1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মহাশূণ্যযান কাছ থেকে অবলোকন করলো তার ভ্যালেন্টানইনকে

১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১

ভ্যালেন্টাইন্স ডে তে ভালোবাসার মানুষ যেমন একজন একজনের কাছে এসে ভালোবাসার কথা জানায়, তেমনি একটি নভোযানও খুব কাছাকাছি এলো এক ধূমকেতুর৷

https://p.dw.com/p/10Hgd
ছবি: dpa - Bildfunk

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মহাশূণ্যে চালকবিহীন এই নভোযানের মাধ্যমে খুব কাছ থেকে তোলা ধূমকেতুটির ছবি দেখার সুযোগ পেলেন৷ মহাশূণ্যযান স্টারডাস্ট নেক্সট প্রতি সেকেন্ডে ১০ দশমিক ৯ কিলোমিটার বেগে ধূমকেতু টেম্পেল ওয়ান এর ১৭৮ কিলোমিটার অতিক্রম করেছে৷ এখন বিজ্ঞানীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ঐ ধূমকেতুর তোলা বাহাত্তরটি ছবি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা নিয়ে৷ কেননা, এই প্রথমবারের মতো তাঁরা এত কাছে থেকে তোলা ধূমকেতুর ছবি দেখার সুযোগ পেয়েছেন৷ এবং ধূমকেতুর এমন কিছু অংশের ছবি পেয়েছেন যা আগে পাননি৷

কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী জো ভেভেরকা, যিনি এই মিশনটির নেতৃত্ব দিয়েছেন, বললেন, ছবি বলছে ধূমকেতুটিতে ক্ষয় দেখা দিয়েছে৷ ২০০৫ সালে আরেকটি মহাশূণ্যযান এটি পরিদর্শন করেছিলো৷ সেই ছবির সঙ্গে তুলনা করলে পার্থক্যটা চোখে পড়ে৷ ছবিগুলো হাতে পাওয়ার কয়েক ঘন্টা পর বার্তা সংস্থা রয়টার্স কে তিনি বলেন,‘‘ আমাকে যদি প্রশ্ন করেন এই মিশন কি শতভাগ সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে? তাহলে আমাকে বলতে হবে ‘না'৷ কারণ এটা একশ' ভাগ নয় এক হাজার ভাগ সফল হয়েছে৷''

২০০৫ সালে নভোযান ডিপ ইমপ্যাক্ট ধূমকেতুটির ভেতরের অবস্থা দেখার জন্য টেম্পল ওয়ানের একটি অংশ ভেঙে ফেলেছিলো৷ ফলে তখন এতে গর্ত সৃষ্টি হয়েছিলো৷ এবং তার ভেতর থেকে বেরিয়ে এসেছিলো ধূলোবালি৷ নতুন ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে, সেই গর্তের চারপাশে ধূলোবালি ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় গর্তটা অনেকটাই অস্পষ্ট হয়ে গেছে৷

জ্যোতির্বিজ্ঞানী পেট শল্টজ বলেন, দেড়শো মিটার প্রশস্ত এই গর্ত দেখে ধূমকেতুটির ভেতরের উপাদান নরম বলেই অনুমান করা হচ্ছে৷ কেননা, গর্ত থেকে যেসব ধূলোবালি বেরিয়ে এসেছিলো সেগুলো বেশিরভাগই আবার গর্তে ফিরে গেছে৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়