1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্বকাপে বারবার ফিরে আসবেন এক জার্মান

৩০ জুন ২০১৮

জার্মানি বিদায় নিলেও নক আউট-পর্বের শুরু থেকে ফাইনাল পর্যন্ত বিশ্বকাপে জার্মানির একটি অবদানকে স্মরণ করতেই হবে৷ যখনই ম্যাচ গড়াবে টাইব্রেকারে, মনে পড়বে জার্মানির কথা, শ্রদ্ধা জানাতেই হবে এক জার্মানকে৷

https://p.dw.com/p/30ZLP
UEFA EURO 2016 - Achtelfinale | Schweiz vs. Polen - Elfmeterschießen, Xhaka verschießt
ছবি: Reuters/M. Rossi

বিশ্বকাপে জার্মানি কখনো টাইব্রেকারে হারেনি৷ না, শুধু এ কারণে নয়, আরো বড় একটি কারণে ম্যাচের বন্ধ্যাত্ব ঘুচাতে যখনই টাইব্রেকারের প্রয়োজন দেখা দেবে, স্মরণে আসবেই জার্মানির অবদান৷ এই টাইব্রেকার যে ফুটবলকে জার্মানিরই দেয়া উপহার!

হ্যাঁ, ক্রিকেটে যেমন একসময় ৮, ৯ এমনকি ১০ দিন শেষেও ম্যাচে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হতো না, ফুটবলেও ছিল সেই সমস্যা৷ এমনও হয়েছে কোনো আসরের ফাইনাল ৯০ মিনিটে ফলাফল আসেনি, অতিরিক্ত সময় শেষে, অর্থাৎ ১২০ মিনিটেও খেলা ড্র৷ কী করা যায়? ঠিক হলো, আরেকদিন হবে ফাইনাল৷ হলো৷ সেদিনও একই অবস্থা৷ ১২০ মিনিট শেষেও ড্র৷ সেই অবস্থায় দাঁড়িয়ে সিদ্ধান্ত হলো, টস হবে৷ টসে যে জিতবে সে-ই চ্যাম্পিয়ন!

কিন্তু জার্মান রেফারি কার্ল ভাল্ড-এর বিষয়টি মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছিল৷ একটি দল ফুটবলীয় দক্ষতায় চুল পরিমাণ পিছিয়ে না থেকেও স্রেফ লটারির দুর্ভাগ্যে হার স্বীকারে বাধ্য হবে– এ কেমন কথা! তাঁর মাথায়ই প্রথম এসেছিল পেনাল্টি শুট আউট, অর্থাৎ টাইব্রেকারের মাধ্যমে জয়-পরাজয় নির্ধারণের বুদ্ধি৷ তাই ৪৮ বছর আগে ফ্রাঙ্কফুর্টের রেফারি ভাল্ড প্রস্তাবটি রেখেছিলেন বাভারিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কাছে৷ অনেক চিন্তা-ভাবনার পর অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা প্রস্তাবটিতে অনুমোদন দেন৷তারপর জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ডিএফবি)-র অনুমোদন পেতেও সময় লাগেনি৷

Deutschland Fußball Karl Wald Erfinder des Elfmeterschießens
যখনই টাইব্রেকারের প্রসঙ্গ আসবে কার্ল ভাল্ডকে স্মরণ করা হবেছবি: picture-alliance/dpa

আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রথম টাইব্রেকার দেখা যায় ১৯৭৬ সালে৷ সে বছরই ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে চেকোস্লোভাকিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল জার্মানি (তখন পশ্চিম জার্মানি)৷ টাইব্রেকারে জিতেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল চেকোস্লোভাকিয়া৷

ফিফা-ও সে বছরই টাইব্রেকারের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে নেয়৷ কিন্তু ১৯৭৮-এর বিশ্বকাপে টাইব্রেকারের প্রয়োজন পড়েনি৷ তাই বিশ্বকাপে প্রথম টাইব্রেকার দেখা যায় ১৯৮২-র আসরে৷ স্পেনে আয়োজিত সে আসরের সেই সেমিফাইনালেও জার্মানি ছিল৷ প্রতিপক্ষ ছিল ফ্রান্স৷ বলা বাহুল্য, জার্মানরা সেবার আর ভুল করেনি৷ টাইব্রেকারে জিতেই উঠে গিয়েছিল ফাইনালে৷ তারপর থেকে বিশ্বকাপ এবং ইউরোপীয় কোনো প্রতিযোগিতায় একবারও টাইব্রেকারে হারেনি জার্মানি৷

১৯৮২ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত বিশ্বকাপের নয় আসরে টাইব্রেকার হয়েছে মোট ২৬ বার৷ ফাইনালে টাইব্রেকার দেখা গেছে দু'বার৷ ১৯৯৪ সালে ইটালিকে টাইব্রেকারে হারিয়েই চতুর্থবার শিরোপা জিতেছিল ব্রাজিল৷ সেবার না থাকলেও ১৯৯০-এর ফাইনালে জার্মানি ছিল৷ প্রতিপক্ষ ছিল দিয়েগো মারাদোনার আর্জেন্টিনা৷ বলার অপেক্ষা রাখে না যে, টাইব্রেকারের অপ্রতিদ্বন্দ্বী ‘ডি মানশাফট'-এর কাছে হেরেই দেশে ফিরতে হয়েছিল মারাদোনাকে৷

এবার টাইব্রেকার-পর্ব শুরুর আগেই বিদায় নিয়েছে জার্মানি৷ ‘টাইব্রেকারের জনক' কার্ল ভাল্ড-ও নশ্বর এ পৃথিবী ছেড়েছেন ২০১১ সালে৷ তাতে কী! যখনই টাইব্রেকার হবে, জার্মানি আর জার্মানির প্রয়াত এক রেফারিকে মনে তো পড়বেই!

এসিবি/জেডএ (ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য