1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মধ্যপ্রাচ্যে বিক্ষোভ অব্যাহত

১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১১

বাহরাইনের রাজধানী মানামার পার্ল স্কোয়ারে মোতায়েন করা সেনাবাহিনী ও সামরিক যান শনিবার প্রত্যাহার করা শুরু হয়েছে৷ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে দাঙ্গা পুলিশ এবং পুলিশের প্রায় ৬০টি গাড়ি৷

https://p.dw.com/p/10KVv
ছবি: dapd

এরপর হাজার হাজার বিক্ষোভকারী আবার জমায়েত হতে থাকেন পার্ল স্কোয়ারে৷ এর আগে বাদশা শেখ হামাদ বিন ইসা আল-খলিফা চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানে জাতীয় স্তরে সংলাপের জন্য নির্দেশ দেন যুবরাজকে৷ তবে এই সংলাপের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে বিরোধী শিয়া গ্রুপ ওয়েফাক৷

বাহরাইনের প্রিন্স শেখ সালমান বিন হামাদ আল-খলিফার দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বাহরাইনের রাজপথ থেকে সব সেনাকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন প্রিন্স৷ বাদশার দরবারের উত্তরসূরি ও সশস্ত্র বাহিনীর উপপ্রধান হামাদ জানান, আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকবে প্রিন্স৷

অন্যদিকে ইয়েমেনে সরকার সমর্থকদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছে৷ রাজধানী সানার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শনিবার এই ঘটনা ঘটে৷ ইয়েমেনে সরকার সমর্থকরা বন্দুক, লাঠি, পাথর নিয়ে ক্যাম্পাস এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা তাদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোড়ে৷ এসময় দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে৷ এক পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি৷ এবং বুলেটের আঘাতে নিহত হন এক শিক্ষার্থী৷ এর আগে শুক্রবার ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আলি আব্দুল্লাহ সালেহ'র সমর্থকরা লাঠি ও কুড়াল নিয়ে বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা করলে কমপক্ষে ৪জন নিহত হন৷ গত কয়েক সপ্তাহ থেকেই শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রেসিডেন্টের বাসভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছেন৷ কিন্তু প্রতিদিনই ইট-পাটকেল ছুড়ে সরকার সমর্থকরা বাধা দিয়ে আসছে তাদের৷

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, আরব-বিশ্বের সরকারের উচিত এইসব আন্দোলনের প্রতি সংযম দেখানো৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম