1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনা আবারো শুরু করতে চান বাইডেন

৮ মার্চ ২০১০

সোমবার তাঁর মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু করলেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন৷ উদ্দেশ্য একটাই - মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু করা৷ এ সফরে বাইডেন ইসরায়েল, প্যালেস্টাইন, মিশর ও জর্ডানের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন৷

https://p.dw.com/p/MN5c
ছবি: picture-alliance/ dpa

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দায়িত্ব গ্রহণের পর, বাইডেনই হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে উচ্চপদস্থ ব্যক্তি যিনি মধ্যপ্রাচ্য সফর করছেন৷ বলাই বাহুল্য, প্রেসিডেন্ট ওবামা ইসরায়েলের নিরাপত্তার ব্যাপারে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা পালন করাই মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের মূল লক্ষ্য৷

এদিকে, প্যালেস্টাইন এবং ইসরাইলের মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা গত প্রায় ১৪ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে৷ এমনকি, এই আলোচনা আবারো শুরু করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক তৎপরতাও কোনো কাজে আসেনি৷ তার ওপর, গাজায় সাম্প্রতিককালের যুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েলবিরোধী ফিলিস্তিনি সংগঠন ‘প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন' বা পিএলও ইসরায়েলের সঙ্গে কোনরকম আলাপচারিতায় আগ্রহী নয়৷ তাই ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট শান্তি আলোচনা শুরু করার শত চেষ্টা করার পরও ব্যর্থ হয়েছেন৷

তবে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এই সফর, মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনায় একটি নতুন দিকের সন্ধান দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ এ ব্যাপারে প্রধান ফিলিস্তিনি আলোচক সায়েব এরাকাত বলেন, ‘‘শান্তি আলোচনার এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত কিছুতেই ছেড়ে দেওয়া উচিৎ নয় ইসরায়েলের৷ সেটা হলে আন্তর্জাতিক সমাজের সামনে আমরা মুখ দেখাতে পারবো না৷ কিন্তু ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান বসতিস্থাপন এ অঞলের ভবিষ্যতকে সংঘাতের পথে ঠেলে দিচ্ছে৷''

ওদিকে, ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ফতাহ্ আন্দোলন ইসরায়েলের সঙ্গে পরোক্ষ শান্তি আলোচনার সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই৷ ফতাহ্'র এক মুখপাত্র জানান, প্রথমে শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলাপ চলবে৷ ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি আলাপ-আলোচনা হবে না৷ অর্থাৎ, এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আব্বাস তাঁর পূর্বের অবস্থান থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন৷ উল্লেখ্য, এযাবৎ নতুন আলাপ-আলোচনার পূর্বশর্ত হিসেবে পশ্চিম জর্ডান এবং পূর্ব জেরুসালেমে ইসরায়েলের বসতি নির্মাণ পুরোপুরি বন্ধ করার দাবি জানান আব্বাস৷ যা মেনে নিতে কিছুতেই রাজি নয় ইসরায়েল৷ তবে এ ব্যাপারে গত শনিবার ইসরায়েলি সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিশেষ মার্কিন দূত জর্জ মিচেল৷ কথা বলেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু'র সঙ্গেও৷ নেতানিয়াহু'র কথায়, ‘‘আমরা বরাবরই বলে এসেছি এবং আন্তর্জাতিক সমাজ এটা জানে যে, আমরা শান্তি আলোচনা শুরু করার পক্ষে৷ আর শুধু শুরুই নয়, এ আলোচনার শেষও দেখতে চাই আমরা৷ তাছাড়া, গত প্রায় ৩০ বছর ধরে জো বাইডেন-এর সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব৷ তাই স্বাভাবিকভাবেই, তাঁর এই সফর একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক পদক্ষেপ৷''

অবশ্য বিশ্লেষকদের মতে, মুসলিম বিশ্ব, বিশেষ করে মিশর, সৌদি আরব এবং ইন্দোনেশিয়া সফরের ফলে প্রেসিডেন্ট ওবামা'কে বিশেষ বিশ্বাস করে না ইসরায়েল৷ সুতরাং, এবার যদি ইসরায়েল শান্তি আলোচনার ব্যাপারে নমনীয় হয়, তাহলে এটা বুঝতেই হবে যে ইসরায়েলের প্রতি পর্যাপ্ত সমর্থন রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের৷

প্রতিবেদক : দেবারতি গুহ

সম্পাদনা : সাগর সরওয়ার