1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রিটেনের ‘দাসত্বের’ কাহিনি

২৩ নভেম্বর ২০১৩

খোদ রাজধানী লন্ডনের ল্যামবেথ এলাকার একটি বাড়িতে তিনজন মহিলার তিন দশকের ‘দাসত্বের’ কাহিনি ব্রিটেন তথা সারা বিশ্বকে সচকিত করেছে৷ কিন্তু পুলিশ এখনও বহু প্রশ্নের উত্তর দিতে কিংবা পেতে অসমর্থ৷

https://p.dw.com/p/1AMXr
ফ্রিডম চ্যারিটির প্রতিষ্ঠাতা অনীতা প্রেমছবি: picture-alliance/AP Photo

থেমস নদীর দক্ষিণে ল্যামবেথ৷ সেখানকার একটি সাধারণ বাড়িতে এক অ-ব্রিটিশ দম্পতি – স্বামী-স্ত্রী দু'জনেরই বয়স ৬৭ – একজন ৬৯ বছর বয়সি মালয়েশীয় মহিলা, একজন ৫৭ বছর বয়সি আইরিশ মহিলা এবং একজন ৩০ বছর বয়সি ব্রিটিশ মহিলাকে বিগত ৩০ বছর ধরে বন্দি নয়, দাস করে রেখেছিল৷ এঁদের মধ্যে ব্রিটিশ মহিলাটি নাকি তাঁর গোটা জীবনই কাটিয়েছেন ঐ দম্পতির দাসত্ব করে৷ এটা কী করে সম্ভব? এটা কি আদৌ সম্ভব?

সম্ভব তো বটেই৷ ঐ মহিলাদের নাকি আপেক্ষিক স্বাধীনতা ছিল, যদিও তাঁরা শারীরিক ও মানসিক নিপীড়নের ভয়ে কখনো পালানোর কথা ভাবতে পারেননি৷ দৃশ্যত তাঁরা টেলিভিশন দেখতে পারতেন৷ পারিবারিক দাসত্ব সম্পর্কে একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠান দেখে তাঁরা ১৮ অক্টোবর ফ্রিডম চ্যারিটি সংগঠনে টেলিফোন করার সাহস পান৷

ফ্রিডম চ্যারিটির প্রতিষ্ঠাতা অনীতা প্রেম দৃশ্যত উপমহাদেশীয় বংশোদ্ভূত৷ তাঁর এই চ্যারিটি প্রধানত জোর করে বিয়ে দেওয়া এবং পারিবারিক ‘অনার' সংক্রান্ত নিপীড়নের ব্যাপারে সক্রিয় হয়ে থাকে – আবার যে সব মহিলারা বিভিন্ন অসহনীয় পরিস্থিতিতে আবদ্ধ হয়ে পড়েছেন, তাদের নিয়েও কাজ করে৷ গোপন টেলিফোন কলের মাধ্যমে ব্রিটিশ ও আইরিশ মহিলা দু'জন তাঁদের বাসভবনের বাইরে কোথাও ফ্রিডম চ্যারিটির কর্মীদের সঙ্গে মিলিত হতে সম্মত হন৷ তাঁরা জানতেন যে, পুলিশও সেই সাক্ষাতে উপস্থিত থাকবে৷

Drei Frauen nach Jahrzehnten aus Londoner Haus befreit
স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের মানব পাচার সংক্রান্ত ইউনিটের প্রধান কেভিন হাইল্যান্ডছবি: picture-alliance/dpa

মহিলারাই পুলিশকে পরে ল্যামবেথের বাড়িটিতে নিয়ে যায়, পুলিশ যেখান থেকে মালয়েশীয় মহিলাটিকে উদ্ধার করে৷ তারিখটা ছিল ২৫ অক্টোবর৷ মহিলারা বিশেষভাবে ‘‘ট্রমাটাইজড'' বলে পুলিশ জানিয়েছে, তবে দৃশ্যত তাঁদের যৌন অপব্যবহারের সম্মুখীন হতে হয়নি৷ পুলিশ অ-ব্রিটিশ দম্পতিটিকে গ্রেপ্তার করেছে মাত্র গত বৃহস্পতিবার – সেটা নাকি গোটা ঘটনা এত স্পর্শকাতর বলে৷ অবশ্য গ্রেপ্তার করার পরেই আবার জামিনে খালাসও দিতে হয়েছে৷

স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের হিউম্যান ট্র্যাফিকিং, অর্থাৎ মানুষ পাচার সংক্রান্ত ইউনিটের প্রধান ডিটেক্টিভ ইনস্পেক্টর কেভিন হাইল্যান্ড বলেছেন, এই আকারের এ ধরনের কোনো ঘটনা তাঁরা এর আগে দেখেননি৷ অনীতা প্রেম বলেছেন: লন্ডনের কেন্দ্রে একটি বড় রাস্তায় যে তিনজন মহিলাকে ৩০ বছর ধরে আটকে রাখা সম্ভব, সেটা ‘‘অবিশ্বাস্য''৷ তাঁর ব্যাখ্যা হলো:

‘‘কেউ যে কিছু জানতে পারেনি তার একটা কারণ হলো, আমরা সকলেই শশব্যস্ত হয়ে চড়কির মতো ঘুরে বেড়াচ্ছি৷ লোকজন এখন আর কোনো প্রশ্নও করে না৷ আমাদের প্রতিবেশিরা কে, তা আমরা নিজেরাই জানি না৷''

এসি/ডিজি (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য