1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিমানবন্দরে স্বজনের জন্য অপেক্ষা

৫ মার্চ ২০১১

ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এখন ভিড় করছেন লিবিয়া প্রবাসীদের উদ্বিগ্ন আত্মীয়-স্বজন৷ তারা জানেন না লিবিয়া থেকে কখন ফিরে আসবেন তাদের স্বজন৷ অনেকেই হতাশ হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন৷

https://p.dw.com/p/10ToO
লিবিয়া-টিউনিশিয়া সীমান্তে বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার শ্রমিকরাছবি: dapd

লিবিয়া থেকে যারা ফিরছেন তারাও আসছেন নি:স্ব হয়ে৷ তাদের সামনে নেই কোন সুখবর৷ তারা জানান, লিবিয়ায় এখনো হাজার হাজার বাংলাদেশি আটকে পড়ে আছেন৷ তাদের ফিরিয়ে আনা না গেলে তাদের ভাগ্য কি হবে কেউ বলতে পারেনা৷

হালিমা বেগম বিমান বন্দরে অপেক্ষা করছেন গত ২ দিন ধরে৷ আশায় বুক বেঁধে আছেন, তার ছেলে তোফাজ্জল লিবিয়া থেকে ফিরে আসবেন৷ তাই প্রবাসীদের নিয়ে কোন বিমান আসার খবর পেলেই তিনি বিমান বন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কে এগিয়ে যান৷ খোঁজ নেন ৷ কিন্তু তার ছেলের দেখা মেলেনা৷ যারা ফিরে আসেন তাদের কাছেও জানতে চান তার ছেলের খোঁজ কেউ দিতে পারে কিনা৷ কোন খবর না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন৷

যারা ফিরে আসেন তারাও উদ্বিগ্ন লিবিয়ায় এখনো যেসব বাংলাদেশি আছেন তাদের জন্য৷ তাদের ভাষায়, তাদের ফিরিয়ে আনা না গেলে তারা ভয়াবহ অবস্থার শিকার হতে পারেন৷

গভীর রাত পর্যন্ত কয়েকটি বিমানে লিবিয়া থেকে টিউনিশিয়া এবং গ্রিসে আশ্রয় নেয়া আরো ৭০০ বাংলাদেশি ফিরে এসেছেন৷ তারা জানান, তাদের কষ্ট আর দুর্ভোগের কথা৷ এদের অনেকেই ভিটে মাটি বিক্রি করে লিবিয়া গিয়েছিলেন৷ কিন্তু ফিরেছেন নি:স্ব হয়ে৷ কেউ গেছেন ধার দেনা করে৷এখন কিভাবে দেশে জীবিকা নির্বাহ করবেন সেই চিন্তায় বিমান বন্দরে নেমেই তারা দিশেহারা৷ তাদের সবার অভিযোগ, তারা লিবিয়ায় বাংলাদেশি দূতাবাসের কোন সহযোগিতা পাননি৷ কেউ নেয়নি তাদের খোঁজ খবর৷

এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, লিবিয়ায় এখনো যারা আছেন তাদের সবাইকে সেখান থেকে ফিরিয়ে আনার সুযোগ কম৷ যারা প্রতিবেশী দেশের সীমান্তে যেতে পেরেছেন তাদের পর্যায়ক্রমে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার৷ তিনি জানান, গ্রিস ও টিউনিশিয়া সীমান্তে প্রায় ৩০ হাজার বাংলাদেশি এখন অবস্থান করছেন৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন ডয়চে ভেলে, ঢাকা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক