1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতীয় সংসদে পরমাণু বিল অনুমোদনের পথে নতুন বাধা

২৩ আগস্ট ২০১০

আবারও বিজেপির আপত্তি৷ সংসদীয় স্থায়ী কমিটির যে রিপোর্ট বিজেপি অনুমোদন করেছিল, সরকার না জানিয়ে তার বয়ান পরিবর্তন করেছে, এই যুক্তিতে বিলে সম্মতি দেবেনা বিজেপি, যদি না তা সংশোধন করা হয়৷

https://p.dw.com/p/OuFT
প্রথমে অনুমোদন করেও শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসেছে বিজেপিছবি: UNI

বিজেপি'র বক্তব্য, পরমাণু দায়বদ্ধতা বিলে পরমাণু সাজসরঞ্জাম সাপ্লায়ারদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের বিষয়টি দ্ব্যর্থহীনভাবে উল্লেখ করতে হবে৷ পরমাণু দায়বদ্ধতা বিলের মূল খসড়ায় ছিল, পরমাণু কেন্দ্রে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে সরকার বিদেশি সাপ্লায়ারদের কাছ থেকে তখনই ক্ষতিপূরণ চাইতে পারবে, যদি প্রথমত দুপক্ষের নিজস্ব চুক্তিতে এটির উল্লেখ থাকে৷ দ্বিতীয়ত, বিদেশি সংস্থার ইচ্ছাকৃত গাফিলতি বা দোষে যদি দুর্ঘটনা ঘটে৷ বিজেপি বলছে,আদালতে ইচ্ছাকৃত ব্যাপারটা প্রমাণ করা বেশ শক্ত৷ বামদলগুলির মতে, বিদেশি সাপ্লায়াররা কখনই দেশীয় অপারেটরের সঙ্গে চুক্তিতে যেতে চাইবেনা৷ সে কারণে সরকার গোড়া থেকেই তাদের দায়মুক্তির পথ খুঁজছিল৷ পরিবর্তিত বয়ানে তাই বিদেশি সরবরাহকারী সংস্থাগুলির ক্ষতিপূরণের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেবার কথা বলায় বিল পাশ নিয়ে দেখা দিয়েছে নতুন জটিলতা৷ সরকারি মহল থেকে বলা হচ্ছে, বিদেশি সাপ্লায়ারদের ওপর অতিরিক্ত দায় চাপানো হলে তারা হয়ত এদেশে আসতে চাইবেনা৷ তবে সংসদে বিল পাশের আগে বিজেপির আপত্তি দূর করে আরো জনমুখী করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়৷ পর্যবেক্ষকদের মতে, তা নাহলে সরকারকে দাঁড়াতে হবে বিএসপি, এসপি কিংবা আরজেডির দরজায়৷ সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় সরকারে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও উচ্চকক্ষে নেই৷ মুশকিলটা সেখানেই৷

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরমাণু দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণের ব্যাপারটা কেমন৷ প্রাইস অ্যান্ডার্সন চুক্তি অনুসারে ন্যূনতম ক্ষতিপূরণ সাত বিলিয়ন ডলার৷ এক বৈজ্ঞানিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বড় রকম পরমাণু দুর্ঘটনায় প্রথম ধাক্কায় মারা যাবে সাড়ে তিন হাজার৷ পরে আরো ৪৫ হাজার৷ কোন কোন ক্ষেত্রে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াতে পারে ৫০ হাজারে৷ সম্পত্তির ক্ষতি ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ কোন কোন ক্ষেত্রে ৩১৪ বিলিয়ন ডলার৷ কাজেই ক্ষতিপূরণের জন্য আছে এক জাতীয় তহবিল৷ দাবি পেশের আগে ক্ষতিগ্রস্তদের চটজলদি ক্ষতিপূরণ দেবার সংস্থান আছে৷

বিল পাশ হলেই মার্কিন কোম্পানিগুলি ভারতের পরমাণু বাজারে ঢুকতে পারবেনা, যতক্ষণ না জাপানের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক অসামরিক পরমাণু চুক্তি হচ্ছে৷ কারণ মার্কিন পরমাণু রিয়্যাক্টার্স কোম্পানি জেনারেল মোটর্স এবং ওয়েস্টিংহাউসের আংশিক বা পূর্ণ মালিকানা জাপানের৷ জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল নতুনদিল্লিতে এবিষয়ে ভারতীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় বসেন৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন