1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্বকাপে মাঠের নিরাপত্তায় পুলিশকেই নামতে হচ্ছে

১৬ জুন ২০১০

বিশ্বকাপের ম্যাচ স্টুয়ার্ডদের ধর্মঘট কাটাতে সব স্টেডিয়ামেই নামানো হচ্ছে পুলিশকে৷ বেশি বেতন আর অন্যান্য সুযোগসুবিধার দাবিতে তাঁরা ধর্মঘটের পথে পা দিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/Ns4S
এবার পুলিশকে সামলাতে হবে সবকিছুছবি: picture alliance/dpa

ম্যাচ স্টুয়ার্ডদের ধর্মঘট৷ সোমবার থেকে এই ধর্মঘট নিয়ে খানিকটা চিন্তাতেই ছিল আয়োজক দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা এবং বিশ্বকাপের আয়োজক সংস্থা ফিফা৷ ডারবান, পোর্ট এলিজাবেথ, এ্যালিস পার্ক আর জোহানেসবার্গ৷ প্রথমে বিশ্বকাপের চারটি প্রধান স্টেডিয়ামেই এই ধর্মঘটের ডাক দেয় ম্যাচ স্টুয়ার্ডরা৷ পরে অন্য সব জায়গাতেই৷ ম্যাচ চলাকালীন স্টেডিয়ামের অভ্যন্তরের অর্থাৎ মাঠের নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকে এই স্টুয়ার্ডদের কাঁধে৷ মাঠ মানেই খেলোয়াড়দেরও নিরাপত্তা৷ সেই গুরুদায়িত্ব পালন করার কাজ কিন্তু কম নয়৷

কিন্তু যে নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে এবারের চলতি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার ফুটবল সংস্থার চুক্তি হয়েছে, সেই ‘স্ট্যালিয়ন সিকিওরিটি কনসর্টিয়াম'-এর নিরাপত্তাকর্মীরা বা স্টুয়ার্ডরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন তাঁদের বেতন এবং অন্যান্য সুযোগসুবিধা বাড়ানোর দাবিতে৷ সোমবার বিষয়টি নিয়ে বেশ চিন্তাতেই পড়ে গিয়েছিল ফিফা৷ কিন্তু পরিস্থিতি সামলাতে এগিয়ে আসে দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশ৷ মঙ্গলবার রাতের ব্রাজিল বনাম উত্তর কোরিয়ার ম্যাচটার উদাহরণই দেওয়া যাক৷ খেলার জন্য তো বটেই, রাজনৈতিক দিক থেকেও কড়া নিরাপত্তার এই ম্যাচে কোনরকম সুযোগই নেয়নি পুলিশ৷ এ্যালিস পার্ক স্টেডিয়ামে এক হাজার অতিরিক্ত পুলিশকর্মী মোতায়েন করে রেখেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশবিভাগ৷ অবশ্য মঙ্গলবারের পর্তুগাল আইভরি কোস্টের খেলাতেও সেই পুলিশকেই মাঠে নামতে হয়েছিল নিরাপত্তা রক্ষা করতে নেলসন ম্যান্ডেলা বে স্টেডিয়ামে৷ পুলিশ জানাচ্ছে, কিছু ধর্মঘটি ম্যাচ স্টুয়ার্ড দাবিদাওয়ার পোস্টার ইত্যাদি নিয়ে মাঠ ছেড়ে না যাওয়ার হুমকিও দিয়েছে খেলার আগে৷ তবে পুলিশ তাদের বের করে দেয়৷

ফিফা কিন্তু আপাতত নিশ্চিত৷ ম্যাচ স্টুয়ার্ডদের ধর্মঘট সামলে যাওয়ার পর এ বিষয়ে আর মাথা ঘামানোর প্রয়োজন দেখছে না ফিফা৷ কিন্তু, চিন্তিত পুলিশ৷ এমনিতেই বহু দেশ থেকে নামজাদা ব্যক্তিত্বরা আসার পর তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশকে৷ তার ওপর মাঠের দায়িত্বও এখন সেই পুলিশের শক্ত কাঁধেই৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা : সঞ্জীব বর্মন