1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনা আজ মিশরে

১৮ জুলাই ২০১০

মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে মিশরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের সঙ্গে আলোচনা করতে কায়রো যাচ্ছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু৷

https://p.dw.com/p/OOLX
মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনা মিশর মুবারক ইসরায়েল গাজা ফিলিস্তিন নেতানিয়াহু middle east peace process hosni mubarak egypt palestine israel
মিশরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকছবি: AP

তাঁদের সঙ্গে যোগ দেবেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত জর্জ মিচেল৷ তবে ফিলিস্তিনি ও ইরসরায়েলের শীর্ষ নেতার মধ্যে সরাসরি আলোচনার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন মিশরের কর্মকর্তারা৷

শান্তি আলোচনার অগ্রগতি কতদূর

এখন পর্যন্ত আসলে কোনো অগ্রগতি হয়েছে – একথা বলা যাবেনা৷ কারণ সরাসরি আলোচনায় যেতে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট আব্বাস শনিবার দু'টি শর্তের কথা বলেছিলেন৷ এগুলো না মানলে তাঁরা সরাসরি আলোচনায় বসবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন আব্বাস৷ কিন্তু এ ব্যাপারে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ইসরায়েল৷

জর্জ মিচেলের মধ্যপ্রাচ্য সফর

জর্জ মিচেলের মধ্যপ্রাচ্য সফরের ফলে শান্তি প্রক্রিয়ার কোনো অগ্রগতি হলো কি না তা এখনো বোঝা যাবেনা৷ কারণ তিনিও কিন্তু এখন কায়রোতে রয়েছেন৷ এবং ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি নেতাদের সঙ্গে মুবারকের সাক্ষাতের সময় কিন্তু মিচেলও উপস্থিত থাকবেন৷ অর্থাৎ মুবারক ও মিচেল দু'জনে মিলেই আব্বাস আর নেতানিয়াহুকে সরাসরি আলোচনায় বসতে রাজি করানোর চেষ্টা করবেন৷ তাই এই দুই আলোচনা শেষেই আসলে বোঝা যাবে মিচেল সফল হলেন কি না৷

আব্বাস-মিচেল বৈঠক

বৈঠক সম্পর্কে ফিলিস্তিনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, আব্বাস মিচেলের কাছ থেকে কিছু বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পরিষ্কার মনোভাব জানতে চেয়েছেন৷ বিশেষ করে পূর্ব জেরুসালেমে ইসরায়েল যে নতুন বসতি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে ব্যাপারে৷ কারণ পূর্ব জেরুসালেমকে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী করতে চায় ফিলিস্তিনিরা৷ তাই সেখানে যে কোন ধরণের ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের বিরুদ্ধে তাঁরা৷ এছাড়া ইসরায়েল বসতি স্থাপন পুরোপুরি বন্ধ করলেই কেবল সরাসরি আলোচনা সম্ভব বলে জানিয়ে দিয়েছিল ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ৷ তবে ইদানিং সেই শর্ত থেকে ফিলিস্তিনিরা সরে এসেছে বলে মনে হচ্ছে৷ কারণ প্রেসিডেন্ট আব্বাসের মুখে গতকালই শোনা গেল কিছু নতুন শর্তের কথা ৷ এর মধ্যে রয়েছে, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের সীমানা নির্ধারণ৷ আব্বাস চান, ১৯৬৭ সালে মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের আগে ফিলিস্তিনের যে সীমানা ছিল, সেটা মেনে নিক ইসরায়েল৷ এছাড়া ফিলিস্তিন সীমানায় পাহারায় রাখতে চান আন্তর্জাতিক বাহিনীকে৷ আসলে এই প্রস্তাবটা এসেছে ইসরায়েলের কারণেই৷ কারণ সীমানায় ফিলিস্তিনিরা নিজেদের পাহারা বসাবে, এটা চায় না ইসরায়েল৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন