1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে বাঘ-বাঘিনীর সংখ্যা বাড়ছে

২৮ মার্চ ২০১১

সারা বিশ্বে মাত্র পাঁচ হাজার ডোরা-কাটা বাঘ বেঁচে রয়েছে – এরকম বিজ্ঞাপন আমরা দেখেছি টেলিভিশনের জনপ্রিয় চ্যানেল ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এবং এ্যানিম্যাল প্ল্যানেটে৷ বাঘের এই প্রজাতিকে রক্ষা করতে সাহায্যের আবেদন জানানো হত৷

https://p.dw.com/p/10j5B
ভারতে বাঘের সংখ্যা গত এক দশকে বেড়েছেছবি: AP

বলতেই হচ্ছে বিজ্ঞাপনে কাজ হয়েছে৷ কারণ ভারতে বাঘের সংখ্যা গত এক দশকে বেড়েছে৷

এবং এই প্রথমবারের মত ভারতে বাঘের সংখ্যা বাড়ল৷ বাঘের গণনা সম্পন্ন করার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হবে আগামী শনিবারে৷ ২০০৯-১০ সালের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভারতে বাঘের সংখ্যা ১,৫১০ থেকে ১,৫৫০'এ উন্নীত হয়েছে৷ ২০০৪-০৫ সালে যা ছিল এক হাজার চারশো এগারো৷

ইন্টারন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশনের একটি সম্মেলন আজ নতুন দিল্লিতে শুরু হবে৷ বিশ্বে যত বাঘ রয়েছে, তার অর্ধেকেরও বেশি রয়েছে শুধু ভারতেই৷ বাঘ বাঁচাতে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা খুবই কার্যকরী বলে ভারত সরকার জানিয়েছে৷

Flash-Galerie Tiger (Indien)
বিশ্বে যত বাঘ রয়েছে, তার অর্ধেকেরও বেশি রয়েছে শুধু ভারতেইছবি: AP

যারা বন্য প্রাণী রক্ষায় কাজ করছেন তারা এই খবরে খুবই আনন্দিত৷ তারা জানান, খুবই তীক্ষ্ণ নজর রাখা হচ্ছে বাঘ রক্ষা করতে৷ এর সুফল শেষ পর্যন্ত পাওয়া গেছে৷

ভারতের বন্যপ্রাণী রক্ষায় কাজ করছে ‘ওয়াইল্ড লাইফ প্রোটেকশন সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া'৷ সেখানে কাজ করেন, টিটো জোসেফ৷ তিনি বলেন, ‘‘বাঘ গণনা করা হয়েছে ঠিকই, তবে কিছু অঞ্চল বাকি রয়েছে যেখানে যাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি৷ যেমন সুন্দরবন৷ সেখানে কয়েকশ বাঘ থাকে৷ সুন্দরবনে ২০০৪ সালে মাত্র ৩৩ টি টাইগার রিজার্ভ ছিল, এখন তা বেড়ে ৩৯এ দাঁড়িয়েছে৷ নিঃসন্দেহে তা বাঘের সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করেছে৷''

তিনি আরো জানান,‘‘বাঘের বেড়ে ওঠায় সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন খোলামেলা জায়গার৷ বাঘ যত বেশি জায়গা পাবে, তত বেশি এবং দ্রুত তাদের সংখ্যা বাড়বে৷''

১৯৪৭ সালে শুধু ভারতবর্ষেই ছিল প্রায় ৪০ হাজার বাঘ৷ আর সারা বিশ্বে ২০০২ সালে বাঘের সংখ্যা ছিল মাত্র তিন হাজার সাতশো৷

শিকারীদের হাত থেকে বন্য এই প্রাণীকে রক্ষা করতে এশিয়ার অনেক দেশ হাতে নিয়েছে বেশ কিছু প্রকল্প৷ যে সব সমস্যার কারণে বাঘ হারিয়ে যাচ্ছে তার প্রতিটিই মানুষের হাতে তৈরি৷ প্রকৃতি কখনোই অসম্ভব সুন্দর এই প্রাণীকে বিলুপ্ত করার কথা ভাবেনি৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন