মহান স্বাধীনতা দিবসের স্মৃতি ও অঙ্গীকার
২৬ মার্চ ২০১১স্বাধীনতা দিবস সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিবেদনে বর্তমানের যে বিশেষ বিষয় উঠে এসেছে, সে'টি হল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টি৷ সমকাল লিখেছে: ‘স্বাধীনতার ৪০ বছর পূর্তির দিনটিতে বাংলার মানুষ... আসন্ন আরেকটি বিজয়ের চূড়ান্ত ক্ষণের প্রতীক্ষায় উদ্বেলিত থাকবে৷ দিন গুনবে যুদ্ধাপরাধীদের চূড়ান্ত বিচার ও সেই রায় কার্যকরের মাধ্যমে কলঙ্কমোচন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আশায়৷'
যুগান্তর লিখেছে: ‘সরকারের অবহেলা ও অসহযোগিতায় প্রতিষ্ঠার এক বছরেও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের মুখোমুখি করা যায়নি... চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের৷... ট্রাইব্যুনালের কর্মকর্তা ও আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তাদের অবস্থা - ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দারের মতো৷ জনবল, কারিগরি সহযোগিতা ও নিরাপত্তার অভাবে তদন্ত দলের কয়েকজন সদস্য এরই মধ্যে পদত্যাগের ইঙ্গিত দিয়েছেন৷'
বিশ্বখ্যাত সাময়িকী দি ইকোনমিস্ট'এর গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে লিখেছে যে, যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া এক অশুভ মোড় নিয়েছে৷ বিচার প্রক্রিয়ার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার সম্ভাবনার ব্যাপারেও ইকোনমিস্ট বিশেষ আশাবাদি নয়৷
ড. ইউনূস তো ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল'কে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন৷ তিনি আবারো জানিয়েছেন যে, তাঁর কোনো রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ নেই৷ তিনি কারো জন্যই রাজনৈতিক হুমকি নন৷ এবং গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রম কি অন্য কোনো বিষয়ে সমস্যা থাকলে, তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে প্রস্তুত, এবং তা ঘটলে তিনি নিজেকে সম্মানিত বোধ করবেন৷ সমকাল এবং যুগান্তর, উভয় পত্রিকাতেই ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকারটি সম্পর্কে প্রতিবেদন আছে৷ ইত্তেফাক এবং আরো কয়েকটি পত্রিকা যোগ করেছে যে, ড. ইউনূসকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের নিন্দা করেছেন বাংলাদেশের ১৩ জন বিশিষ্ট নাগরিক৷
সরকার লিবিয়া ফেরৎ শ্রমিকদের নিয়ে দুশ্চিন্তায়, বলছে সমকাল৷ তবে সমস্যাটা লিবিয়ায় সীমাবদ্ধ নয়, মধ্যপ্রাচ্য অবধি বিস্তৃত৷ ফিরে আসা শ্রমিকদের পুনর্বাসনের ব্যাপারে সরকার নাকি স্থানীয় ব্যবসায়ী ও দাতাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন৷
গ্রন্থনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার