1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বৈরুত বিস্ফোরণ, ইন্টারপোলের সাহায্য চায় লেবানন

২ অক্টোবর ২০২০

বৈরুত বিস্ফোরণের জন্য দুই রাশিয়ার নাগরিককে গ্রেফতারের আর্জি জানানো হলো ইন্টারপোলকে।

https://p.dw.com/p/3jJSI
ছবি: Getty Images/AFP

বৈরুতে বিস্ফোরণের জের। রাশিয়ার দুই নাগরিককে গ্রেফতারের জন্য ইন্টারপোলের কাছে আর্জি জানালো লেবানন সরকার। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁদের গ্রেফতার করা যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বিশেষজ্ঞদের।

সাত বছর আগে মলডোভার পতাকা লাগানো একটি মালবাহী জাহাজ বৈরুত বন্দরে গিয়ে দাঁড়ায়। যদিও বৈরুত বন্দরে জাহাজটির যাওয়ার কথা ছিল না। জর্জিয়া থেকে তিন হাজার কিলো অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট নিয়ে জাহাজটি যাচ্ছিল মোজাম্বিকের একটি বিস্ফোরক তৈরির কারখানায়। কিন্তু মাঝপথে জাহাজের মালিক নাবিককে রাস্তা পরিবর্তন করতে বলেন বলে অভিযোগ। নাবিককে বৈরুত বন্দরে যেতে বলা হয়। সেখান থেকে আরও কিছু মালপত্র তোলার কথা বলা হয়েছিল জাহাজটিকে।

বৈরুত বন্দরে পৌঁছনোর পরে নানা আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়ে জাহাজটি। ২০১৪ সালে সেই জটিলতার কারণে জাহাজে থাকা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বন্দরের একটি গুদামে মজুত করা হয়। জাহাজটিও বন্দরেই ভেঙে পড়ে। বৈরুত বন্দর থেকে তা আর কখনও সরানো হয়নি।

দীর্ঘদিন ওই গুদামেই ছিল অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। গত অগাস্ট মাসে যা থেকে বিস্ফোরণ হয়। কার্যত গোটা বৈরুত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। ১৯০ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন পাঁচ হাজার মানুষ। গৃহহীন হয়ে পড়েন অনেকে। শুধু তাই নয়, ওই বিস্ফোরণের কারণে পদত্যাগ করেছে বৈরুতের সরকার। ক্ষতি হয়েছে কয়েক কোটি ডলার। এই পরিস্থিতিতে এক বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি তৈরি হয় বৈরুতে। সেই তদন্ত কমিটিই পুলিশকে জানিয়েছে, জাহাজের মালিক এবং নাবিককে গ্রেপ্তারের জন্য।

ঘটনাচক্রে ওই জাহাজের মালিক এবং নাবিক দুইজনেই রাশিয়ার মানুষ। তবে কারও নামই প্রকাশ করেনি বৈরুত প্রশাসন। জানানো হয়েছে, গোপনীয়তা বজায় রেখে ইন্টারপোলকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

জাহাজের মালিক এবং নাবিক দু'জনেই অবশ্য জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তাঁরা এখনো পর্যন্ত কিছু জানেন না। তাঁদের সঙ্গে কেউ যোগাযোগও করেনি। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, যে অভিযোগ জাহাজের মালিক এবং নাবিকের বিরুদ্ধে উঠেছে, তার জেরে ইন্টারপোল তাদের গ্রেফতার করবে, এমনটা মনে করার অর্থ নেই। আন্তর্জাতিক অপরাধী চিহ্নিত করার কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে। এ ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে না বলেই তাঁরা মনে করছেন।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)