1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্বে সর্বাধিক বাঘ আসামের কাজিরাঙ্গা ন্যাশনাল পার্কে

৩ মে ২০১০

গত বৃহস্পতিবার গুয়াহাটিতে এই সংক্রান্ত সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ করেন আসামের বন ও পরিবেশ মন্ত্রী রকিউল হুসেন৷ তাতে বলা হয়েছে কাজিরাঙ্গা জঙ্গলের প্রতি ১০০ বর্গ কিলোমিটারে বাঘের সংখ্যা এখন ৩২-এর ওপরে যা বিশ্বে সর্বাধিক৷

https://p.dw.com/p/NCnC
রয়েল বেঙ্গল টাইগারছবি: AP

বিশ্ব বাঘের সংখ্যা যখন পড়তির দিকে তখন এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, আসামের কাজিরাঙ্গা ন্যাশানাল পার্ক নতুন আশা দেখিয়েছে৷ এই প্রতিবেদন যৌথভাবে তৈরি করেছে আরণ্যক নামে উত্তর-পূর্ব ভারতের জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ সংস্থা, আসামের বন দপ্তর ও কাজিরাঙ্গা জাতীয় পার্ক কর্তৃপক্ষ৷ বাঘের সংখ্যা গণনা পদ্ধতি কতটা প্রামাণিক সে সম্পর্কে আসামের বন্য প্রাণী ও অরণ্য সংরক্ষণ বিভাগের শীর্ষ অধিকর্তা এস.শান ডয়েচে ভেলেকে বলেন, পদ্ধতিটার নাম ক্যামেরা ট্র্যাপ৷ মানে জঙ্গলে ইনফ্রা-রেড ডিভাইসযুক্ত ক্যামেরা বসিয়ে রাখি৷ এই ইনফ্রা-রেড ক্যামেরার সামনে দিয়ে কোন বাঘ গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই তার ছবি উঠে যাবে৷ এই পদ্ধতি সারা বিশ্বে স্বীকৃত৷

Davidshirsch oder Milu in China
বাঘের খাদ্য নিরীহ হরিণছবি: picture-alliance/ dpa

আরণ্যক সংস্থার জীব বিজ্ঞানী এম. ফিরোজ আহমেদ যিনি এই বাঘ গণনা কাজে নেতৃত্ব দেন, তিনি আরো খোলসা করে বলেন, ক্যামেরা ট্র্যাপ পদ্ধতি নির্ভুল হবার কারণ হলো দুটো বাঘের গায়ের ডোরা কাটা দাগ কখনও এক হয়না৷ যেমন দুটো মানুষের আঙ্গুলের ছাপ এক হয়না৷ ক্যামেরায় তোলা প্রতিটি বাঘের ডোরা কাটা দাগ বিশ্লেষণ করে সংখ্যা নির্ণয় করা হয়৷

কাজিরাঙ্গায় বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে আসামের বন্য প্রাণী ও অরণ্য সংরক্ষণ বিভাগের শীর্ষ ব্যক্তি এস. শান জানান, কাজিরাঙ্গা অভয়ারণ্যের সংরক্ষণ ব্যবস্থা ভালো, বাঘেদের খাদ্যের জোগান ভালো, আবাসস্থান ভালো৷ বাঘের খাদ্য যেমন চিতল হরিণ, সম্বরসহ নানা জাতের হরিণ এবং বুনো মহিষ প্রচুর আছে৷

ছোরা শিকারীদের দৌরাত্ম রোধে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সে সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রথমতঃ কাজিরাঙ্গা অভয়ারণ্যে চারপাশের অধিবাসিদের সহযোগিতা নিয়ে থাকি৷ এজন্য তাঁদের দিই নানরকম আর্থিক সুবিধা৷ করে দিই জীবিকার বিকল্প ব্যবস্থা যেমন কুটির শিল্পের জন্য আর্থিক সহায়তা৷ দ্বিতীয়তঃ আমাদের আছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সশস্ত্র বনকর্মী, পুলিশ৷ এছাড়া, বাঘ সংরক্ষণের যাবতীর সাজসরঞ্জাম কাজে লাগাই৷

কাজিরাঙ্গা অভয়ারণ্যে শুধু বাঘই নয় অন্যান্য বন্য জন্তু যেমন হাতি, গন্ডারেরও নিয়মিত সংখ্যা গণনা করা হয়ে থাকে, ডয়েচে ভেলেকে বলেন আসাম বন্য প্রাণী ও অরণ্য সংরক্ষণ বিভাগের শীর্ষ ব্যক্তি এস.শান৷

প্রতিবেদক: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি, সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম