1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভবিষ্যতের বাংলাদেশ : অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি

১৬ ডিসেম্বর ২০১০

শ্রমিক অসন্তোষ, ঘন-ঘন লোডশেডিং, কারখানায় আগুন, মৃত্যু - এইসব ভয়াবহ চিত্র সত্ত্বেও বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়ছে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে বাংলাদেশও আগের চেয়ে সবল৷ জার্মানিসহ ইউরোপের নানা দেশে বিনিয়োগেও উৎসাহী তারা৷

https://p.dw.com/p/Qcsm
Martin Biesel
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রসচিব মার্টিন বিজেলছবি: DW

পোশাকশিল্পে বাংলাদেশের কদর গোটা বিশ্বেই৷ গার্মেন্টস থেকেই বাংলাদেশের বড়োরকম বৈদেশিক মুদ্রা আয়৷ কিন্তু, কেবলমাত্র গার্মেন্টস শিল্পের ওপর নির্ভর করলে বাংলাদেশে মজবুত অর্থনৈতিক ভিত গড়ে তোলা সম্ভব নয়৷ আরো নানা ক্ষেত্রে, নানা সেক্টরে ব্যবসা-প্রসার আবশ্যক৷ এই ভাবনা পোক্ত করেই জার্মানিসহ ইউরোপ, অ্যামেরিকা, পৃথিবীর বহু ধনী দেশ বাংলাদেশে ব্যবসাবাণিজ্য উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে উৎসাহী৷ শুধুমাত্র আর্থিক সাহায্য দিয়েই নয়, কারিগরি প্রযুক্তিতেও সহায়তা দিতে প্রস্তুত৷

Speaker of Bangladesh parliament in Berlin
স্পিকার আব্দুল হামিদ’এর সঙ্গে বার্লিনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নান (ডানে)ছবি: DW

মুক্তিযুদ্ধের ৪০ বছর পূর্তির সূচনালগ্নে বার্লিনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যে বিনিয়োগ ও সম্ভাবনা নিয়ে সেমিনার হলো৷ বক্তাদের মধ্যে ছিলেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রসচিব মার্টিন বিজেল৷ সম্প্রতি বাংলাদেশ ঘুরে অসেছেন তিনিকয়েকজন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ৷ সেমিনারে মার্টিন বিজেল বলেন, বাংলাদেশে উন্নতমানের নিপুণ কারিগর, দক্ষ শ্রমিকও যথেষ্ট৷ এঁদের কাজে লাগানো জরুরি৷ তিনি আরো বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে বিনিয়োগ এবং কারিগরি প্রযুক্তি দিয়ে বাংলাদেশকে সাহায্য করবে জার্মানি৷

বার্লিনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নান জানান, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে অস্ট্রিয়াও বাণিজ্যশাখা খুলেছে ঢাকায়৷ অন্যদিকে, বাংলাদেশের সঙ্গে চেক প্রজাতন্ত্রের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিনিয়োগ এবং সম্পর্ক দৃঢ় করতে পদক্ষেপ নিচ্ছে৷

দূতাবাসের কমার্সিয়াল কাউন্সিলর আবদুর রউফ বলেন, গতমাসেই আমরা বাংলাদেশ-জার্মান চেম্বার অব কমার্স খুলেছি৷ বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরাও এই চেম্বারেসঙ্গে যুক্ত৷

প্রতিবেদন: দাউদ হায়দার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক