1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে খুচরো বাজারে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ অনুমোদন

২৫ নভেম্বর ২০১১

ভারতের সুপার মার্কেট খাতে বিদেশি কোম্পানিগুলির প্রবেশ অনুমোদন করলো মনমোহন সিং সরকার৷ সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শরিকদল তৃণমূল কংগ্রেসসহ বিরোধী পক্ষের প্রতিবাদে সংসদ শুক্রবার তোলপাড়৷

https://p.dw.com/p/13HIH
ভারতে এবার বহুজাতিক সুপারমার্কেটগুলিকে দেখা যাবেছবি: picture alliance/dpa

আর্থিক সংস্কারের পথে এ হলো এক বড় পদক্ষেপ৷ খুচরো বাজারে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ অনুমোদন করলো মনমোহন সিং সরকার৷ মাল্টি-ব্র্যান্ডের ক্ষেত্রে ৫১% এবং সিঙ্গল ব্র্যান্ডের ক্ষেত্রে ১০০% মালিকানা থাকবে ওয়ালমার্ট, ক্যারিফোর, টেসকোর মত বড় বড় বিদেশি কোম্পানির হাতে৷

সরকারের এই সিদ্ধান্তে সংসদ তোলপাড়৷ শরিকদল তৃণমূল কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলি এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে দাবি জানালে শুরু হয় তীব্র বাকবিতন্ডা৷বিরোধীদের মতে এরফলে দেশের খুচরো ব্যবসায়ীরা মার খাবে যারওপর নির্ভরশীল প্রায় ২০ কোটি লোক৷ কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মা বলেন, খুচরো ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগে আগামী তিন বছরে এক কোটি কর্মসংস্থান হবে, অথচ দেশের ছোট ও খুচরো ব্যবসায়ীদের স্বার্থে আঁচ পড়বে না৷

Flash-Galerie Niedrige Preise Supermarkt
ভারতের বাজার অনেক বিশাল, তাই চাহিদাও বেশিছবি: picture-alliance/ dpa

সরকার যে আবার আর্থিক সংস্কারের পথে হাঁটছে তাতে খুশি শিল্প ও ব্যবসায়ী মহল৷ তাদের মতে এর ফলে ক্রেতারা উপকৃত হবে৷ কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাষ্ট্রিজের প্রধান চন্দ্রজিৎ বন্দোপাধ্যায় মনে করেন, বহু-ব্র্যান্ডের খুচরো ব্যবসায় কৃষকরা সরাসরি কোম্পানিগুলিকে পণ্য বিক্রির সুযোগ পাবে৷ পাশাপাশি জোগান বাড়লে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আসবে৷ তাছাড়া, এরফলে আরো হিমঘর তৈরি হবে, প্রযুক্তি আসবে, পেশাদারি ব্যবস্থাপনা আসবে, মধ্যস্বত্বভোগীদের শোষণ কমবে৷

সিপিআই সাংসদ নীলোৎপল বসু ডয়চে ভেলেকে তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বললেন, কর্মসংস্থান সঙ্কুচিত হবে৷ উৎপাদকরা অসম প্রতিযোগিতার মুখে পড়বে৷ প্রথমদিকে দামে কিছুটা ছাড় দিয়ে ক্রেতাদের মন জয় করবে৷ পরে বিপণন বিজ্ঞাপন ইত্যাদির খরচটা তুলে নেবে ক্রেতাদের পকেট থেকে৷ তথাকথিত আর্থিক প্রবৃদ্ধির লাভ কর্পোরেট জগতের একটা অংশের কুক্ষিগত৷ সাধারণ মানুষের অবস্থা খারাপই হচ্ছে বলে তাঁর দাবি৷

বিজেপি শীর্ষ নেতা ড. মুরলি মনোহর যোশীর বক্তব্য, প্রথম দিকে কৃষক ও উৎপাদকদের বেশি দাম দেবার টোপ দেবে৷ পরে কৃষকরা যখন তাদের সঙ্গে জুড়ে যাবে, অন্যরা বাজার থেকে বেরিয়ে যাবে, তখন দাম নিয়ন্ত্রণের একচেটিয়া ক্ষমতা তাদের হাতে চলে যাবে৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক