1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত: অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনকে কমিটির অনুমতি

১ জানুয়ারি ২০২১

ভারতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞ কমিটির অনুমোদন পেল। এবার ড্রাগ কন্ট্রোলারের অনুমতি পেলে টিকা দেয়া শুরু হবে।

https://p.dw.com/p/3nQfC
ভারতে এবার ভ্যাকসিন চালুর ঘোষণা হতে পারে । ছবি: picture-alliance/Flashpic

নতুন বছরের প্রথম দিনেই ভারতীয়দের জন্য সুখবর।  ভারতে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড চালুর ছাড়পত্র দিল বিশেষজ্ঞ কমিটি। এখন ড্রাগ কন্ট্রোলারের অনুমোদন পেলেই অক্সফোর্ডের টিকা দেয়া শুরু হয়ে হবে। তখন কবে থেকে ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হবে তা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানাবে। 

বিশেষজ্ঞ কমিটি শুক্রবার দুইটি ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেয়া নিয়ে আলোচনা করেছে। তার মধ্যে অক্সফোর্ডের ভ্য়াকসিন অনুমোদন পেয়েছে বলে সূত্র জানাচ্ছে। ভারত বায়োটেক এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চের তৈরি করা ভ্যাকসিন নিয়ে রাত পর্যন্ত আলোচনা করেছে কমিটি। বায়োনটেক-ফাইজারও ভ্যাকসিনের অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু তারা জানিয়েছে, যাবতীয় তথ্য জমা দিতে আরো কিছুদিন সময় লাগবে। তাই শুক্রবার দুইটি ভ্যাকসিন চালু করা নিয়েই কমিটি আলোচনা করেছে। 

কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে জানিয়েছে, জানুয়ারিতেই ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হয়ে য়াবে। 

শনিবার থেকে দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে করোনার টিকা দেয়ার জন্য ড্রাই রান। অর্থাৎ, করোনার টিকা দেয়ার পরিকাঠামো শেষবারের মতো দেখে নেয়া। যাঁদের প্রথমে টিকা দেয়া হবে, সেই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ভ্যাকসিন সেন্টারে নিয়ে এসে দেখে নেয়া হবে, সবকিছু মসৃনভাবে চলছে কি না।

ভারতের মতো ১৩০ কোটির দেশে সকলকে করোনার প্রতিষেধক দেয়াটা বিশাল কর্মযজ্ঞ। একটু বেচাল হলেই পুরো প্রক্রিয়া ঘেঁটে যেতে পারে। সে জন্যই সব রাজ্যে ড্রাই রান দেয়া হচ্ছে। ঠিক হয়েছে, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য

কর্মীরা প্রথমে এই টিকা পাবেন। তারপর টিকা দেয়া হবে, পুলিশ, পুরসভার কর্মী সহ করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পুরোভাগে থাকা কর্মীদের। সেই সঙ্গে বয়স্ক নাগরিক এবং যাঁরা শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিস সহ বিভিন্ন গুরুতর রোগে ভুগছেন, তাঁরা করোনার টিকা পাবেন। তারপর অন্যদের পালা আসবে।

সেরামের হাতে এখনই সাত কোটির মতো ভ্যাকসিন রয়েছে। দুইটি ডোজে ভ্যাকসিন নিতে হবে। তাই এখনই সাড়ে তিন কোটি মানুষকে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন দেয়ার জায়গায় ভারত আছে। মার্চের মধ্যে আরো তিন কোটি ভ্যাকসিন তাঁদের কাছে এসে যাবে। ফলে চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মী ও করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পুরোভাগে থাকা মানুষরা ততদিনে ভ্যাকসিন পেয়ে যাবেন।

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)