1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মহাকাশে বিদ্যুতের ব্যবহার

২৯ জুলাই ২০২০

মহাকাশে বৈদ্যুতিক শক্তির ব্যবহারকে আরো উন্নত করতে কাজ করছেন ইন্দোনেশিয়ার এক নারী গবেষক৷ রেডিও-আইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটরকে আরো দক্ষ করে গড়ে তুলতে জার্মানির কোলনের একটি গবেষণাকেন্দ্রে দিনরাত পরিশ্রম করছেন তিনি৷ 

https://p.dw.com/p/3g8AD
Indien: Chandrayaan-2
ছবি: picture-alliance/dpa/Indian Space Research Organization

মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে তথ্য পাঠাতে বৈদ্যুতিক শক্তি কেমন করে পায় আর্থ স্টেশনগুলো? এর জন্য রেডিও-আইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর বা আরটিজি হলো অন্যতম মাধ্যম৷ কোলন শহরে আকাশ ও মহাকাশ ভ্রমণ সংক্রান্ত এই গবেষণা কেন্দ্রে সারাবিশ্বের বিজ্ঞানীরা তেমনই একটি থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর তৈরি করতে একত্রিত হয়েছেন৷

ইন্দোনেশিয়ার হাসবুনা কামিলা তাদের একজন৷ তিন বছরের বেশি সময় ধরে তিনি এই দলটিতে কাজ করছেন, যারা কিনা জেনারেটরটিকে আরো কেমন করে দক্ষ করে গড়ে তোলা যায় সে চেষ্টা করছেন৷

কামিলা বলেন, ‘‘আমার গবেষণার উদ্দেশ্য হলো থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটরে পি-টাইপ উপাদান অপটিমাইজ করা৷ এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ পি-টাইপের দক্ষতা উপাদানগুলোর গঠনের ওপর নির্ভর করে৷’’

তিনি যোগ করেন, ‘‘পি-টাইপ উপাদানটিকে থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটরের জন্য অপটিমাইজ করা হলো তা যেন মডিউল হিসেবে ব্যবহার করা যায়৷ তবে আমি পুরো জেনারেটরটি তৈরির ক্ষেত্রে খুবই ক্ষুদ্র একটি অংশ নিয়ে কাজ করি, যা হয়তো ভবিষ্যতে মহাকাশযান বা গাড়িতে ব্যবহার করা যাবে৷’’

মহাকাশের যে গবেষণায় নারীরাই এগিয়ে

তবে গবেষক দলটির প্রধান ইয়োহানেস দ্য বোরের মতে, কামিলার কাজের পরিধি কম হলেও অনেক বেশি কার্যকরী৷ কামিলার গবেষণার ফলে তাপবর্জ্যের সর্বোচ্চ ব্যবহারের সুযোগ তৈরি হতে পারে, যা বিদ্যুতের দক্ষ জ্বালানির উৎস হবে৷

‘‘মিলা যে কাজটি করছেন, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ এই যে ছোট ছোট পা, ছোট স্তম্ভগুলো দেখছেন, এগুলোর অর্ধেক এন-টাইপ ও অর্ধেক পি-টাইপ উপাদান দিয়ে তৈরি,’’ বলেন বোর৷

বিজ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা থেকেই মিলা কাজের প্রেরণা পান৷ তার মতে, বিজ্ঞানীরা পৃথিবীতে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব রাখতে পারেন৷

জটিল এই গবেষণায় বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে বিজ্ঞানীরা একসাথে হয়েছেন৷ তাদের মেধা এর ফলাফলের ওপর প্রভাব ফেলবে বৈকি৷ যেটি বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয় তা হল, এখানে নারী গবেষকদের সংখ্যা বেশি৷

জার্মানিতে পিএইচডি গবেষণা করার আগে কামিলা ইন্দোনেশিয়ার বান্দুং প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটে গবেষণা সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন৷ ইন্দোনেশিয়ায় ফিরে তিনি তার অ্যাকাডেমিক গবেষণা চালিয়ে যেতে চান৷

টংগি টেওডোরা সিরেগার/জেডএ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান