1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বুড়ো হওয়াটা জঘন্য এবং জীবন একটা দুঃস্বপ্ন: উডি এ্যালেন

১৫ মে ২০১০

আজ ৭৪ বছরের মার্কিন চিত্রপরিচালক উডি এ্যালেন কিন্তু চিরকালই একটু অন্য ধরণের৷ এই তো, এবার কান’এ তিনি তাঁর জীবনদর্শনের যা আন্দাজ দিয়েছেন, তা’তে তিনি সত্যবক্তা না নিউরোটিক, আবার সেই প্রশ্ন উঠবে৷

https://p.dw.com/p/NOwk
ছবি: AP

কান চলচ্চিত্র উৎসব উপলক্ষে উডি এ্যালেনের সর্বাধুনিক ছবির মহরত৷ ছবির নাম ‘‘ইউ উইল মীট এ টল ডার্ক স্ট্রেঞ্জার''৷ রোমান্টিক টাইটেল, যেন দুর্গেশনন্দিনীর গোড়ায় তোমার জগৎসিংহের সঙ্গে দেখা হইবে! কিন্তু তাঁর প্রেস কনফারেন্সে উডি যা বললেন, তা'তে রোমান্টিকতার চেয়ে নৈরাশ্যবাদই বেশী৷

‘‘জীবন হল একটা ভীতিকর, যন্ত্রণাদায়ক এবং দুঃস্বপ্নের মতো অভিজ্ঞতা,'' বললেন এ্যালেন৷ ‘‘সুখী হবার একমাত্র উপায় হল, নিজেকে কয়েকটা মিথ্যে কথা বলা৷'' এই নাকি চিরকালই তাঁর জীবনদর্শন৷ এবং তারই যেন প্রতিফলন ঘটেছে তাঁর নতুন ছবিতে৷

ছবির পটভূমি লন্ডন৷ ছবিতে এ্যান্টনি হপকিন্স যে প্রৌঢ়ের ভূমিকায় অভিনয় করছেন, তার হঠাৎ বুড়ো হতে ভয়৷ কাজেই সে তার স্ত্রী হেলেনা'কে ছেড়ে চলল তার হৃত যৌবনের সন্ধানে৷ হেলেনা'র মেয়ে স্যালি'র স্বামী আবার এক হবু লেখক যার নাম-টাম কিছুই হচ্ছে না৷ সে আবার পাড়ার এক তরুণীর প্রতি আকৃষ্ট - এই রোলটি করেছেন স্লামডগ মিলিওনেয়ারের অভিনেত্রী ফ্রিডা পিন্টো৷ ওদিকে স্বামী চলে যাওয়ার পর হেলেনা গেছে তার হাত দেখাতে, ইত্যাদি৷ উডি এ্যালেনের ফিল্মে যেমন হয়ে থাকে আর কি৷

ফিল্ম থেকে ফেরা যাক প্রথমোক্ত ‘শহুরে স্নায়ুরোগী'-টির জীবনদর্শনে: জার্মানরা উডি এ্যালেনকে ভালোবেসে ঐ নাম ধরেই ডাকে৷ বুড়ো হওয়াটা অতি খারাপ ব্যাপার, ও'তে লাভের কিছুই নেই, বলেছেন উডি৷ ভালো কিছুই ঘটে না, শুধু চোখ যায় আর পীঠের ব্যাথা বাড়ে৷ বুড়ো বয়সে রোমান্টিক বলে কিছু নেই৷ সেই কারণেই তিনি নাকি আর তাঁর নিজের ছবিতে অভিনয় করেন না৷ কেননা রোমান্টিক লীড, মানে হিরোর রোলটা তো আর পাবেন না৷ আর যে হিরোইনের হৃদয় জয় করবে না, তার ভূমিকায় অভিনয় করতে ভালো লাগে না উডি'র - এই বয়সেও না৷

ব্যাপারটা কিছু পরিষ্কার হল কি?

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: জাহিদুল হক