1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে গার্মেন্টসে আগুন

১১ নভেম্বর ২০১৬

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে একটি পোশাক কারখানায় আগুন লেগে অন্তত ১৩ জনের মৃত‌্যু হয়েছে, গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন আরও আটজন৷ শুক্রবার ভোরে দিল্লির গাজিয়াবাদ জেলার শহিদাবাদ এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে৷

https://p.dw.com/p/2SXQA
আগুন
প্রতীকী ছবিছবি: MANAN VATSYAYANA/AFP/Getty Images

পোশাক কারখানাটিতে রাতে ঘুমিয়ে ছিল শ্রমিকরা৷ এর মধ্যেই লাগে আগুন৷ তাই তাদের বাঁচার উপায় ছিল না৷ পোশাক কারখানার নীচ তলায় নকল চামড়ার জ্যাকেট কারখানায় ভোর চারটায় আগুনের সূত্রপাত৷ প্রথম তলায় বেশিরভাগ শ্রমিক ঘুমিয়ে ছিল৷ জ্যাকেটে আগুন লেগে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে৷ প্রত্যক্ষদর্শী শাহাবুদ্দীন আলী বলেন, প্রথম তলার শ্রমিকদের চিৎকার শুনে অন্য তলার শ্রমিকদের ঘুম ভাঙে এবং তারা পালাতে সক্ষম হয়৷ আগুন লাগার দু'ঘণ্টার মধ্যে দমকল কর্মীরা সেখানে উপস্থিত হয়৷ পুলিশ ১৩ জনের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, শর্ট সার্কিট বা সিগারেট থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে৷

পুলিশ কর্মকর্তা সালমান তাজ জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে তিনজন আগুনে পুড়ে মারা গেছে৷ বাকিদের শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ায় মৃত্যূ হয়েছে৷ দু'জন শ্রমিক ভবনের বারান্দা থেকে লাফ দিয়ে রক্ষা পেয়েছে৷ এছাড়া কারাখানার এক শ্রমিক সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানান, ভবনটির সিড়ি এত সরু যে সেখান থেকে বেরিয়ে আসাটাও ভীষণ কঠিন৷ এছাড়া কারাখানাটি অবৈধ বলেও ধারণা তাঁর৷ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, কারাখানার মালিকের কাছে তারা কাগজপত্র চাইবেন৷ তারপরই বোঝা যাবে এটি অবৈধ কিনা৷ পাশাপাশি দু'টি কারখানার মালিককে আটক করা হয়েছে বলে জানালেন তাজ৷

এই ঘটনার পর ভারতের মত বড় দেশে কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে আবারো প্রশ্ন উঠেছে৷ এলাকাটির অধিবাসীরা জানালেন, পুরো এলাকাটির বিভিন্ন গলিতে এমন অবৈধ কারখানা রয়েছে৷ এখানে এমন অনেক শ্রমিক কাজ করেন, যাঁরা অভিবাসী৷ তাঁরা নামমাত্র বেতনে সেখানে কাজ করেন৷ এছাড়া এমন কিছু ভবন আছে যেটার নীচ তলায় কারখানা এবং উপরতলায় মালিকের পরিবার থাকে৷

অভিবাসী শ্রমিক নওয়াজ আলম জানালেন, তিনি একটি জিন্স তৈরির কারখানায় কাজ করেন৷ উপায় না থাকায় অবৈধ কারখানায় কাজ করতে বাধ্য হন তিনি৷ তাঁর কথায়, তাঁদের খুবই কম বেতন দেয়া হয় এবং ঘর ভাড়া বাঁচাতে কারখানার দূষিত পরিবেশে থাকতে বাধ্য হন তাঁরা৷ গত মাসেই তামিলনাড়ুর এক কারখানায় আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণে আট শ্রমিকের মৃত‌্যু হয়৷ ২০১৪ সালের মে মাসে মধ‌্যপ্রদেশে আরেক আতশবাজির কারখানায় আগুন লেগে নিহত হন ১৫ জন৷

দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ দেশেই এমন অমানবিক পরিবেশে কাজ করেন পোশাক শ্রমিকরা৷ সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিল বাংলাদেশ৷ ২০১৩ সালের এপ্রিলে রানা প্লাজায় ভবন ধসে ১,১৩৮ মানুষের মৃত্যু হয়৷ এছাড়া এ বছরও সেপ্টেম্বরে ঢাকায় একটি কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে ২৫ শ্রমিকের মৃত্যু হয়৷ ২০১২ সালে ১১১ জন শ্রমিক প্রাণ হারান ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় আগুন লেগে৷

এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য