1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাইবার হামলায় অভিযুক্ত রাশিয়া

৪ অক্টোবর ২০১৮

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ‘বাছবিচারহীন ও বেপরোয়া’ সাইবার হামলার জন্য রুশ গোয়েন্দা সংস্থাকে দায়ী করেছে ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়া৷ তাদের অভিযোগ, হামলায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে পরিবহন ব্যবস্থা, ছাড় দেয়া হচ্ছেনা কিছুই৷

https://p.dw.com/p/35y0X
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Marchi

ব্রিটেন বলছে, বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মিডিয়া ও ক্রীড়াসংস্থায় অনলাইন আক্রমণের পেছনে যে রাশিয়ার সেনা গোয়েন্দা সংস্থা জিআরইউ রয়েছে, এ বিষয়ে তাঁরা নিশ্চিত৷

উদাহরণ হিসেবে ২০১৭ সালে ওডেসা বিমানবন্দর এবং কিয়েভের সাবওয়ে লক্ষ্য করে ব্যাডব়্যাবিট ব়্যানসমওয়্যার হামলা এবং একই বছর সুইজারল্যান্ডে ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সিতে হ্যাকিংয়ের চেষ্টার কথা উল্লেখ করা হয়েছে৷

এছাড়া, ২০১৬ সালে মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটির তথ্য হ্যাক করা এবং ২০১৫ সালে যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি টেলিভিশন স্টেশন থেকে ই-মেইল চুরির ঘটনায়ও রুশ গোয়েন্দারা জড়িত বলে অভিযোগ ব্রিটিশ ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার- এনসিএসসির৷

এরই মধ্যে এপিটি২৮, পন স্টর্ম, স্যান্ডওয়ার্ম, ফেন্সি বেয়ার এবং সোফাসি গ্রুপের মতো বেশকিছু হ্যাকিং গ্রুপ জিআরইউর সাথে সম্পৃক্ত বলে শনাক্ত করেছে ব্রিটিশ সংস্থাটি৷

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন জানিয়েছেন, ক্যানবেরার গোয়েন্দারাও ‘সন্দেহজনক সাইবার কার্যক্রমে’ মস্কোর সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছেন৷

দেশটির এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘রুশ সেনাবাহিনী এবং তাঁদের গোয়েন্দা সংস্থা- জিআরইউ এই ধরনের বিদ্বেষপূর্ণ সাইবার কার্যক্রমের জন্য দায়ী৷ রাশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ সাইবার স্পেসে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার অঙ্গীকার করেছে৷’’

‘বাছবিচারহীন ও বেপরোয়া’ ব্যবহার

বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘এই ধরনের কার্যক্রমে আন্তর্জাতিক আইন বা প্রচলিত নিয়মের তোয়াক্কা না করার মানসিকতা প্রতিফলিত হয়৷’’

তিনি বলেন, ‘‘জিআরইউর এমন কার্যক্রম বেপরোয়া ও বাছবিচারহীন৷ অন্য দেশের নির্বাচন প্রভাবিত করার চেষ্টা তো করেছেই, নিজ দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও নাগরিকের ক্ষতি করতেও তাঁরা প্রস্তুত৷’’ এসব আক্রমণে দেশটির জাতীয় অর্থনীতিতে কয়েক মিলিয়ন পাউন্ডের ক্ষতি সাধন করেছে বলেও অভিযোগ করেন হান্ট৷

তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ‘‘আমরা পরিষ্কার বার্তা দিতে চাই৷ আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বন্ধু রাষ্ট্রদের সাথে মিলে আমরা জিআরইউর সব কর্মকাণ্ড উন্মোচন করবো, জবাবও দেবো৷’’

বছরের শুরুর দিকে সাবেক রুশ গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপাল ও তাঁর মেয়েকে বিষপ্রয়োগে হত্যাচেষ্টায় রুশ গোয়েন্দাদের দায়ী করে আসছে যুক্তরাজ্য৷ এরপর থেকে যুক্তরাজ্য ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্কে বেশ তিক্ততা দেখা দিয়েছে৷ জিআরইউর হয়ে কাজ করার সময় রাশিয়ার গোপন তথ্য ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা– এমআইসিক্সের কাছে বিক্রি করছিলেন স্ক্রিপাল৷

রাশিয়া অবশ্য বরাবরই স্ক্রিপাল হত্যাচেষ্টায় সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে আসছে৷

এডিকে/এসিবি (এপি, রয়টার্স, এএফপি)