1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে সন্ত্রাসীদের গৈরিক মুখ

১৩ জানুয়ারি ২০১১

২০০৭ সালে সমঝোতা এক্সপ্রেস ট্রেনের বিস্ফোরণ কাণ্ডের প্রধান আসামি স্বামী অসীমানন্দকে আজ ২৭শে জানুয়ারি পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিশেষ আদালত৷ গত বছরের নভেম্বর মাসে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়৷

https://p.dw.com/p/zx9C
Samjauta Express
সমঝোতা এক্সপ্রেস ট্রেনের বিস্ফোরণের পরছবি: AP

সমঝোতা এক্সপ্রেস, হায়দ্রাবাদের মক্কা মসজিদ, আজমের দরগা ও মহারাষ্ট্রের মালেগাঁও বোমা বিস্ফোরণ কান্ডে জড়িত সন্দেহে ধৃত উগ্র হিন্দুত্ববাদি সংগঠন আরএসএস-এর শীর্ষ কর্মকর্তা স্বামী অসীমানন্দ তদন্তকারী এজেন্সিগুলির জেরার মুখে কবুল করেন, কীভাবে তিনি এবং সংগঠনের অন্যান্যরা এই সব বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র করেছিলেন৷ অন্যান্যদের নামও তিনি উল্লেখ করেন৷ যার মধ্যে ছিলেন ইন্দ্রেশ কুমার, সুনীল যোশী প্রমুখ৷ রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হলে জাতীয় তদন্তকারী এজেন্সি এনআইএ আজ তাঁকে বিশেষ আদালতে হাজির করলে বিচারক ২৭শে জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার আদেশ দেন৷ এনআইএ এবং মহারাষ্ট্র ও রাজস্থানের অ্যান্টি-টেররিস্ট স্কোয়াড (এটিএস) অসীমানন্দকে আরো জেরা করার অনুমতি চেয়েছে৷ মহারাষ্ট্র এটিএস অসীমানন্দকে মালেগাঁও বিস্ফোরণ সম্পর্কে আরো জেরা করতে আজ আসছে হরিয়ানায়৷

২০০৭ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলাচলকারি সমঝোতা এক্সপ্রেস ট্রেনে বিস্ফোরণে নিহত হয় ৬৭জন৷ তার মধ্যে ৪২জন পাকিস্তানি নাগরিক৷ অসীমানন্দের স্বীকারোক্তির প্রতিক্রিয়া হয় ঘরে বাইরে৷ পাকিস্তান সরকার এই স্বীকারোক্তির পর ভারতের কাছে সমঝোতা এক্সপ্রেস বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্ত রিপোর্ট চেয়েছে৷ এজন্য ইসলামাবাদে ভারতের সহকারী হাই কমিশনারকে বিদেশ দপ্তরে তলব করা হয়৷ উত্তরে ভারত বলেছে রিপোর্ট পাঠাবার সময় আসেনি৷ এটা ২৬/১১-এর মুম্বই হামলায় দোষীদের শাস্তি দেবার বিষয়ে পাকিস্তানের ওপর ভারতের চাপ সৃষ্টির পাল্টা চাল বলে মনে করা হচ্ছে৷ ২০০৬ সালে মালেগাঁও বিস্ফোরণে জড়িত সন্দেহে যে ৯জন স্থানীয় যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাঁদের মুক্তি দেবার দাবি উঠেছে৷ মালেগাঁও বিস্ফোরণে মারা যায় ৩৭জন আহত ১২৫-এর বেশি৷

স্বামী অসীমানন্দের আসল নাম যতীন চ্যাটার্জী৷ আদি বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায়৷ ৯০-এর দশক থেকে থাকতে শুরু করেন গুজরাটের ড্যাং জেলায়৷ সেখানে তিনি শবরিধাম আশ্রম চালান৷ মাঝেমধ্যে হরিদ্বারে থাকতেন৷ সেখানেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন