মধ্যপ্রাচ্য সফরে অ্যাশটন, পূর্ব জেরুসালেমে সংঘর্ষ
১৬ মার্চ ২০১০ভেঙে পড়া মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনা প্রসঙ্গে অ্যাশটন জানান, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক দিক দিয়ে শান্তি আলোচনায় ইইউ কিভাবে সমর্থন যোগাতে পারে তা দেখতেই সশরীরে মধ্যপ্রাচ্যে উপস্থিত তিনি৷
বিশেষজ্ঞরাও মনে করছেন মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আলোচনা জোরেশোরে শুরু করতে এগিয়ে আসতে হবে সব পক্ষকে৷ ইউরোপীয়ান পলিসি সেন্টার-এর বিশেষজ্ঞ সায়েদা ইসলাম এই প্রসঙ্গে বলেন,রাজনৈতিক চাপ সেখানে আছে তবে আমি বলবো ইউরোপীয় ইউনিয়ন সত্যিকার অর্থে তা শক্তভাবে বা কার্যকরভাবে ব্যবহার করেনি৷ তারা যদি সম্মিলিতভাবে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসে তাহলে তা হবে বিশাল অগ্রগতি৷ তবে এটাও ঠিক ক্যাথরিন অ্যাশটন বা অন্য যেই মধ্যপ্রাচ্যে যান না কেন শান্তি আলোচনায় সবসময়ই অ্যামেরিকার আধিপত্য বজায় থাকবে৷
এদিকে, পূর্ব জেরুসালেমে ইসরায়েলের নতুন বসতি নির্মাণকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে৷ সংশ্লিষ্ট এলাকায় এক শীর্ষ হামাস নেতার আহ্বানে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে আসে কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি৷ এরপরই বাধে সংঘর্ষ৷
এখন পর্যন্ত যা খবর তাতে নিরাপত্তা বাহিনীর রাবার বুলেট, সংজ্ঞালোপকারী গ্রেনেড আর কাঁদানে গ্যাসের আঘাতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী৷ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানিয়েছে, আহত আটজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ এছাড়া গ্রেপ্তারও হয়েছেন অন্তত ৪২ জন প্রতিবাদকারী৷
ইসরায়েলী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বসতিনীতি অব্যাহত রাখার কথা জানিয়ে নতুন করে যে বক্তব্য রেখেছেন সে সম্পর্কে আল ফাতাহ গোষ্ঠীর সচিব ও প্যালেস্টাইন সরকারের মন্ত্রী মাহের ঘুনাইম জানিয়েছেন, একথা যাঁরা বলেন তাঁরা আদতে শান্তি চাননা৷ ১৯৬৭ সাল থেকেই জেরুসালেম দখলিত অঞ্চল৷ যে প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছি আমরা, এই শহর তারই অংশ৷ ফলে সব রকমের বসতি স্থাপন কার্যক্রম এবং জেরুসালেমের ইহুদীকরণের সব পদক্ষেপ বন্ধ করতে হবে৷
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আলোচনা নিয়ে এহেন অরাজক পরিস্থিতির কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকায় এক সফর স্থগিত করেছেন মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ মার্কিন দূত জর্জ মিচেল৷ এই মাসের শুরুতে মিচেল জানিয়েছিলেন ইসরায়েলের সঙ্গে পরোক্ষ শান্তি আলোচনায় রাজি প্যালেস্টাইন৷ এরপরই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু পূর্ব জেরুসালেমে ১৬০০ নতুন বসতি নির্মাণের ঘোষণা দেয়৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিষয়টির তীব্র সমালোচনা করলেও নিজের অবস্থান থেকে সরে আসতে রাজি নন নেতানিয়াহু৷
প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক