1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভ্যাকসিন পেলেও ছাড় নেই জার্মানিতে

৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১

করোনার ভ্যাকসিন যাঁরা পেয়েছেন, তাঁদের জন্য আপাতত কোনো ছাড় থাকছে না জার্মানিতে। লকডাউনের নিয়ম তাঁদের মানতে হবে। 

https://p.dw.com/p/3ouSr
জার্মানি
ছবি: Tobias Steinmaurer/picturedesk.com/picture alliance

ভ্যাকসিন যাঁরা পেয়ে গেছেন, তাঁদের জন্য কি হাল্কা হবে কোভিড লকডাউনের নিয়ম? এই প্রশ্ন ঘিরেই বিতর্ক শুরু হয়েছে জার্মানিতে। এথিক্স কাউন্সিল বিষয়টি নিয়ে তাদের অভিমত জানিয়েছে। তবে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, কোনো ভাবেই আপাতত কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

গত নভেম্বর মাস থেকে জার্মানিতে লকডাউন চলছে। প্রথমে লকডাউনের নিয়ম হাল্কা থাকলেও ডিসেম্বরে কড়াকড়ি বাড়ানো হয়। বার, রেস্তোরাঁ, সিনেমা হল বন্ধ। বন্ধ জিম, সুইমিংপুল। ডিসেম্বরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল-কলেজও। তারই মধ্যেই ডিসেম্বরের শেষ পর্বে শুরু হয়েছে টিকাকরণ।

আপাতত আশি বছরের বেশি বয়স যাঁদের এবং তাঁদের সাহায্যকারীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ভ্যাকসিন অপ্রতুল। সকলের ভ্যাকসিন পেতে এখনো বহু দিন সময় লাগবে। সে কথা মাথায় রেখেই এক শ্রেণির মানুষ দাবি তুলেছেন, ভ্যাকসিন যাঁরা পাচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে নিয়মকানুন শিথিল করা হোক। সিনেমা হলে যাওয়া, রেস্তোরাঁয় যাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের যেন আর বাধা না থাকে। কিন্তু সব পক্ষ তা মানতে রাজি নয়। 
 
বেশ কয়েকটি ভ্রমণ সংস্থা এবং কিছু রাজনীতিবিদ এই অভিমতটিকে সমর্থন করেন। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস প্রকাশ্যেই একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি মনে করেন, টিকা পেয়ে গেলে ওই ব্যক্তিদের ছাড় দেওয়া উচিত। বাড়িতে আটকে রাখা উচিত নয়। বেশ কিছু ভ্রমণ সংস্থাও দাবি করেছে, টিকা পাওয়া ব্যক্তিদের নিয়ে তারা বেড়ানোর আয়োজন করতে পারে। 

কিন্তু সকলে এই মত সমর্থন করেন না। জার্মানির বামপন্থী দলের নেত্রী কাটজা কিপ্পিং এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন। চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলও এর বিরোধিতা করে বলেছেন, ''জার্মানিতে টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। এখন যদি দেখা হয়, কে টিকা নিয়েছেন, আর কে নেননি, তাহলে তা ব্যক্তিগত তথ্যে হস্তক্ষেপ হবে। সে কাজ করা যাবে না।''

এথিক্স কমিটির বক্তব্য, টিকা নিলে যে সংক্রমণ ছড়ায় না, এমন তথ্য এখনো সামনে আসেনি। বিশেষজ্ঞরা সে বিষয়ে স্পষ্ট তথ্য দিলে তবেই এই দাবি নিয়ে এগনোর কথা ভাবা সম্ভব। 

এসজি/জিএইচ (ডিপিএ, এপি)