1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্যাংককে সেনা অভিযান চলবে

১৬ মে ২০১০

ব্যাংককে কেটে যাচ্ছে সংঘাতময় আরও একটি দিন৷ তবে রবিবার হতাহতের সংখ্যা গতকালের চেয়ে অনেক কমে এসেছে৷ এদিকে নতুন করে পাঁচটি প্রদেশে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা৷

https://p.dw.com/p/NPMe
ব্যাংককের বর্তমান পরিস্থিতিছবি: AP

বিক্ষোভের চতুর্থ দিনটা শুরু হয় সরকারের কারফিউ ঘোষণার পরিকল্পনার মধ্যে দিয়ে৷ জানানো হয় রাত ১১ টা থেকে ব্যাংককের কয়েকটি স্থানে কারফিউ জারি করা হবে৷ তবে পরে সেই পরিকল্পনা থেকে সরে আসে সরকার৷ বলে যে, আপাতত দরকার নেই কারফিউয়ের৷

এরই মধ্যে চলতে থাকে নিরাপত্তা বাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ৷ এতে মারা যান ১ জন৷ এই নিয়ে গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যাংককের জরুরি বিভাগ৷ আর আহত ২৩২ জন৷

এরপর সরকারের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দেন বিক্ষোভকারীরা৷ তবে তার আগে আন্দোলন স্থল থেকে নিরাপত্তা বাহিনী সরিয়ে নেয়ার শর্ত জুড়ে দেন৷ আর বলেন যে, আলোচনা হতে হবে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায়৷ তবে সরকার এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে৷ কারণ হিসেবে বলেছে যে, আলোচনার জন্য কোনো শর্ত দেয়া যাবেনা৷ এর পরপরই সরকারের পক্ষ থেকে সেনা অভিযান চালিয়ে যাবার কথা বলা হয়েছে৷ আর এর কারণ ব্যাখ্যা করেছেন সরকারি মুখপাত্র পানিতান ওয়াত্তানায়াগর্ন৷ তিনি বলছেন যে, সেনাসদস্যরা জনসাধারণের বিরুদ্ধে কোনো অস্ত্র ব্যবহার করছেন না৷ শুধু যেসব বিক্ষোভকারীর কাছে অস্ত্র রয়েছে আর যাদেরকে নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করা হচ্ছে, তাদের থামাতেই অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে৷ এর আগে টেলিভিশনে দেয়া এক বক্তব্যে থাই প্রধানমন্ত্রী অপিসিৎ ভেজ্জাজিভা সেনা অভিযানের কারণ ব্যাখ্যা করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘দেশের স্বার্থেই আমাদের এই অভিযান চালাতে হচ্ছে, যেন ব্যাংককে আবার শান্তি ফিরে আসে৷''

এদিকে আন্দোলন স্থল থেকে মহিলা, শিশু ও বয়স্কদের সরিয়ে নিতে রেডক্রস কর্মীদের সেখানে পাঠাতে চায় সরকার৷ কারণ জানা গেছে যে, তাঁদের অনেকেই নাকি ভয়ে নিকটবর্তী একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছেন৷ আর এ কাজে বিক্ষোভকারীদের সহায়তা চেয়েছে সরকার৷

এছাড়া আন্দোলন যা'তে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য আরও পাঁচটি প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছে সরকার৷ এই নিয়ে ব্যাংকক ছাড়াও মোট ১৭ টি প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হলো৷ তবে ব্যাংককের মূল আন্দোলন স্থলের কাছে আরেকটি জায়গায় বিক্ষোভকারীরা জমা হতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে৷ মূল আন্দোলন স্থল থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর নজর সরিয়ে নিতে এ কৌশল বলে জানা গেছে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী