1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মধ্য এশিয়ায় মানবাধিকারের প্রশ্নে সোচ্চার বান কি-মুন

৩ এপ্রিল ২০১০

মধ্য এশিয়ায় সফর শুরু করেই মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে সোচ্চার হলেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন৷ তুর্কমেনিস্তানের রাষ্ট্রপ্রধানের সাথে বৈঠকে তিনি সেখানে মানবাধিকার সংরক্ষণে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করার আহ্বান জানান৷

https://p.dw.com/p/MmQs
জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনছবি: AP

তুর্কমেন রাষ্টপ্রধানের গুরবাঙ্গুলি বের্ডিমুখামেদভের সাথে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বান কি-মুন বলেন, ‘‘আমি সরকারের প্রতি মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক নীতিমালার সকল শর্তাবলী পূরণ করতে এবং এই দেশের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল সনদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য আহ্বান জানিয়েছি৷'' তিনি বলেন, ‘‘তুর্কমেনিস্তানের উন্নয়ন এবং সার্বিক দিক থেকে আধুনিকীকরণের জন্য সুশীল সমাজের ভূমিকাকে আরো কাজে লাগানোর জন্যও এই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে উৎসাহিত করেছি৷'' এছাড়া দেশটিতে কারাবন্দিদের অবস্থা সম্পর্কেও বের্ডিমুখামেদভের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি এবং এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান৷

বান কি-মুনের এই সফরকে স্বাগত জানিয়ে বের্ডিমুখামেদভ বলেন, ‘‘এটা আমাদের জন্য একটি বিশেষ প্রাপ্তি৷ তুর্কমেনিস্তানের সাথে জাতিসংঘের সহযোগিতার ক্ষেত্রে এটি একটি নতুন অধ্যায়৷'' তবে বান কি-মুন ঐ অঞ্চলের এবং বিশেষ করে তুর্কমেনিস্তানে মানবাধিকার রক্ষার উপর জোর দিলেও বের্ডিমুখামেদভের কণ্ঠে সেই প্রসঙ্গ উচ্চারিত হতে শোনা গেল না একটিবারও৷

এই সফরে তুর্কমেনিস্তানের পর সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্র কিরঘিজস্তান, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান এবং কাজাখস্তান যাওয়ারও কথা রয়েছে বান কি-মুনের৷ এসব দেশে অস্ত্র হ্রাস, জলবায়ু পরিবর্তন এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনায় বেশি গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের৷ তবে সফর শুরুর আগেই ঐ অঞ্চলের মানবাধিকার পরিস্থিতির দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার জন্য বান কি-মুনের প্রতি খোলা চিঠিতে আহ্বান জানিয়েছিল মানবাধিকার সংস্থা ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ'৷

এদিকে, জাতিসংঘ মহাসচিবের সফরের আগ দিয়েই গণমাধ্যমের উপর নতুন দমন পীড়নের ঘটনা ঘটল কিরঘিজস্তানে৷ দেশটিতে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপের ঘটনায় নতুন সংযোজন ঘটল সেখানকার আদালতের শুক্রবার দেওয়া রায়ের মধ্য দিয়ে৷ আদালতের এক রায়ে বিরোধীদলের একটি সংবাদপত্র নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ এছাড়া একইদিনে স্থানীয় ইন্টারনেট ভিত্তিক একটি টেলিভিশন চ্যানেলে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ৷

সেখান থেকে বেশ কিছু কম্পিউটারসহ সম্প্রচার সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে স্ট্যান-টিভি কর্তৃপক্ষ৷ প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ইলিয়া শিভোখিন বলেন, ‘‘প্রশাসন আমাদের কাজ স্তব্ধ করে দিয়েছে৷ আমাদের নিরপেক্ষ অবস্থান এবং সরকার বিরোধীদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আলোচনা করার কারণেই৷''

প্রতিবেদক: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়