1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিঙ্গাপুরের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট

১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ভোটারদের ক্ষোভের মধ্যেই সিঙ্গাপুরের নির্বাচনী কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নিলেন, কে হবে তাঁদের পরবর্তী রাষ্ট্রপ্রধান৷ বাকি সব প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রার্থীতা বাতিল হওয়ায় হালিমা ইয়াকুবই হচ্ছেন দেশটির প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট৷

https://p.dw.com/p/2jrqd
ছবি: Reuters/E. Su

বুধবারই শেষ হয়েছে মনোনয়ন জমা দেয়ার সময়৷ ফলে ধারণা করা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বাতিল হবে এবং ইয়াকুবকেই প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করা হবে৷

‘‘নির্বাচন হোক আর না হোক, সিঙ্গাপুরের জনগণের জন্য কাজ করার যে প্রতিশ্রুতি আমি দিয়েছি, তার পরিবর্তন হবে না,’’ কয়েকদিন আগেই সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন ইয়াকুব৷

সম্পদশালী এই দ্বীপরাষ্ট্রটিতে প্রেসিডেন্টের ভূমিকা অনেকটাই আনুষ্ঠানিক৷ বৃহস্পতিবারই ছয় বছরের জন্য এই দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন ইয়াকুব, জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম স্ট্রেইট টাইমস৷

সেপ্টেম্বরের ২৩ তারিখে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল৷ পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বীও থাকার কথা ছিল৷ কিন্তু সংবিধান সংশোধন এবং নতুন নির্বাচনি আইনের ফলে বাধার মুখে পড়েন তাঁরা৷

দেশটিতে জাতিগত সংখ্যালঘুদের সমান সুযোগ দেয়ার জন্য নতুন আইনে এক একটি জাতির জন্য এক একটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সংরক্ষিত রাখার বিধান রাখা হয়েছে৷ ২০১৭ সালের নির্বাচন সংরক্ষিত শুধু মালয় জাতির জন্য৷ ফলে তাৎক্ষণিকভাবেই বাতিল হয় দুই প্রার্থীর প্রার্থীতা৷

পাশাপাশি, সিঙ্গাপুরের সংবিধান অনুযায়ী, একজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে কোনো সরকারি পদ বা অন্তত ৩৭০ মিলিয়ন ইউরো শেয়ারধারী (৩৬৪৮ কোটি টাকা) কোনো সরকারসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হয়৷ দেশটির পার্লামেন্টের সাবেক স্পিকার ইয়াকুব ছাড়া বাকিদের কারো এই যোগ্যতা না থাকায় তাকেই নির্বাচিত বলে ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ৷

সমান সুযোগ কি নিশ্চিত হচ্ছে?

ইয়াকুবকেই একমাত্র প্রার্থী ঘোষণা করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই৷ বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বয়ে যাচ্ছে সমালোচনার ঝড়৷ দ্বীপরাষ্ট্রটিতে সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণ থাকলেও সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দেশটির জনগণ শাসকদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন৷

‘‘পুরো সিঙ্গাপুরই এ ঘটনায় অখুশি, কারণ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলে মেধার মূল্যায়ন এবং স্বচ্ছ নির্বাচনি প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে,’’ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন লেখক ও রাজনীতি বিশ্লেষক সুধীর থমাস ভাড়াকেঠ৷

এডিকে/ এসিবি (এএফপি, ডিপিএ, এপি)

২০১৫ সালের ১১ নভেম্বরের ছবিঘরটি দেখুন...