1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রাজিলের নাগরিকদের অ্যামেরিকায় ঢুকতে মানা

২৫ মে ২০২০

দক্ষিণ অ্যামেরিকায় ব্রাজিলই এখন করোনার মূলকেন্দ্র। করোনা আক্রান্তের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে। গত ২৪ ঘণ্টায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ চেহারা নিয়েছে। 

https://p.dw.com/p/3ci3V
ছবি: Reuters/A. Machado

ব্রাজিলের নাগরিকদের অ্যামেরিকায় ঢোকার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রাজিলে রেকর্ড পরিমাণ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৬৫৩ জনের। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, অ্যামেরিকার পরে ব্রাজিলই এখন করোনা সংক্রমণের এপিসেন্টার বা মূল কেন্দ্র।

সংক্রমণের নিরিখে এই মুহূর্তে অ্যামেরিকার পরেই ব্রাজিলের জায়গা। সোমবার সকাল পর্যন্ত অ্যামেরিকায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ লাখ ৮৬ হাজার জন। তার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৯৯ হাজার ৩০০ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন চার লাখ ৫১ হাজার জন। ব্রাজিলে আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখ ৬৩ হাজার। মৃত্যু হয়েছে ২২ হাজার ৭০০ জনের। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, অন্য দেশের তুলনায় ব্রাজিলে মৃত্যুর হার বেশি। অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতে পৌঁছেও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছেন না দেশের প্রেসিডেন্ট বলসোনারো। দেশে লকডাউন থাকলেও প্রেসিডেন্ট নিজেই নিরাপদ দূরত্বের তোয়াক্কা না করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় ডনাল্ড ট্রাম্প ব্রাজিলের নাগরিকদের অ্যামেরিকায় ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন বলে মনে করছেন কূটনীতিবিদরা। অ্যামেরিকার এই নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পরে ব্রাজিলের প্রশাসন জানিয়েছে, সাময়িক সময়ের জন্য ট্রাম্প প্রশাসন এই পদক্ষেপ নিয়েছে। তাদের আশা, দ্রুত মার্কিন প্রশাসন সেই নিষেধাজ্ঞা ফিরিয়ে নেবে।

অন্য দিকে প্রায় স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। নিউ সাউথ ওয়েলস প্রদেশে ছোটদের স্কুলও শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে প্রতিটি স্কুলই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্লাস শুরু করেছে। নিউ সাউথ ওয়েলস প্রশাসন জানিয়েছে, প্রায় সব অভিভাবকই বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন। বড়রাও প্রায় সকলে অফিসে যোগ দিয়েছেন।

জাপানেও ক্রমশ লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে। দেশের চারটি শহরের পরে এ বার টোকিওতেও লকডাউন ধীরে ধীরে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। বিশ্বের আরও বহু দেশের মতো লকডাউনে ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দার কবলে পড়েছে জাপান। দেশের প্রশাসন জানিয়েছে, মন্দা কাটিয়ে ওঠার জন্য যত দ্রুত সম্ভব লকডাউন তুলে নেওয়া জরুরি। তবে একই সঙ্গে নাগরিকদের স্বাস্থ্যের দিকটিও খেয়াল রাখতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী সোমবার সকাল পর্যন্ত গোটা বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪ লাখ ৯৮ হাজার। মৃত্যু হয়েছে তিন লাখ ৪৬ হাজার মানুষের। সুস্থ হয়েছেন ২৩ লাখ দুই হাজার জন।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)