1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চাই ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবার

ফাবিয়ান শ্মিট/আরবি১১ আগস্ট ২০১৪

বিশ্বে আনুমানিক প্রায় দুই বিলিয়ন মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে৷ আফ্রিকা হোক অথবা দক্ষিণ এশিয়া – গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের অভাবে অপুষ্টিজনিত অসুখ-বিসুখে ভুগছে তারা৷ ভিটামিন ও খাদ্যের পরিপূরক কী এই অভাব পূরণ করতে পারে?

https://p.dw.com/p/1CrsK
Sudan Weizen Hand
ছবি: picture-alliance/dpa

সুখবর হলো, বিশ্বের জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়া সত্ত্বেও ক্ষুধার্ত মানুষের সামগ্রিক সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমান ১৯৯০ থেকে ১৯৯২ সালের মধ্যে দুই বিলিয়নেরও বেশি মানুষ ছিলেন ক্ষুধার শিকার৷ আজ এই সংখ্যাটা ৮৪২ মিলিয়ন৷

তবে বিশ্বের দুই বিলিয়ন মানুষ তথাকথিত ‘সুপ্ত ক্ষুধায়' ভুগছে৷ ফলে তাদের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে পড়ছে৷ ভিটামিনের অভাবজনিত অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে৷ বরণ করতে হচ্ছে অন্ধত্ব৷

Welthungerhilfe Wolfgang Jamann
বিশ্বখাদ্যসংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও বোর্ডের চেয়ারম্যান ভল্ফগাং ইয়ামানছবি: picture-alliance/dpa

ভিটামিনের ঘাটতিতে ভুগছে বহু মানুষ

বিশেষ করে ভারত, বাংলাদেশ, আফ্রিকার বিস্তৃত অঞ্চল এর আওতায় পড়ে৷ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অনাহারের মতো পুষ্টিহীন খাবারের ওপর নির্ভরশীলতাও মানুষের এক বড় সমস্যা৷ ‘‘যেমন পূর্ব ও দক্ষিণ আফ্রিকার বহু মানুষ শুধু ভুট্টার জাউ খেয়ে জীবনধারণ করে৷'' বলেন বিশ্বখাদ্যসংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও বোর্ডের চেয়ারম্যান ভল্ফগাং ইয়ামান৷

পেট ভরলেও একপেশে খাবার খেয়ে ভিটামিনের ঘাটতিতে ভুগছে সেখানকার মানুষ৷ একই প্রবণতা লক্ষ্য করা যায় সে সব অঞ্চলে, যেখানে ভাতই প্রধান খাদ্য৷ খোসা ছাড়ানো সাদা চালের ভাতে ভিটামিনও তেমন থাকে না৷ এরফলে বিশেষ করে ভিটামিন এ-র অভাবজনিত রোগব্যাধি দেখা দেয়৷ একারণে ৩০০,০০০ থেকে ৭০০,০০০ শিশু মারা যায়৷ চোখের দৃষ্টি হারায় ৩০০,০০০ শিশু৷ আয়োডিন, আয়রন ও ফলিক অ্যাসিডের অভাবে ভোগেন গর্ভবতী ও স্তন্যদায়ী মায়েরা৷ জন্ম হতে পারে বিকলাঙ্গ ও মানসিক প্রতিবন্ধী বাচ্চার৷ মৃত্যুও হতে পারে বাচ্চার৷

প্রয়োজন খাদ্যপ্রাণ

ভাত ও রুটির মতো প্রধান খাদ্যের পাশাপাশি আমাদের প্রয়োজন ফলমূল, তরিতরকারি এবং ডিম, দুধ, মাছ মাংস৷ এ সব কেনার সামর্থ্য অনেকেরই নেই৷ এই সমস্যার একটা সমাধান হতে পারে, যদি প্রধান খাদ্যে এইসব ভিটামিন মেশানো যায়, বলেন ইয়ামান৷

বিশ্বের ৮০টি দেশে এই প্রক্রিয়াটি আইনত বাধ্যতামূলক৷ যেমন জাম্বিয়ায় ভুট্টায় ভিটামিন-এ এবং ডি মেশাতে হয়৷

এছাড়া বাড়িতেও খাদ্যদ্রব্যের সাথে ভিটামিন মেশানো করা যায়৷ যেমন, খাবারের ওপর মাল্টিভিটামিনের পাউডার ছড়িয়ে৷

আরেকটি পদ্ধতি হলো, নতুন প্রজাতির ফসল ও শস্য উৎপাদন করা, যা আপনা আপনি বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ হবে৷

এক্ষেত্রে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে মিষ্টি আলু, বিন ও ভুট্টার পরীক্ষামূলক উৎপাদন চলছে৷ ভারত ও পাকিস্তানে গম, জব ও চাল নিয়ে গবেষণা চলছে৷ এছাড়া এক ধরনের সবজি-কলাও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বিশেষজ্ঞদের, যা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ তৈরি করতে পারে৷

আশার আলো নতুন প্রজাতির শস্য

তবে নতুন প্রজাতির শস্য ভোক্তাদের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য হবে, তা দেখার বিষয়৷ ‘‘অধিকাংশ পরীক্ষা-নিরীক্ষার সাফল্য এখন পর্যন্ত গবেষণাগারেই অর্জিত হয়েছে৷ মানুষ তা কীভাবে নেবে সেব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷''

ফিলিপাইন্সে কৃষিখেতে জিন পরিবর্তন করা ভিটামিন-এ যুক্ত সোনালি ধান চাষ করেও আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যায়নি৷ এছাড়া খাদ্যপ্রাণযুক্ত নতুন ধরনের প্রজাতির ফসল উৎপাদন করতে হলে এসব বীজের মূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকতে হবে চাষিদের৷

নতুন প্রজাতির ফসলের দাম আকাশচুম্বী হলে মূল লক্ষ্য থেকেই বিচ্যুত হতে হবে৷ কেননা ‘সুপ্ত ক্ষুধার' সমস্যা মূলত এক দারিদ্র্যজনিত সমস্যা৷ ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবারের দাম চড়া হলে ভুক্তভোগীরা তা কিনতে পারবেন না, শেষ পর্যন্ত অপুষ্টির সমস্যাটা থেকেই যাবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য