1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্যাতিক্রমধর্মী জাদুঘর ‘রক অ্যান্ড রোল হল অফ ফেম’

২ সেপ্টেম্বর ২০১০

বিখ্যাত রক সঙ্গীত তারকা, সঙ্গীত গোষ্ঠী, গীতিকার ও প্রযোজকদের ইতিহাস ও রক সঙ্গীত জগতে তাঁদের অবদান নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লিভল্যান্ড শহরে রয়েছে এক ব্যতিক্রমধর্মী জাদুঘর৷ নাম ‘রক অ্যান্ড রোল হল অফ ফেম’৷

https://p.dw.com/p/P2JQ
রক তারকা এলভিস প্রেসলির সঙ্গীত জীবনের বহু স্মৃতি এবং মুল্যবান ত্বথ্যের প্রদর্শনও আছে এ জাদুঘরেছবি: AP

১৯৬০ সালে যখন স্যাম কুক-এর ‘ওয়ান্ডারফুল ওয়র্লড' রেকর্ড বাজারে বেরোয় তখন তিনি ভাবতেও পারেননি যে ১৯৮৬ সালে তাঁকে ‘রক অ্যান্ড রোল হল অফ ফেম'-এ অভিষিক্ত করা হবে৷ প্রসঙ্গত, তিনিই ছিলেন সে সময় ‘রক অ্যান্ড রোল হল অফ ফেম'-এ অভিষিক্ত প্রথম কয়েকজনের একজন৷ যদিও তিনি নিজে এই সম্মান উপভোগ করে যেতে পারেননি৷

১৯৮৬ সাল থেকে, প্রতিবছর, পাঁচ থেকে দশজন প্রতিষ্ঠিত রক সঙ্গীত শিল্পী বা গোষ্ঠীকে নির্বাচন করে আসছে একটি রক সঙ্গীত বিশেষজ্ঞ কমিটি৷ তারা এমন সব শিল্পী বা গোষ্ঠীকে নির্বাচন করে আসছে, যাদের প্রথম রেকর্ড বা সিডি বেরিয়েছে কমপক্ষে ২৫ বছর আগে৷ ‘রক অ্যান্ড রোল হল অফ ফেম'-এ অভিষিক্ত হওয়া যে কোনো সঙ্গীত তারকার জন্য এক বিরাট স্বীকৃতি৷ শুধু সঙ্গীত তারকাই নন, গীতিকার ও প্রযোজকদেরও এই সম্মাননায় ভূষিত করা হয়৷

৮৬ সালে ‘হল অফ ফেম'-এর যাত্রা শুরু হলেও একটি নির্দিষ্ট হল প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৫ সালে অ্যামেরিকার ওহায়ও, ক্লিভল্যান্ড শহরে৷ ১৪ হাজার বর্গমিটার জুড়ে, পিরামিড আকৃতির এই জাদুঘর নির্মানে খরচ হয়েছে ৮৪ মিলিয়ন বা আট কোটি চল্লিশ লক্ষ ডলার৷ কিংবদন্তি রক তারকা চাবি চেকার, জেনিস জোপলিন, এলভিস প্রেসলি থেকে শুরু করে দ্য রোলিং স্টোনস, দ্য বিটেলস এবং আরো অনেকের সঙ্গীত জীবনের বহু স্মৃতি এবং মুল্যবান ত্বথ্যের প্রদর্শন রয়েছে এই জাদুঘরে৷ যেমন, ৬০ দশকে হামবুর্গে থাকাকালিন সময়ের জন লেননের পুরনো চামড়ার জ্যাকেট, বিখ্যাত সৌল তারকা অটিস রেডিং যে বিমান বিধ্বস্তে প্রাণ হারান সেই বিমানের কিছু অংশ, জিমি হেন্ড্রিক্স এর কাটাকুটি করে হাতে লেখা ‘পার্পেল হেইজ' গানের স্বরলিপি৷

Rock and Roll Hall of Fame
ক্লিভল্যান্ড শহরের ব্যতিক্রমধর্মী জাদুঘর ‘রক অ্যান্ড রোল হল অফ ফেম’ছবি: picture-alliance / Lonely Planet

দর্শকরা বোতাম টিপে ৫০০'রও বেশি গান শুনতে পারেন সেই সাথে বিরাট পর্দায় দেখতে পারেন টিনা টার্নার, দ্য রোলিং স্টোনস বা সানতানার কিংবদন্তি কনসার্ট৷ রয়েছে থ্রি ডায়মনশ্যানাল শো৷ চোখে চশমা দিয়ে পর্দায় আইরিশ শিল্পী গোষ্ঠি ‘ইউ টু'-এর কনসার্ট দেখলে দেখবেন আপনি নিজেও শিল্পী গোষ্ঠীর পাশে দাড়িয়ে আছেন৷

বহু সঙ্গীত শিল্পী এই সম্মান উপভোগ করে যেতে পারেননি৷ কিন্তু অনেকেই পেরেছেন যেমন, বিখ্যাত রক তারকা এরিক ক্ল্যপ্টন, তিনিই একমাত্র শিল্পী যিনি তিন তিনবার ‘রক এন্ড রোল হল অফ ফেম'-এ অভিষিক্ত হয়েছেন৷

উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর দর্শকদের জন্য এই জাদুঘরের দ্বার খোলা হয়৷

প্রতিবেদন: মারুফ আহমদ

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ