1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এবার ফেসবুকেও গণতন্ত্র

২৫ মে ২০১৪

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতে সফল পরীক্ষার পর, এবার বিশ্বের সব দেশের ব্যবহারকারীদের জন্য ‘আই অ্যাম আ ভোটার’ বাটন চালু করতে যাচ্ছে ফেসবুক, যাতে তাঁদের ভোট দেয়ার খবর দেখে অন্যরাও উদ্বুদ্ধ হতে পারেন৷

https://p.dw.com/p/1C6AA
zum Thema Koalitionsverhandlungen - Union und SPD für bundesweite Volksabstimmungen
ছবি: picture-alliance/dpa

ফেসবুক প্রথম এই বাটন চালু করে ২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে৷ সে সময় ৯০ লাখেরও বেশি ব্যবহারকারী ভোট দিয়ে এসে ‘আই অ্যাম আ ভোটার' বাটনে ক্লিক করে সেই খবর বন্ধুদের জানিয়েছেন৷ ওই নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট হন বারাক ওবামা৷

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ভারতের লোকসভা নির্বাচনেও বাটনটি উন্মুক্ত করে ফেসবুক৷ এ নির্বাচনে ফেসবুকে নিজের ভোট দেয়ার খবর জানিয়েছেন ৪০ লাখেরও বেশি ভারতীয়৷ আর নরেন্দ্র মোদীর দল বিজেপি বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে৷

ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এক ঘোষণায় জানিয়েছে, আগামীতে অনুষ্ঠেয় বিভিন্ন দেশের জাতীয় নির্বাচনেও স্থানীয় ভোটারদের জন্য বাটনটি রাখা হবে৷ সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমকে মানুষের প্রতিদিনের জীবনের সঙ্গে আরো সম্পৃক্ত করা এবং ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ানোই এর লক্ষ্য৷

এ সপ্তাহান্তে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচন এবং কলোম্বিয়ার সাধারণ নির্বাচনেও স্থানীয় ভোটাররা তাদের ফেসবুক পৃষ্ঠায় বাটনটি দেখতে পাবেন৷ চলতি বছর দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সুইডেন, স্কটল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও ব্রাজিলের নির্বাচনেও বাটনটি রাখা হবে৷

বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রবন্ধে বলা হয়েছে, ২০০২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের সময় ফেসবুকে এ বাটন চালু করায় ৩ লাখ ৪০ হাজার ভোটার বন্ধুদের পোস্ট দেখে উৎসাহিত হয়েছেন এবং নিজেও ভোট দিতে গেছেন৷

একজন ব্যবহারকারী ‘আই অ্যাম আ ভোটার' বাটনে ক্লিক করলে তাঁর ফেসবুক বন্ধুরা কেবল তাঁর ভোট দেয়ার তথ্যই জানতে পারবেন, কাকে ভোট দিয়েছেন – সে তথ্য নয়৷

সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ কোটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টধারী চলতি বছর এ বাটন ব্যবহারের সুযোগ পাবেন, যা মোট ব্যবহারকারীর প্রায় এক তৃতীয়াংশ৷

জেকে/ডিজি (রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য