1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বৃহস্পতির গায়ে আবারও বিশাল ক্ষতচিহ্ন

২২ জুলাই ২০০৯

চাঁদে মনুষ্য অভিযানের ৪০ বছর পূর্তির ঠিক একদিন পরেই পূর্ণগ্রাস সূর্য গ্রহণ দেখার পালা৷ চাঁদ আর সূর্য নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ আর উদ্দীপনার মধ্যেই এবার ধরা পড়লো বৃহস্পতি গ্রহের গায়ে বিশাল আকৃতির ক্ষতচিহ্ন৷

https://p.dw.com/p/IuwR
বৃহস্পতির গায়ে ধরা পড়লো টোল (ফাইল ফটো)ছবি: APTN

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, বৃহস্পতি গ্রহ সম্ভবত কোন কিছুর দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ তাঁদের ধারণা, কোন ধূমকেতুর আঘাতে এই ঘটনা ঘটতে পারে৷ তবে বড় ধরণের বরফ খণ্ডের আঘাতেও বৃহস্পতির বায়বীয় মণ্ডলে ঐ টোলের সৃষ্টি হতে পারে৷ সবচেয়ে আশ্চর্য বিষয় হচ্ছে, বৃহস্পতির গায়ে ঐ ক্ষতের আকার প্রায় পৃথিবীর সমান৷

সোমবার ধারণ করা ছবিতে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা - নাসা লক্ষ্য করেছে যে, বৃহস্পতির দক্ষিণ মেরুর কাছে একটি ক্ষতচিহ্ন সৃষ্টি হয়েছে৷ হাওয়াই থেকে অবলোহিত দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে নাসা এই ছবিগুলো ধারণ করেছে৷ নাসা জানিয়েছে, এর ঠিক ১৫ বছর আগে ১৯৯৪ সালে বৃহস্পতি শুমেকার-লেভি ৯ নামের একটি ধূমকেতুর অনেকগুলো টুকরার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল৷

নাসা'র বরাত দিয়ে নিউ সায়েন্টিস্ট ম্যাগাজিন বলছে, অস্ট্রেলিয়ার অপেশাদার জ্যোতির্বিজ্ঞানী এ্যান্টনি ওয়েসলি গত বৃহস্পতিবার প্রথম এই ক্ষত চিহ্ন দেখেন৷ এরপর খবর পেয়ে নাসা বিষয়টি খতিয়ে দেখে এবং এর সত্যতা নিশ্চিত করে৷

ক্যালিফোর্নিয়ার পাসাডেনায় অবস্থিত প্রোপালশন ল্যাবরেটরিতে জুপিটারের ঐ টোলের ছবি নিয়ে প্রায় ছয় ঘন্টা গবেষণা করেন গ্লেন ওর্টোন৷ তিনি বলেন, জুপিটারের গায়ে যে দাগ দেখা যাচ্ছে, তা আবহাওয়াগত কোন দুর্ঘটনা থেকে ঘটেছে বলে মনে হয় না৷ ওর্টোন বলেন, এখন যে কালো দাগটি দেখা যাচ্ছে, ঠিক সেখানেই আমাদের প্রথম ছবিতে উজ্জল কিছু দেখা গিয়েছিল৷ নাসার বিজ্ঞানী লাই ফ্লেচার বলেন, বৃহস্পতি গ্রহের গায়ে এখন যে দাগ দেখা যাচ্ছে, তার সাথে শুমেকার-লেভি ৯ এর আঘাতের চিহ্নের বেশ মিল রয়েছে৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই, সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন