1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভুটানে প্রথম পৌর নির্বাচন

২১ জানুয়ারি ২০১১

ভুটান তার ইতিহাসে এই প্রথম মেয়র এবং পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে চলেছে৷ এই নির্বাচন হল ২০০৮ সালে সূচিত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অঙ্গ৷

https://p.dw.com/p/100K4
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার কুনজাং ওয়াংদি (ফাইল ফটো)ছবি: AP

পৌর নির্বাচন আজ শুক্রবার শুরু হলেও সর্বত্র একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না৷ ভুটানের নির্বাচন কমিশন প্রথমে চারটি প্রধান শহরে এই ‘থ্রমডে', বা পৌরসভা নির্বাচনের ব্যবস্থা করছেন৷ থিম্পু, ফুন্টসোলিং, সামদ্রুপ জংকার এবং গেলেফু শহরগুলির ভোটাররা আজ ২১শে জানুয়ারি তাদের ‘থ্রম্পন', অর্থাৎ মেয়র নির্বাচন করবেন৷

অবশ্য এই স্থানীয় সরকার নির্বাচন দু'বছরের বেশী বিলম্বের পর ঘটছে৷ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার দাশো কুনজাং ওয়াংদি এই বিলম্বকে শিশুর দাঁত ওঠার সঙ্গে তুলনা করেছেন, কেননা তাঁর দেশ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সূচনায়:

‘‘মানুষজনের সংস্কৃতি এবং মানসিকতা এখনও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার অপেক্ষায়৷ নিজেদের কাজকর্মের দায়িত্ব নিজেদের নেওয়ার জন্য আরো বেশী প্রচেষ্টা করতে হবে৷ কাজেই পুরো প্রক্রিয়াটা সম্ভবত কিছুটা বেশী সময় নেবে৷ আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও একই কথা: সাংসদদের অধিকাংশ একেবারে আনকোরা৷ তাদের সবাই যে পেশাগতভাবে রাজনীতিক, এমনও নয়৷ এবং তাদের সংসদের কাজকর্ম চালানোর ব্যাপারেও কোনো অভিজ্ঞতা নেই৷ কাজেই সংবিধানের সূত্রগুলোকে আইনে পরিণত করতে আমাদের বেগ পেতে হয়েছে৷''

ওয়াংদি বলেন যে এবারকার প্রাক-নির্বাচন পর্ব বিশেষ ভালো হয়নি, নির্বাচনী সভাগুলো প্রায় শূন্যই ছিল:

‘‘ভুটানে ২০০৮ সাল অবধি নৃপতি এবং সরকারই সব কিছু করেছেন৷ এবং সেই মানসিকতা এখনও বজায় আছে৷ লোকে এই ভেবেই খুশী যে, সংসদীয় সরকার গঠিত হয়েছে, নির্বাচিত সরকার রয়েছে, কাজেই তাদের মাথা ঘামানোর কোনো দরকার নেই৷ তবুও এ'টা জরুরি যে তারা পৌর নির্বাচন সম্পর্কে আগ্রহী হোক৷''

নির্বাচন কমিশনের আশা যে, দোর থেকে দোরে গিয়ে ভোটার ফটো আইডি কার্ড বিলি করা ইত্যাদি যে সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেগুলির ফলে প্রচুর সংখ্যক ভোটার ভোট দিতে আসবে৷ - তবে ভোটার তালিকা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে৷ রাজধানী থিম্পুর অধিবাসী প্রায় ৮৬ হাজার৷ কিন্তু তাদের মধ্যে মাত্র ছ'হাজারের ভোটাধিকার আছে৷ আদমশুমারির সময় বাদবাকিদের নাম ওঠে অপরাপর জেলায়৷ মুখ্য নির্বাচন কমিশনের ব্যাখ্যা হল:

‘‘থিম্পুর জনসংখ্যা, তথাকথিত আবাসী জনসংখ্যা হল ভোটারদের চেয়ে অনেক গুণ বেশী - কেননা তাদের অধিকাংশই শ্রমিক, ভারতীয় শ্রমিক, যারা এখানে কাজ করছে৷ সেই সঙ্গে আছে ভারতীয় সরকারি কর্মচারীরা৷ আমরা যদি এদের ভোট দিতে দিই, তাহলে সেটা এক হিসেবে ভুল প্রতিনিধিত্ব হবে৷''

কিন্তু নির্বাচিত পৌরসভা যে সব সিদ্ধান্ত নেবে, তা সব অধিবাসীর উপরেই প্রযোজ্য হবে৷ কাজেই অনেকে ভোট না দিতে পেরে অখুশি৷ - ভোট শুরু হচ্ছে শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল আটটায়৷ পরদিনই ফলাফল ঘোষণা করা হবে এবং নৃপতিকে জানানো হবে৷ সারা দেশে পৌর নির্বাচন সম্পন্ন করতে জুন মাস হয়ে যাবে৷

প্রতিবেদন: শেরপেম শেরপা, থিম্পু

অনুবাদ: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা