‘ভালোবাসার টানে আবার লিখলাম’ | পাঠক ভাবনা | DW | 15.07.2013
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

‘ভালোবাসার টানে আবার লিখলাম’

ভেবেছিলাম আর লিখবো না, কিন্তু ভালোবাসার টানে আবার লিখতে বাধ্য হলাম৷ কয়েকদিন আগেই আপনারা ‘পাঠক ভাবনা’ পাতাটি তুলে দেবার কথা জানিয়েছিলেন৷ তারপরও বেশ কিছু পাঠক বন্ধু এই অংশটি চালু রাখার পক্ষে৷

আমিও তাঁদের মতকেই সমর্থন করছি৷ সাথে সাথে এই অপ্রিয় সত্য কথাটি আর না বলে পারছি না যে, আপনারা রেডিও অনুষ্ঠান বন্ধ করার সময় কিন্তু আমাদের কাছ থেকে কোনো মতামত চাননি, যা আপনাদের স্বেচ্ছাচারিতার নামান্তর৷ আর দিনকে দিন ডিডাব্লিউ বাংলা সমালোচনা-অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে৷ যেমন আমি এর আগে আপনাদের সমালোচনা করে অনেকবার লিখলেও, তা আপনারা সাইটে প্রকাশ করতে ভয় পেয়েছেন বা করেননি৷

আপনাদের সবসময় মনে রাখা উচিত যে, এই একবিংশ শতকে দাঁড়িয়ে কোনো সংবাদমাধ্যমই আর একমুখো নীতি নিয়ে চলতে পারে না৷ সেখানে পাঠক/দর্শকদের মতামতকে গুরুত্ব দিতেই হবে৷ যাঁদের জন্য এত আয়োজন তাঁরা যদি মন খুলে মনের কথা আপনাদের নাই-ই জানাতে পারে, তবে আর কিসের সার্থকতা? আশা রাখবো ডিডাব্লিউ বাংলা আরো বেশি করে পাঠকদের চাহিদাকে প্রাধান্য দেবে, তাঁদের কথা শুনবে এবং তাঁদের সাথে যোগাযোগের বন্ধন আরো মজবুত করবে৷

- পাঠক বন্ধু অর্থাৎ, আপনাদের কাছ থেকে সেভাবে মতামত না পাওয়ার কারণেই কিন্তু একথা ভাবা হচ্ছিলো৷ আপনারা যদি আগের মতো নিয়মিত লেখেন, তাহলে ‘পাঠক ভাবনা' বন্ধ করার কোনো প্রশ্নই আসবে না৷

আর হ্যাঁ, নতুন ধাঁধা চালু হচ্ছে জেনে খুব খুশি হলাম৷ আশা করছি অংশ নেব এবং পুরস্কার জিততে পারবো৷ এর আগে অনেক প্রতিযোগিতাতে অংশ নিয়েও কোনো পুরস্কার পাইনি৷ যাই হোক অংশগ্রহণই বড় কথা৷ তবে দেখতে হবে ‘ছবি খুঁজুন, পুরস্কার জিতুন' বা মাসিক কুইজ-এর মতো যেন না হয়৷ কারণ আপনারা কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই উক্ত প্রতিযোগিতা দুটি সম্পর্কে কোনো আপডেট দিচ্ছেন না৷ এটাও আপনাদের একটা দোষের মধ্যেই পড়ে৷

- আমাদের ‘ছবি খুঁজুন, পুরস্কার জিতুন' প্রতিযোগিতাটি কিন্তু নিয়মিতই চলছে৷ তবে শুধু সপ্তাহান্তে অর্থাৎ, শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত৷

যাই হোক, ডিডাব্লিউ-এর কল্যাণার্থেই গঠনমূলক সমালোচনা প্রয়োজন এবং সেকারণেই ‘পাঠক ভাবনা' পাতাটি টিকিয়ে রাখা জরুরি৷ সবশেষে এটাই বলতে চাই যে, পাঠক/দর্শক/শ্রোতাদের মতামতকে যদি আপনারা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা না করেন, তবে অচিরেই আমরা আপনাদের ছুড়ে ফেলে দেবো৷ আর আপনাদের খাঁটি ভালোবাসা পেলে আমরাও তার মূল্য দিতে কার্পণ্য করব না৷ ভালোবাসাসহ, ইয়ামিন হোসেন, পাটিকাবাড়ি, নওদা, মুর্শিদাবাদ থেকে এই লম্বা ই-মেলে তাঁর মনের কথা জানিয়েছেন৷

সম্প্রতি বাংলাদেশে বিসিএস পরীক্ষায় কোটা বাতিলের দাবিতে ছাত্ররা আন্দোলন করছেন৷ আমি এটাকে সাধুবাদ জানাই৷ এই নিয়ে আপনাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন জনের মতামত পড়লাম৷ কিন্তু আপনাদের প্রতিনিধির স্বতন্ত্র একটি রিপোর্ট থাকলে আরো ভালো জানো যেত৷ আমি ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ৩১ এবং ৩২তম বিসিএস-এ অংশ নিয়ে তিনবার ‘ভাইভা'-তে আটকে যাই৷ আমাদের দেশের হাজারো ভালো ছাত্ররা এই কোটার যাতায় পড়ে পিষ্ট হচ্ছে নিয়মিত৷ অথচ এক শ্রেণির কোটার মালিকের ছেলে-মেয়ে, নাতি-পুতিরা বিশেষ সুবিধা ভোগ করছে৷ এটা আসলেই একটা জঘন্য কাজ৷ বাপ-দাদার দলিলের বিনিময়ে চাকরি – পৃথিবীর আর কোনো দেশে আছে বলে আমার জানা নেই৷ এই জঘন্য প্রথার বিলোপ করে সবার জন্য সমান সুবিধা রেখে একটি আইন করা জরুরি বলে আমি মনে করি৷

ওয়েবসাইটের ছবিঘরে ‘হ্যাপি রমজান' শীর্ষক ছবিঘরটি আমাদের জন্য এই বিশেষ সময়ে একটি উপহার৷ এটা দেয়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই৷ তাছাড়া বিদেশে কিভাবে রোজা, সেহরি বা ইফতার করা হয় তা জানার আগ্রহ তো সবারই৷ বেশ ভালো লাগলো ছবিগুলো দেখে, ধন্যবাদ৷ ভালো থাকবেন সবাই৷ মো. সোহেল রানা হৃদয়, ঢাকা সেনানিবাস, ঢাকা থেকে লিখেছেন৷

- ধন্যবাদ দু'জনকেই৷ আমাদের হাতে আরো কয়েরকটি ই-মেল রয়েছে, সেগুলো আগামীতে প্রকাশ করা হবে৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

নির্বাচিত প্রতিবেদন