1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বেশি করে মাংস খান

জাহিদুল হক১৬ আগস্ট ২০১৩

ব্যাপারটা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশের একদল বিজ্ঞানী৷ তাঁরা অনেক দূর এগিয়েছেনও৷ এখন দরকার বিভিন্ন সংস্থা থেকে অনুমোদন আর বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের জন্য একটি কোম্পানির সহযোগিতা৷

https://p.dw.com/p/19Q3U
Taslim Rashid, a young scientist from Bangladesh attended 63rd Lindau Nobel Laureate Meetings 2013. DW/Mohammad Zahidul Haque
ছবি: DW/M. Haque

‘জুটিন'-খ্যাত বিজ্ঞানী ড. মোবারক আহমদ খানের তত্ত্বাবধানে কয়েকজন তরুণ বিজ্ঞানী কাজ করছেন৷ তাঁদের একজন তসলিম উর রশিদ৷ তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফলিত রসায়ন বিষয়ে পড়াশোনা করে এখন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন৷

ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, তাঁরা চিংড়ির খোসা নিয়ে গবেষণা করছেন৷ এই খোসার প্রধান উপাদান কিটিংকে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় কাইটোসেনে রূপান্তর করা হয়৷ এই কাইটোসেন বিভিন্ন কাজে লাগানো যেতে পারে৷ যেমন খাদ্যদ্রব্য সঞ্চয়, উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন, চর্বি জাতীয় খাবার শরীরে বসে যাওয়ার পরিমাণ কমানো ইত্যাদি৷

রশিদ বলেন, ‘‘কেউ যদি মাংস খাওয়ার আগে কাইটোসেন (ট্যাবলেট হিসেবে বা অন্য কোনোভাবে) গ্রহণ করে তাহলে তাঁর শরীরে যে পরিমাণ চর্বি জমার কথা ছিল সেটা কম হবে৷''

ইঁদুরের উপর পরীক্ষা করে ইতিমধ্যে সফলতা পাওয়া গেছে৷

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ফুড অ্যান্ড সায়েন্স'এ কাইটোসেনকে ‘ফুড গ্রেড' হিসেবে অনুমোদন দেয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে৷ সেটা পেলে পরবর্তীতে পেটেন্টের জন্য আবেদন করা হবে বলে জানান রশিদ৷ এরপর কাজ হবে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অনুমোদন নেয়া৷ তাহলেই কাজ শেষ৷ মানে, তাহলেই কেবল এটা বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা সম্ভব হবে৷

ইতিমধ্যে তিনটি আন্তর্জাতিক জার্নালে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে বলে জানান রশিদ৷