1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মমতা ও মাওবাদি, সংসদে কোণঠাসা সরকার

১৯ আগস্ট ২০১০

পশ্চিম মেদিনীপুরের লালগড়ে মাওবাদিদের বিষয়ে রেলমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিতর্কিত মন্তব্যের প্রেক্ষিতে, বিরোধিপক্ষ সরকারকে এবিষয়ে তার অবস্থান স্পষ্ট করার দাবি জানায়৷

https://p.dw.com/p/OrU6
রেলমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ছবি: UNI

এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সরকার ও বিপক্ষ দলের কথা কাটাকাটিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সংসদ৷ প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বারবার বলেন, মাওবাদিরা দেশের নিরাপত্তার পক্ষে ঘোরতর হুমকি৷ তাই সেখানে তাঁরই সরকারের একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রী হয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায় কী করে মাওবাদিদের খোলাখুলি সমর্থন করতে পারেন !

বৃহস্পতিবার সংসদের উচ্চ কক্ষ রাজ্যসভায় সিপিএম-আই নেতা সীতারাম ইয়েচুরি তার জবাব চান৷ রেলমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় কী বলেছেন৷ তিনি নাকি যৌথবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত মাওবাদি শীর্ষ নেতা আজাদকে শহীদের সঙ্গে তুলনা করে এটাকে হত্যা বলেছেন এবং এর বিচারবিভাগীয় তদন্ত চেয়েছেন৷ ইয়েচুরির প্রশ্ন, সংবিধানের নামে শপথ নিয়ে একজন মন্ত্রি কী করে সরকারের বিরুদ্ধে যেতে পারেন৷ সংবিধান কী একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে মাওবাদি সহিংসতা সমর্থনের অনুমতি দেয়৷ বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ মনে করেন, দেশের নিরাপত্তা যারা বিঘ্নিত করছে তাদের মোকাবিলা করা সরকারের যৌথ দায়িত্ব৷ ইয়েচুরি তাঁর বক্তব্য রাখার ঠিক আগে প্রধানমন্ত্রী সভাকক্ষ থেকে চলে যান৷ মমতার কথিত মন্তব্য সরকারকে যে রীতিমত বিড়ম্বনায় ফেলেছে, প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতিকে বিরোধিরা সেভাবেই ব্যাখ্যা করছেন৷

Naxalite Soldat
মাওবাদিরা দেশের নিরাপত্তার পক্ষে ঘোরতর হুমকি !ছবি: AP

মমতা বন্দোপাধ্যায় এমাসের ৯ তারিখে লালগড়ে দেওয়া তাঁর বক্তব্যে অনড়৷ তিনি যা বলেছেন, তা তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী হিসেবে বলেছেন, সরকারের হয়ে বলেননি৷ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সব সমস্যার সমাধান করতে হবে আলোচনার মাধ্যমে, হিংসা বর্জন করে৷ আমরা চাই সব শ্রেণীর মানুষ জাতীয় জীবনের মূলস্রোতে সামিল হোক৷মমতার কথা সমর্থন করে কংগ্রেস মুখপাত্র মনীশ তেওয়ারি বলেন, মমতা হিংসার পথ ছেড়ে আলোচনায় বসার ডাক দিয়েছেন মাওবাদিদের৷ এতে অন্যায় কোথায়? উল্লেখ্য, মাওবাদিদের তরফে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, আলোচনায় মমতার মধ্যস্থতায় তাদের আপত্তি নেই, যদি তাদের শর্ত সরকার মেনে নেয়৷ যেমন, যৌথবাহিনী প্রত্যাহার, তিন মাস অস্ত্রবিরতি, আজাদের মৃত্যুর বিচার বিভাগীয় তদন্ত, ইত্যাদি৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়