1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের’ দায়ী করলেন সু চি

৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

অবশেষে মুখ খুললেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর ও নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চি৷ দেশটিতে রোহিঙ্গাদের দুর্দশা নিয়ে আন্তর্জাতিক সমালোচনায় প্রতিক্রিয়া জানালেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/2jPoF
ছবি: Reuters/E. Su

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটকে ঘিরে অনেক ভুয়া তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে এবং ‘সন্ত্রাসীরা’ এগুলো ছড়াচ্ছে৷ বিবৃতিটি প্রকাশের আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়্যেপ এর্দোয়ানের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেন সু চি৷ এর্দোয়ানকে সু চি বলেন, রোহিঙ্গা জঙ্গিরা ভুল তথ্য প্রকাশ করছে৷ অত্র অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তোলার লক্ষ্যে তারা এসব করছে বলে মন্তব্য করেন সু চি৷ ‘‘এরকম ভুয়া তথ্য, যা উপ-প্রধানমন্ত্রীকে (তুরস্কের) আহত করেছে, তা অনেক ভুল তথ্যের একটি ছোট্ট অংশ মাত্র৷ এসব তথ্য প্রচারের মাধ্যমে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সমস্যা তৈরি করা হচ্ছে,’’ সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত এই বিবৃতিতে সু চির এই বক্তব্যের উল্লেখ রয়েছে৷ উল্লেখ্য, তুরস্কের উপ-প্রধানমন্ত্রী মেহমেট সিমসেক টুইটারে কয়েকদিন আগে রক্তাক্ত কিছু ছবি শেয়ার করে মিয়ানমার সরকারের সমালোচনা করেছিলেন৷ ছবিগুলো রোহিঙ্গাদের বলে টুইট করা হয়েছিল৷ কিন্তু আসলে তা সত্য ছিল না৷ ফলে পরবর্তীতে টুইটটি মুছে দিয়েছিলেন সিমসেক৷

বিবৃতিতে সু চি আরও বলেন, ‘‘আমরা ভালো করে জানি, অন্য অনেকের চেয়ে বরং বেশি, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষা বলতে আসলে কী বোঝায়৷’’ ফলে মিয়ানমারের সব মানুষের অধিকার রক্ষার বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি৷

উল্লেখ্য, জাতিসংঘ মঙ্গলবার জানায়, ২৫ আগস্টের পর থেকে প্রায় সোয়া লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে৷ রাখাইন রাজ্যে সংঘাত বন্ধে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে জাতিসংঘ৷

এদিকে, সু চির নোবেল পুরস্কার বাতিলের দাবি জানিয়েছেন অনেক সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী৷ হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ইউরোপিয়ান মিডিয়া ডাইরেক্টর অ্যান্ড্রু স্ট্র্যোলাইনও আছেন তাঁদের মধ্যে৷

ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান এক সম্পাদকীয়তে লিখেছে, একটি দুষ্ট শাসকের সহানুভূতিহীন প্রতিমা হিসেবে সু চি আবির্ভূত হচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে৷ তসলিমা নাসরিন গার্ডিয়ানের এই বক্তব্য টুইট করেছেন৷

জেডএইচ/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)

প্রিয় পাঠক, আপনি কিছু বলতে চাইলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে...