1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্লগার অনন্ত হত্যা

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৯ জুন ২০১৫

সিলেটে ব্লগার অনন্ত হত্যার ২৭ দিনের মাথায় একজন স্থানীয় আলোকচিত্র সাংবাদিককে আটক এবং রিমান্ডে নেয়া নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে৷ ইদ্রিস আলী নামের ঐ সাংবাদিক ‘দৈনিক সবুজ সিলেট' এবং ঢাকার দৈনিক ‘সংবাদ' পত্রিকায় কাজ করেন৷

https://p.dw.com/p/1Fe2O
Bangladesch Proteste gegen den Mord an den Blogger Ananta Bijoy Das
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A.M. Ahad

তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি-র ইন্সপেক্টর আরমান আলী ডয়চে ভেলের কাছে দাবি করেন, ‘‘ফটো সাংবাদিক ইদ্রিস আলী কোনো না কোনোভাবে এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জানেন৷ তিনি হত্যাকাণ্ডের কয়েক মিনিটের মধ্যেই অনন্ত দাসের পড়ে থাকা রক্তাক্ত দেহের ছবি তুলেছেন৷''

১২ই মে সকালে খুন হন অনন্ত বিজয় দাস৷ আর ১৩ই মে সিলেটের স্থানীয় দৈনিক সুবজ সিলেট-এ খুনের ঘটনার এই ছবিটি ছাপা হয়৷ সিলেটের সুবিদবাজারে দুর্বৃত্তরা অনন্তকে কোপানোর পর কয়েক মিনিট তাঁর দেহ মাটিতে পড়েছিল৷ সেই অল্প কয়েক মিনিটে তোলা একটি ছবি ইদ্রিসের পত্রিকা সবুজ সিলেটে ছাপা হয়৷ ছবিতে দেখা যায় নিজ বাসার সামনে মাটিতে পড়ে আছে অনন্ত দাসের রক্তাক্ত দেহ৷ মাথা থেকে গড়িয়ে পড়ছে রক্ত৷ পাশেই বসে আহাজারি করছেন অনন্তের বোন৷ ছবির ক্যাপশনে বলা হয় ফেসবুক থেকে সংগৃহীত৷

কিন্তু পুলিশের দাবি ফেসবুকে ওই ছবির কোনো হদিশ পাওয়া যায়নি৷ সিআইডি-র দাবি, ‘‘ফেসবুকের সূত্র দিয়ে ছাপা হওয়া ছবিটি তুলেছিলেন জাতীয় দৈনিক সংবাদ এবং স্থানীয় দৈনিক সবুজ সিলেটের ফটো সাংবাদিক ইদ্রিস আলী৷ এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েই রোববার রাতে নিজ বাসা থেকে ইদ্রিসকে আটক করা হয়৷'' আটকের পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷ সোমবার দুপুরে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে তাঁকে৷

রিমান্ডের আবেদনে অনন্ত বিজয় হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডি-র পরিদর্শক আরমান আলী বলেছেন, ‘‘হত্যাকাণ্ডের সময় ইদ্রিস আলী ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল৷ পত্রিকায় ছাপা হওয়া ছবিটি ঘটনাস্থল থেকে ইদ্রিস তুলেছেন৷'' ইদ্রিস হত্যাকাণ্ডের সাথেসাথেই কিভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছালেন, কারা তাকে এ খবর দিলো রিমান্ডে এ সব ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে সিআইডি আদালতে রিমান্ড আবেদন জানায়৷

রিমান্ড আবেদনে সিআইডির পরিদর্শক আরমান আলী আরো উল্লেখ করেন, ‘‘মামলার তদন্তকালে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত ও বিভিন্ন সোর্সের পাওয়া তথ্যে প্রতীয়মান হয় আসামি মো. ইদ্রিস আলী এ ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত৷ তিনি একজন ‘‘জঙ্গি অপরাধী চক্রের সক্রিয় সদস্য৷''

ইদ্রিসের পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ইদ্রিস মাদ্রাসায় আলিম পর্যন্ত পড়াশোনা করে দৈনিক সংবাদ-এর সিলেটের ফটো সাংবাদিক হিসেবে যোগ দেন৷ স্থানীয় দৈনিক সবুজ সিলেট-এর ফটো সাংবাদিক হিসেবেও কাজ করতেন৷ তবে ইদ্রিসের গ্রেপ্তার নিয়ে তার পরিবারের সদস্যরা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি৷

তদন্ত কর্মকর্তা আরমান আলী জানান, ‘‘ইদ্রিসকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে৷ তবে এখন তা তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করা যাচ্ছে না৷''

গত ১২ই মে সকালে কর্মস্থলে যেতে বাসা থেকে বের হয়ে সিলেটের সুবিদবাজারের নূরানী আবাসিক এলাকার চৌরাস্তা মোড়ে পৌঁছালে অনন্তকে (৩২) কুপিয়ে হত্যা করা হয়৷ ঘটনার দিন রাতে সিলেটের বিমানবন্দর থানায় অনন্তের বড় ভাই বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা চারজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন৷ ২৫শে মে মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়৷ গত শুক্রবার থেকে ঢাকার সিআইডি-র একটি তদন্ত দল সিলেটে গিয়ে সরেজমিনে তদন্ত শুরু করে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান