1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রুনাইতে সমকামিতার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড?

২৮ মার্চ ২০১৯

ব্রুনাইয়ের শরিয়া আইনে সমকামিতার শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড যুক্ত করা হয়েছে৷ এই মৃত্যুদণ্ড আবার হতে হবে পাথর ছুড়ে ও বেত্রাঘাতে৷ মানবাধিকার সংগঠনগুলো দেশটির এমন উদ্যোগে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে৷

https://p.dw.com/p/3Fo1d
ইন্দোনেশিয়ায় বেত্রাঘাতের ছবিছবি: Getty Images/AFP/C. Mahyuddin

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সুলতানি শাসনতন্ত্রের দেশ ব্রুনাই ২০১৪ সালে শরিয়া পেনাল কোড চালু করে৷ প্রথম পর্যায়ে ব্যভিচার বা শুক্রবারের জুম্মার নামাজে অংশ না নেয়ার জন্য জরিমানা ও জেলের বিধান চালু করা হয়৷

তবে শরিয়া পেনাল কোডের সবচেয়ে বড় শাস্তি হলো ব্যভিচারী, সমকামী ও ধর্ষকদের বেত্রাঘাত ও পাথর ছুড়ে হত্যা, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনার কারণে চালু করতে বিলম্ব করছে ব্রুনাই সরকার৷ তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো নিশ্চিত করেছে যে, আগামী ৩ এপ্রিল নাগাদ এসব শাস্তি পুরোদমে চালুর পরিকল্পনা আছে তাদের৷

এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার মানবাধিকার সংগঠন ‘দ্য ব্রুনাই প্রজেক্ট'এর কর্মী ম্যাথু উল্ফের সঙ্গে কথা বলেছে ডয়চে ভেলে৷ তিনি বলেছেন যে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কোনো কোনো অঞ্চলে শরিয়া আইন চালু থাকলেও ব্রুনাইয়ের মতো এত কঠোর অবস্থানে কেউ নেই৷ ‘‘দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু পকেট আছে যেখানে শরিয়া আইনের প্রয়োগ রয়েছে৷ যেমন মালয়শিয়ার কয়েকটি রাজ্যে এ ব্যবস্থা আছে৷ তবে কোথাও ব্রুনাইয়ের মতো এত কঠোর নয়,'' বলেন উল্ফে৷

ব্রুনাইয়ের এই আইন এলজিবিটি সম্প্রদায়ের ওপর প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন এই মানবাধিকার কর্মী৷ ‘‘ব্রুনাইতে সমকামের শাস্তি ব্রিটিশ ঔপনেশিবেশিক আমল থেকে৷ সেখানে সমকামের শাস্তি ১০ বছরের জেল৷ তবে আমার জানা মতে, এই আইন কখনো প্রয়োগ করা হয়নি,'' বলেন উল্ফে৷ ‘‘তবে এই নতুন আইন এলজিবিটি সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে৷''

তিনি বলেন, হঠাৎ করে কেন ব্রুনাই সরকার এই আইন প্রয়োগের ব্যাপারে তৎপর হয়ে উঠেছে, তা পরিষ্কার নয়৷ ‘‘আমার মনে হয় না, ব্রুনাইয়ের জনগণ এই আইন চালুর ব্যাপারে কোনো চাপ দিয়েছে, এবং সরকারও এ ব্যাপারে জনগণের সঙ্গে আলোচনা করেনি৷ অবশ্যই সেখানে অনেক মানুষ এই আইন ও তার প্রয়োগ নিয়ে উৎকন্ঠায় আছেন৷ তাই কেন এই আইনের ব্যাপারে সরকার আগ্রহী হয়ে উঠল তা পরিষ্কার নয়৷''

অ্যান-ক্রিস্টিন হ্যের্বে/জেডএ