1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভিনগ্রহের প্রাণী হয়তো মেরেলিন মনরোর মত দেখতে নয়- হকিং

১ মে ২০১০

এই পৃথিবীর মানুষই কি কেবল বুদ্ধিমান? প্রশ্নের উত্তরটা এতো সহজ নয়৷ এ সময়ের শ্রেষ্ঠ পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং বললেন, ভিনগ্রহে মানুষের মতো মেধাসম্পন্ন প্রাণীর অস্তিত্ব থাকলেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ৷

https://p.dw.com/p/NCHD
স্টিফেন হকিংছবি: AP

স্টিফেন হকিং-এর কথায়, এই পৃথিবীর বাইরে অন্য কোন গ্রহে হয়তো রয়েছেন আরও বুদ্ধিমান প্রাণীরা৷

স্টিফেন হকিং-এর নতুন এই বক্তব্য বিশ্বব্যাপী মানুষকে নতুন করে চিন্তা করতে সহায়তা করছে৷ এরই মধ্যে সিএনএনসহ বেশ কয়েকটি শীর্ষ সংবাদ মাধ্যম এ বিষয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করেছে৷ সিএনএন হকিংকে প্রশ্ন করেছিল, তাঁর মতে কেমন চেহারা হতে পারে ভিনগ্রহের প্রাণীগুলোর? হকিং এর মধ্যে যে খুব রস রয়েছে তা আবারো প্রমাণ করলেন তিনি৷ ভিডিও সাক্ষাত্কারে বললেন, না, ওরা হয়তো মেরেলিন মনরোর মত দেখতে নয়৷ কিন্তু তাদের পা রয়েছে, কারণ তাদের চলাফেরা করতে হয়৷ তাদের রয়েছে চোখ, কারণ তাদের দেখতে হয়৷ তাদের অনুভবের শক্তিও হয়তো রয়েছে৷ তিনি বলেন, শুধু সংখ্যার বিষয়টি বিবেচনা করলেই ভিনগ্রহে বুদ্ধিমান প্রাণী থাকার ভাবনাটি সম্পূর্ণ যৌক্তিক মনে হবে৷

Film E.T. Der Außerirdische
ই টি ছবিতে ভিনগ্রহের প্রাণী এমনই৷ কিন্তু সত্যিই যদি বাস্তবে থাকে, তাহলে তা কেমন?ছবি: dpa

এই তো অল্প কয়েকদিন আগেই তিনি এ বিষয়ে তাঁর সর্বশেষ কথাটি জানিয়েছিলেন৷ বেশ সাবধানবাণী উচ্চারণ করেই তিনি বলেছিলেন, ভিনগ্রহের ওই প্রাণীরা পৃথিবীতে এসে এখানকার অনেক কিছুই নিয়ে যেতে পারে৷ তবে ওরা হয়তো এই জগতে থাকবে না, এই কথাও বলেছেন তিনি৷

স্টিফেন উইলিয়াম হকিং৷ যাঁকে বলা হয় বিশ্বের সমকালীন তাত্ত্বিক পদার্থবিদদের মধ্যে অন্যতম৷ হকিং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের লুকাসিয়ান অধ্যাপক৷ স্যার আইজ্যাক নিউটনও একসময় এই পদেই ছিলেন৷ একই সঙ্গে তিনি কেমব্রিজের গনভিলি এবং কেয়াস কলেজের ফেলো৷ শারীরিকভাবে ভীষণরকম অচল এবং এ.এল.এসের (এমায়োট্রফিক ল্যাটারাল স্ক্লেরোসিস বা লাউ গেহরিগ রোগ - যা একপ্রকার মোটর নিউরন রোগ) জন্য ক্রমাগতভাবে সম্পূর্ণ অথর্বতার দিকে ধাবিত হওয়া সত্ত্বেও বহু বছর যাবৎ তিনি ক্যারিয়ারকে, নিজের অনন্যসাধারণ মেধাকে সাফল্যমন্ডিত করে রেখেছেন এবং শিক্ষিত মহলে হয়ে উঠেছেন একজন খ্যাতিমান ব্যাক্তিত্ব৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়