1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংসদের সামনে ফেসবুক কর্ণধার

১১ এপ্রিল ২০১৮

গত কয়েক দিন ধরে নানা সুরে ক্ষমা প্রার্থনা করছিলেন ফেসবুক প্রধান মার্ক সাকারবার্গ৷ এবার মার্কিন কংগ্রেসের দু-দুটি শুনানিতেও সেই সুর শোনা গেল৷ তবে ভাঙলেও মচকাবার পাত্র নন তিনি৷

https://p.dw.com/p/2vpOI
মার্কিন সংসদ সদস্যদের জেরার মুখে সাকারবার্গ
ছবি: picture-alliance/dpa/AP Photo/C. Kaster

জাঁদরেল সংসদ সদস্যদের প্রশ্নবানের সামনেও নতি স্বীকার করতে প্রস্তুত নন সাকারবার্গ৷ টি শার্ট ও জিনসের বদলে পুরোদস্তুর স্যুট পরে সংসদে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি৷ প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে ৪৪ জন সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন তিনি৷ তথ্য ফাঁস থেকে শুরু করে রাশিয়ার অবৈধ প্রভাবসহ ফেসবুকের নানা ত্রুটির জন্য বার বার ক্ষমা চেয়েছেন সাকারবার্গ৷ ভুলত্রুটির দায় নিয়ে পদত্যাগ করতে প্রস্তুত নন তিনি৷ কিন্তু এইসব দুর্বলতা দূর করতে কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দেন নি তিনি৷ শুধু প্রতিটি অভিযোগ নিয়ে ভবিষ্যতে নিজের টিম নিয়ে ‘ফলো আপ' বা সংসদের কাছে ফিরে আসার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি৷ তবে বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে অপব্যবহার রুখতে তিনি প্রস্তাবিত ‘অনেস্ট অ্যাডস অ্যাক্ট' নামের আইনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন৷

সাকারবার্গ বলেন, ফেসবুক প্রতিষ্ঠা করা তাঁর সিদ্ধান্ত ছিল৷ তিনি অবশ্যই ভুল করেছেন৷ তবে অতীতেও অনেক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করেছেন তিনি৷ বর্তমান চ্যালেঞ্জেরও সমাধান করবেন তিনি৷ 

সংসদে সাকারবার্গ যেভাবে প্রশ্নবানে জর্জরিত হয়েও নিজের অবস্থানে অটল ছিলেন, তার ফলে পুঁজিবাজারে কোম্পানির শেয়ারের মূল্য গত দুই বছরে সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছে গেছে৷ গত মাসে তথ্য ফাঁস কেলেঙ্কারির জের ধরে শেয়ারের মূল্য পড়ে গিয়েছিল৷ 

২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ নিয়ে শুধু ট্রাম্প প্রশাসন জেরবার হচ্ছে না, ফেসবুকের ভূমিকা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠছে৷ নির্বাচনের আগে রাশিয়ার এজেন্টরা ভুয়া নামে অ্যাকাউন্ট খুলে ছলে-বলে-কৌশলে মার্কিন ভোটারদের উপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালিয়েছে৷ খোদ ফেসবুক গত সেপ্টেম্বর মাসে এই অভিযোগ স্বীকার করেছে৷ অন্যদিকে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা নামের কোম্পানি বিশাল সংখ্যক ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ করে সমালোচনার ঝড় তুলেছে৷ এই দুটি বিষয়ের মধ্যে যোগসূত্রের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি সাকারবার্গ৷ মার্কিন ফেডারেল বাণিজ্য কমিশন বিষয়টির তদন্ত করছে৷ তাদের সঙ্গে এক চুক্তির আওতায় তথ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে দায়বদ্ধ ফেসবুক৷   

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য