1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বৌদ্ধ-মুসলিম সম্পর্ক উন্নয়নে সু চির দলের চেষ্টা

১১ অক্টোবর ২০১৭

মিয়ানমারের নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চি'র দলের উদ্যোগে দেশটির রাজধানীর এক স্টেডিয়ামে বিভিন্ন ধর্মের হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলেন৷

https://p.dw.com/p/2lcHA
বক্তব্য রাখছেন মুসলিম ধর্মের নেতা হাফিজ মুফতি আলীছবি: Reuters/S. Z. Tun

তাঁরা রাখাইন রাজ্যে শান্তির জন্য প্রার্থনা করেছেন৷ মঙ্গলবারের এ আয়োজনে বৌদ্ধ, মুসলমান, হিন্দু, খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারীরা প্রার্থনায় অংশ নিয়েছেন৷ প্রায় ৩০ হাজার মানুষ এতে অংশ নিয়েছে বলে বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে৷

অংশগ্রহণকারীদের অনেকের হাতে অং সান সু চি'র ছবি ছিল৷ ধর্মীয় নেতারা তাঁদের বক্তৃতায় শান্তির কথা, বন্ধুত্বের কথা বলেন৷ ইয়াঙ্গনের প্রধান বৌদ্ধ ভিক্ষু ইধিবালা বলেন, ‘‘একে অন্যকে হত্যা করা, একে অন্যকে অত্যাচার করা থেকে বিরত থাকতে হবে৷’’

Myanmar interreligiöse Demonstration in Yangon Iddhibala
বক্তব্য রাখছেন ইয়াঙ্গনের প্রধান বৌদ্ধ ভিক্ষু ইধিবালা ছবি: Reuters/S. Z. Tun

বক্তৃতা শেষে মঞ্চ থেকে নামার সময় তিনি মুসলিম ধর্মের নেতা হাফিজ মুফতি আলীর সঙ্গে হাত মেলান৷ পরে বক্তৃতায় আলী বলেন, ‘‘নাগরিকদের একে অন্যের বন্ধু হয়ে দেশের জন্য কাজ করা উচিত৷’’

সু চি'র দল এনএলডির সাংসদ উইন মাউং বলেন, ‘‘এই অনুষ্ঠান বিশ্বকে দেখিয়ে দিচ্ছে যে, মিয়ানমারের সব ধর্মের মানুষ শান্তিতে বসবাস করছে৷’’

উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্টের পর থেকে রাখাইন রাজ্যে সামরিক বাহিনীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে পাঁচ লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে৷ এখনও প্রতিদিন রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে৷ সোমবার প্রায় ১১ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে গেছে বলে জানা গেছে৷

Myanmar interreligiöse Demonstration in Yangon
প্রার্থনা সভায় মোনাজাত করছেন এক মুসলিম নারীছবি: Reuters/S. Z. Tun

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ‘জাতিগত নিধন’-এর অভিযোগ এনেছে জাতিসংঘ৷ তবে মিয়ানমার তা প্রত্যাখ্যান করেছে৷

মিয়ানমার ও বাংলাদেশ যাচ্ছেন পোপ ফ্রান্সিস

২৬ নভেম্বর মিয়ানমারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন পোপ ফ্রান্সিস৷ সেখানে তাঁর মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে একটি প্রার্থনাসভা আয়োজনের কথা রয়েছে৷ অং সান সু চি-ও সেখানে উপস্থিত থাকবেন৷ এরপর তিনি বাংলাদেশে যাবেন৷ ডিসেম্বরের ২ তারিখ পর্যন্ত পোপের সেখানে থাকার কথা৷

এর আগে পোপ জন পোল ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিলেন৷

জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)