1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বেলআউটের বৈধতা বিতর্ক

১১ জুন ২০১৩

ইউরো এলাকার সংকট সামাল দিতে কোনো সরকার দেশের জনগণ, অর্থাৎ করদাতাদের নামে অর্থের প্রতিশ্রুতি দিতে পারে কি না, তা নিয়ে জার্মানিতে দু-দুটি মামলা চলছে৷ আদালত এমন অভিযোগ মেনে নিলে তার পরিণাম মারাত্মক হতে পারে৷

https://p.dw.com/p/18nb5
ছবি: Reuters

ইউরো এলাকার সংকট সামাল দিতে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষণা করেছিল, প্রয়োজনে বন্ড কিনে বাজারকে শান্ত করা হবে৷ এই কর্মসূচির পোশাকি নাম ‘আউটরাইট মনিটারি ট্রানজাকশনস' বা ওএমটি৷ এই আশ্বাসের ফলে বাজার শান্ত হয়েছে বটে, কিন্তু এমন এক সিদ্ধান্তকে ঘিরে বিতর্কও কম হচ্ছে না৷ বিষয়টি এখন জার্মানির সাংবিধানিক আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে৷ অভিযোগ উঠেছে, সরকারি ঋণ পরিশোধ করতে ইসিবি ইচ্ছামতো টাকা ছাপার পথ খুলে দিচ্ছে৷ জার্মান করদাতাদের অর্থে এমন কাজ করা যায় কি না, সেটাই হলো প্রশ্ন৷ এই অবস্থায় ইসিবি-র প্রধান মারিও দ্রাগি বলেছেন, এক্তিয়ারের মধ্যে থেকেই তিনি এই ঘোষণা করেছেন৷ একমাত্র ইউরো ‘ফেল' করলে তবেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে, কোনো রাষ্ট্র বা সরকারকে উদ্ধার করার জন্য নয়৷

Bundesverfassungsgericht Verhandlung ESM Fiskalpakt
আদালত অভিযোগ মেনে নিলে পরিণাম মারাত্মক হতে পারেছবি: Reuters

এমন সব প্রশ্ন উঠলে ইউরো এলাকার সংকট সামলাতে সমস্যা দেখা দিতে পারে, সন্দেহ নেই৷ এর আগেও জাতীয় স্তরে আদালতে এমন সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে৷ জার্মানিতেই আরেকটি মামলা চলছে ইউরোপীয় উদ্ধার তহবিল ইএসএম নিয়ে৷ জরুরি ভিত্তিতে বেলআউট-এর এই তহবিলে জার্মানি আদৌ অর্থ দিতে পারে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ সমালোচকদের যুক্তি, জার্মান করদাতাদের নামে এমন ঝুঁকি নেবার অধিকার কোনো সরকারের থাকতে পারে না৷ জার্মান আদালতের এই দুটি সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে পুঁজিবাজার৷ ইউরো এলাকার সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতি যদি ইউরো সংকট সামলাতে অর্থ দিতে না পারে, তার পরিণাম মারাত্মক হতে পারে৷

এদিকে ইউরোপীয় কমিশন, ইসিবি ও আইএমএফ সম্মিলিতভাবে সংকটগ্রস্ত দেশগুলিকে সহায়তার যে উদ্যোগ নিচ্ছে, তাকে ঘিরে অনিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছে৷ আয়ারল্যান্ড, গ্রিস, পর্তুগাল ও সাইপ্রাসকে সহায়তার ক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু গাফিলতির অভিযোগ শোনা যাচ্ছে৷ রাষ্ট্র ও পুঁজিবাজারের ক্ষতি করে ঋণের ভার কমানোর বিতর্কিত পথ নিয়ে তাদের ভাবনা মোটেই ভালো চোখে দেখা হচ্ছে না৷ পারস্পরিক আস্থার অভাবেরও সমালোচনা করা হচ্ছে৷

সপ্তাহের শুরুতে বিভিন্ন কারণে পুঁজিবাজারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে৷ একদিকে চীনের রপ্তানি বাণিজ্যে ঘাটতির খবর পাওয়া যাচ্ছে, অন্যদিকে ‘স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুয়রস' অ্যামেরিকার রেটিং বাড়িয়ে দিয়েছে৷ ইউরোপে ফ্রান্সের অর্থনীতির অবস্থার সামান্য উন্নতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে৷

এসবি / জেডএইচ (ডিপিএ, রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য