালে কোবে শহরে ভূমিকম্পের পর থেকে বিজ্ঞানীরা বিপর্যয় মোকাবিলার ক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তি প্রয়োগের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন৷ মাটসুনো বলেন, ‘‘আমি মূলত মহাকাশ অভিযানের জন্য রোবট তৈরি করতাম৷ তারপর গ্রেট হানশিন আওয়াচি ভূমিকম্পে আমার এক ছাত্রের মৃত্যুর পর আমি বিপর্যয়ের সময়ে ব্যবহারের উপযোগী রোবট নিয়ে গবেষণায় মন দিলাম৷''

এক কন্ট্রোলারের মাধ্যমে স্নেক রোবট চালনা করা হয়৷ সেটির মধ্যে একটি ক্যামেরা ও অনেক সেন্সরও রয়েছে৷ গবেষকদের নানা সম্ভাব্য পরিস্থিতির কথা ভাবতে হয়৷

জরুরি অবস্থায় জীবিত মানুষের খোঁজে রোবটটিকে পাইপের ভিতর অথবা বাইরের অংশ বেয়ে উপরে উঠতে হতে পারে৷ সেই ক্ষমতা তাই অত্যন্ত জরুরি৷ ফুমিটোশি মাটসুনো বলেন, ‘‘প্রথমদিকে আমি মানুষের উদ্ধারকার্যে রোবট তৈরির কথা ভেবেছিলাম৷ তারপর মত বদলালাম৷ বিশেষ করে শহরাঞ্চলে বিপর্যয় ঘটলে মানুষের অবস্থান নির্ণয় করা বড় চ্যালেঞ্জ৷ উদ্ধারকর্মীরা আন্দাজে এখানে-সেখানে মাটি খুঁড়ে মানুষের খোঁজ করেন৷ কিন্তু সেই মূল্যবান সময় নষ্ট হলে মানুষের প্রাণ যেতে পারে৷''

এই রোবটটিকেও শুধু উদ্ধারকার্যে সহায়তার জন্য তৈরি করা হয়েছে৷ চার পায়ের সাহায্যে সেটি মানুষের জন্য দুর্গম জায়গায়ও পৌঁছে যায়৷ বহুমূখী হাতের সাহায্যে এই রোবট দরজা খুলতে ও কোনো বস্তু তুলে আনতে পারে৷

এমন সব রোবট এখনো গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে৷ তবে অদূর ভবিষ্যতে সেগুলি বিপর্যয়ের সময়ে মানুষের প্রাণ বাঁচাতে পারবে৷

ডোরোটে গ্র্যুনার/এসবি