ভেবেছিলাম আর লিখবো না, কিন্তু ভালোবাসার টানে আবার লিখতে বাধ্য হলাম৷ কয়েকদিন আগেই আপনারা ‘পাঠক ভাবনা’ পাতাটি তুলে দেবার কথা জানিয়েছিলেন৷ তারপরও বেশ কিছু পাঠক বন্ধু এই অংশটি চালু রাখার পক্ষে৷
আমিও তাঁদের মতকেই সমর্থন করছি৷ সাথে সাথে এই অপ্রিয় সত্য কথাটি আর না বলে পারছি না যে, আপনারা রেডিও অনুষ্ঠান বন্ধ করার সময় কিন্তু আমাদের কাছ থেকে কোনো মতামত চাননি, যা আপনাদের স্বেচ্ছাচারিতার নামান্তর৷ আর দিনকে দিন ডিডাব্লিউ বাংলা সমালোচনা-অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে৷ যেমন আমি এর আগে আপনাদের সমালোচনা করে অনেকবার লিখলেও, তা আপনারা সাইটে প্রকাশ করতে ভয় পেয়েছেন বা করেননি৷
আপনাদের সবসময় মনে রাখা উচিত যে, এই একবিংশ শতকে দাঁড়িয়ে কোনো সংবাদমাধ্যমই আর একমুখো নীতি নিয়ে চলতে পারে না৷ সেখানে পাঠক/দর্শকদের মতামতকে গুরুত্ব দিতেই হবে৷ যাঁদের জন্য এত আয়োজন তাঁরা যদি মন খুলে মনের কথা আপনাদের নাই-ই জানাতে পারে, তবে আর কিসের সার্থকতা? আশা রাখবো ডিডাব্লিউ বাংলা আরো বেশি করে পাঠকদের চাহিদাকে প্রাধান্য দেবে, তাঁদের কথা শুনবে এবং তাঁদের সাথে যোগাযোগের বন্ধন আরো মজবুত করবে৷
- পাঠক বন্ধু অর্থাৎ, আপনাদের কাছ থেকে সেভাবে মতামত না পাওয়ার কারণেই কিন্তু একথা ভাবা হচ্ছিলো৷ আপনারা যদি আগের মতো নিয়মিত লেখেন, তাহলে ‘পাঠক ভাবনা' বন্ধ করার কোনো প্রশ্নই আসবে না৷
আর হ্যাঁ, নতুন ধাঁধা চালু হচ্ছে জেনে খুব খুশি হলাম৷ আশা করছি অংশ নেব এবং পুরস্কার জিততে পারবো৷ এর আগে অনেক প্রতিযোগিতাতে অংশ নিয়েও কোনো পুরস্কার পাইনি৷ যাই হোক অংশগ্রহণই বড় কথা৷ তবে দেখতে হবে ‘ছবি খুঁজুন, পুরস্কার জিতুন' বা মাসিক কুইজ-এর মতো যেন না হয়৷ কারণ আপনারা কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই উক্ত প্রতিযোগিতা দুটি সম্পর্কে কোনো আপডেট দিচ্ছেন না৷ এটাও আপনাদের একটা দোষের মধ্যেই পড়ে৷
- আমাদের ‘ছবি খুঁজুন, পুরস্কার জিতুন' প্রতিযোগিতাটি কিন্তু নিয়মিতই চলছে৷ তবে শুধু সপ্তাহান্তে অর্থাৎ, শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত৷
যাই হোক, ডিডাব্লিউ-এর কল্যাণার্থেই গঠনমূলক সমালোচনা প্রয়োজন এবং সেকারণেই ‘পাঠক ভাবনা' পাতাটি টিকিয়ে রাখা জরুরি৷ সবশেষে এটাই বলতে চাই যে, পাঠক/দর্শক/শ্রোতাদের মতামতকে যদি আপনারা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা না করেন, তবে অচিরেই আমরা আপনাদের ছুড়ে ফেলে দেবো৷ আর আপনাদের খাঁটি ভালোবাসা পেলে আমরাও তার মূল্য দিতে কার্পণ্য করব না৷ ভালোবাসাসহ, ইয়ামিন হোসেন, পাটিকাবাড়ি, নওদা, মুর্শিদাবাদ থেকে এই লম্বা ই-মেলে তাঁর মনের কথা জানিয়েছেন৷
সম্প্রতি বাংলাদেশে বিসিএস পরীক্ষায় কোটা বাতিলের দাবিতে ছাত্ররা আন্দোলন করছেন৷ আমি এটাকে সাধুবাদ জানাই৷ এই নিয়ে আপনাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন জনের মতামত পড়লাম৷ কিন্তু আপনাদের প্রতিনিধির স্বতন্ত্র একটি রিপোর্ট থাকলে আরো ভালো জানো যেত৷ আমি ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ৩১ এবং ৩২তম বিসিএস-এ অংশ নিয়ে তিনবার ‘ভাইভা'-তে আটকে যাই৷ আমাদের দেশের হাজারো ভালো ছাত্ররা এই কোটার যাতায় পড়ে পিষ্ট হচ্ছে নিয়মিত৷ অথচ এক শ্রেণির কোটার মালিকের ছেলে-মেয়ে, নাতি-পুতিরা বিশেষ সুবিধা ভোগ করছে৷ এটা আসলেই একটা জঘন্য কাজ৷ বাপ-দাদার দলিলের বিনিময়ে চাকরি – পৃথিবীর আর কোনো দেশে আছে বলে আমার জানা নেই৷ এই জঘন্য প্রথার বিলোপ করে সবার জন্য সমান সুবিধা রেখে একটি আইন করা জরুরি বলে আমি মনে করি৷
ওয়েবসাইটের ছবিঘরে ‘হ্যাপি রমজান' শীর্ষক ছবিঘরটি আমাদের জন্য এই বিশেষ সময়ে একটি উপহার৷ এটা দেয়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই৷ তাছাড়া বিদেশে কিভাবে রোজা, সেহরি বা ইফতার করা হয় তা জানার আগ্রহ তো সবারই৷ বেশ ভালো লাগলো ছবিগুলো দেখে, ধন্যবাদ৷ ভালো থাকবেন সবাই৷ মো. সোহেল রানা হৃদয়, ঢাকা সেনানিবাস, ঢাকা থেকে লিখেছেন৷
- ধন্যবাদ দু'জনকেই৷ আমাদের হাতে আরো কয়েরকটি ই-মেল রয়েছে, সেগুলো আগামীতে প্রকাশ করা হবে৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ