1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রিটেনে মুসলিমরা ‘রাজনীতির ফুটবল'

১৯ জানুয়ারি ২০১৬

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের একটি মন্তব্য নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে৷ অন্যদিকে নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশিরা আছেন আতঙ্কে৷ দাড়ি আর পাজামা-পাঞ্জাবির কারণে এক বাঙালিকে ‘আইএস' বলে পেটানো হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/1Hfq5
Belgien EU Gipfel in Brüssel - David Cameron
ছবি: Reuters/Y. Herman

যুবকদের পরিচয় জানা যায়নি৷ তবে তাঁরা যে মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপে ইসলামি জঙ্গি সংগঠন তথাকথিত আইএস-এর হত্যাযজ্ঞের কারণে মুসলমানবিদ্বেষী হয়ে উঠেছে, তা ব্রিটিশ মিডিয়ায় প্রচারিত খবর পড়েও কিছুটা অনুমান করা যায়৷ নিউ ইয়র্কে ২৫ হাজারের মতো বাংলাদেশির বসবাস৷ এ শহরেরই ব্রঙ্কস এলাকায় বেদম পিটুনির শিকার হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মজিবর রহমান৷

সিলেটে জন্ম নেয়া মজিবর শুক্রবার সন্ধ্যায় ৯ বছর বয়সি ভাগ্নিকে স্কুল থেকে আনতে গিয়েছিলেন৷ পথে দুই যুবক শ্মশ্রুমণ্ডিত, পাজামা-পাঞ্জাবি পরিহিত মজিবরকে দেখে ছুটে এসে ‘আইএস', ‘আইএস' বলে চিৎকার করে নাকেমুখে কিল-ঘুসি মারতে শুরু করে৷ ৪৩ বছর বয়সি মজিবর রাস্তায় পড়ে যান৷ যুবকেরা তখন লাথি মারতে থাকে৷ মুখ এবং শরীরের অন্য কিছু স্থানে আঘাতের চিহ্ন নিয়ে মজিবর এখন স্থানীয় এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷

দাড়ি আর পাঞ্জাবির কারণে মজিবরকে ‘আইএস' বলে পেটানোর ঘটনায় নিউ ইয়র্কের বাঙালিদের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়েছে৷ প্রবাসি বাঙালিরা হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন৷ নিউ ইয়র্কের পুলিশ জানিয়েছে, হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করার জন্য তাদের ‘হেইট ক্রাইম টাস্ক ফোর্স' কাজ শুরু করেছে৷

ওদিকে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী সে দেশে বসবাসরত মুসলমান, বিশেষ করে মুসলিম নারীদের খুব তাড়াতাড়ি ইংরেজি শিখতে বলেছেন৷ বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ব্রিটিশ সমাজের মূল স্রোতে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করতে হলে মুসলমানদের অবশ্যই ইংরেজি শিখতে হবে৷ তাঁর মতে, ইংরেজি না শিখলে ব্রিটিশ সমাজের অনেক কিছুই বোঝা প্রায় অসম্ভব৷ এ কারণে একটি সমাজের ভেতরে থেকেও সমাজের অংশ হতে না পারা মানুষদের জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বেশি থাকে বলেও তিনি মনে করেন৷ ক্যামেরন জানান, ব্রিটিশ সরকার সবাইকে ইংরেজি শিখতে উদ্বুদ্ধ করতে ৩ কোটি ১০ লক্ষ ডলারের এক কার্যক্রম শুরু করবে৷ কার্যক্রমটি কবে শুরু হবে তা অবশ্য ক্যামেরন বলেননি৷

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যে ব্রিটেনের মুসলমানদে মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে৷ একাংশ ক্যামেরনের কঠোর সমালোচনা করলেও আরেকটি অংশ মনে করে ইংরেজি শেখা এমনিতেই দরকার, কোনো সমাজের সঙ্গে নিজেকে পুরোপুরি মানিয়ে নেয়ার জন্য সবাই ইংরেজি শিখতেই পারে৷

মুসলমানদের লন্ডনকেন্দ্রিক সংগঠন রমাদান ফাউন্ডেশন মনে করে, ক্যামেরন ‘মুসলমানদের রাজনৈতিক ফুটবল হিসেবে ব্যবহার করছেন৷' অন্যদিকে মুসলিম কাউন্সিল অফ ব্রিটেন ব্যাপারটিকে সেভাবে দেখছে না৷ বরং ক্যামেরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে তারা৷

এসিবি/ডিজি (ডিপিএ, ডেইলি নিউজ)

শুধু দাড়ি থাকলে কি কেউ জঙ্গি হয়ে যায়? জঙ্গিবাদ থেকে দূরে থাকার জন্য ইংরেজি শেখা কি জরুরি? জানান আপনার মত, নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান