1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্যাংকক থমথমে, চলছে কারফিউ, নিন্দা জাতিসংঘ, ই ইউ-র

২০ মে ২০১০

থাইল্যান্ডে লাল জামাধারীদের সরকার বিরোধী বিক্ষোভে বুধবারের সেনা অভিযানের পর, প্রতিবাদকারী নেতারা আত্মসমর্পন করেন৷ রাজধানী ব্যাংককে সান্ধ্যআইন জারি করা হয়েছে৷ নিন্দা করেছে জাতিসংঘ, ই ইউ৷

https://p.dw.com/p/NSJe
সরকার বিরোধীদের ব্যারিকেড অভিমুখে সাঁজোয়া বহর৷বুধবারের ছবিছবি: AP

ব্যাংককে সান্ধ্যআইন জারি হওয়া সত্ত্বেও, সেখানকার পরিস্থিতি এখন থমথমে৷ বিরাজ করছে উত্তেজনা৷ ব্যাংককে ১৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম সান্ধ্যআইন জারি করা হয়েছে৷ আসলে উত্তেজিত প্রতিবাদকারীরা যাতে আর কোন ভবনে আগুন লাগাতে না পারে এবং লুটতরাজ, বিশৃঙ্খলা রুখতেই সান্ধ্যআইন জারি করা হয়েছে৷ বুধবা সারাদিন সেনা অভিযান চলাকালে, একজন ইটালিয় ফটো সাংবাদিকসহ অন্তত ৭ জন প্রাণ হারান৷ গত সপ্তাহে সেনা অভিযান শুরু থেকে গতকাল পর্যন্ত প্রায় ৪৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন৷ মধ্যমার্চ থেকে শুরু হওয়া এই সঙ্কটে অন্তত ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ আহত প্রায় ১ হাজার ৭'শ জন৷ ৷ এরমধ্যে ১০-ই এপ্রিল সেনাবাহিনী যে ব্যর্থ অভিযান চালায় সেদিন প্রাণ হারান ২৫ জন৷

Unruhe und Gewalt in Thailand HOCHFORMAT
লাগিয়ে দেয়া আগুনের ধোঁয়ায় ঢাকা ব্যাংককছবি: AP

লাল জামাধারী প্রতিবাদকারীদের নেতারা আত্মসমর্পণ করার পর, বুধবারের সেনা অভিযানের সময়, বহু ভবনে অগ্নিসংযোগ করা হয়৷ ব্যাংককের অন্তত ২৭টি ভবন আগুনে পুড়েছে৷ এরমধ্যে রয়েছে একটি বিশাল বিপনী কেন্দ্র, থাইল্যান্ডের স্টক এক্সচেঞ্জ ভবন, কয়েকটি ব্যাংক, একটি সিনেমা এবং একটি টেলিভিশন কেন্দ্র৷ তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমানটা আজ সঠিকভাবে বোঝা যাবে বলেই ধারনা করা হচ্ছে৷

থাই প্রধানমন্ত্রী অপিসিৎ ভেজ্জাজিভার প্রশাসনের পরিবর্তন চেয়ে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছিল লাল জামা বিক্ষোভকারীরা৷ তাদের দাবি, ২০০৮-এর সংসদীয় নির্বাচনে সেনাসমর্থনে আসা ভেজ্জাজিভার প্রশাসন অবৈধ৷

ব্যাংককের এই সেনা অভিযান নিয়ে বিশ্বে এরই মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে৷ জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন আর কোন সহিংসতা ও প্রাণহানি যাতে না ঘটে, সেইজন্যে থাই কর্তৃপক্ষ এবং প্রতিবাদকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷ ব্যাংককের ভবনগুলোতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থাইল্যান্ডে সঙ্কট সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে এবং সেখানে একজন ইটালীয় সাংবাদিকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বলেছে, এই বিক্ষোভে বহু রক্তপাতের ঘটনা ঘটে গেল৷

প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়