1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
স্বাস্থ্য

‘মাংসে নয়, দুধে অ্যান্টিবায়োটিকের খবর পাওয়া যাচ্ছে'

সমীর কুমার দে ঢাকা
১৯ জুলাই ২০১৯

দুধ বা মাংসে নানা ধরনের অ্যান্টিবায়োটিকের অস্তিত্ব মিলেছে৷ এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় কি করছে? কী উদ্যোগ নিচ্ছেন? এসব বিষয়ে ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলেছেন মৎস ও প্রাণীসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু৷

https://p.dw.com/p/3MJzH
Pseudomonas aeruginosa Bakterium
ছবি: Imago/Science Photo Library

ডয়চে ভেলে : সম্প্রতি কিছু গবেষণায় মাংসে এবং দুধে অ্যান্টিবায়োটিকসহ ক্ষতিকর উপাদানের অস্তিত্ব মিলছে৷ এতে নানা ধরণের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে৷ সরকারের সাফল্যে এই বিষয়গুলো কি কোনো প্রভাব ফেলছে?

আশরাফ আলী খান খসরু : গরুর মাংসে যেটা পাওয়া যাচ্ছে সেটা হঠাৎ৷ অনেক সময় কৃষক না বুঝে গরুকে অ্যান্টিবায়োটিক দিচ্ছে৷ সেটা কিন্তু হঠাৎ৷ প্রাণী সম্পদে এখন এগুলো থেকে অনেক মুক্ত৷ আগে যখন বিদেশ থেকে গরু আসত তখন অনেক কিছুই থাকত৷ এখন আর ওই সমস্যা নেই৷ এরপরও অশিক্ষিত মানুষ অনেক সময় এটা করে ফেলেন৷ হঠাৎ করে এমন একটা কিছু হতে পারে৷ তবে সবসময় যে হচ্ছে সেটা কিন্তু না৷

এ নিয়ে তো নানামুখী আলোচনা হচ্ছে৷ এই আলোচনার পর আপনাদের উদ্যোগটা কি?

চোর তো সবখানেই আছে: প্রতিমন্ত্রী

আমাদের মাংসের চাহিদা খাসি, গরু বা মহিষ দিয়ে পূরণ হচ্ছে৷ তবে মাঝে মধ্যে পোল্ট্রিতে এটা পাওয়া যাচ্ছে৷ চোর তো সবখানেই আছে৷ হয়ত কোথাও নিম্নমানের খাবার তৈরি করছে, সেখানে হয়ত এই সমস্যাটা হচ্ছে৷ আমরা তো বিদেশেও মাংস রপ্তানি করছি৷ মাংসে যদি অ্যান্টিবায়োটিক বা অন্য জীবাণু থাকতো তাহলে তারাও তো মাংস নিত না৷ তারা তো ল্যাবরেটরিতে টেস্ট করেই মাংস নেয়৷

প্রাণীর উৎপাদন বাড়াতে গিয়ে যে খাবার দেওয়া হচ্ছে, তা কোনো রোগ বয়ে আনছে কি-না? তা কি কখনও পরীক্ষা করে দেখা হয়?

আমাদের প্রাণী সম্পদে বাইরের খাবার খুব একটা ব্যবহার হয় না৷ গাভী বলেন, ছাগল বলেন- এদের খাবার সামান্য ইমপোর্ট হয়৷ খড়, ঘাস, কুড়া, খৈল এগুলো দিয়েই খাবার চাহিদা পূরণ হয়৷ আমাদের পোল্ট্রিতে কিছু লাগে৷ আমরা মিট বর্ন অ্যান্ড মিল আগে যেটা আসত সেটা আমরা নিষিদ্ধ করে দিয়েছি৷ এখন ফিস বর্ন আসে, যাতে ওই উপাদান খুবই কম৷

যাঁরা এগুলো উৎপাদন করছেন, তারা কি এসব পরীক্ষা করেন? এ নিয়ে আপনাদের কাছে কি কোন রিপোর্ট দেয়?

খাবারের মান পরীক্ষা করা হয়৷ আমাদের এজন্য টিম আছে৷ যারা ভেজাল করে মাঝে মধ্যেই তাঁদের ধরা হয়, জেল-জরিমানাও করা হয়৷ এখানে স্ট্যান্ডার্ড খাবারই দেওয়া হয়৷

প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয় এগুলোর মান নিয়ে কি কোন গবেষণা করে?

নিশ্চয় করে৷ গবেষণা করে দেখেই ধরা পড়ে৷ আমরা আরো আধুনিক গবেষণাগার করছি৷ এর বাইরেও সায়েন্স ল্যাবরেটরি বা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে পরীক্ষা করার সুযোগ আছে৷

আপনাদের বাজার মনিটরিং সিস্টেমটা কেমন?

এটা দুই ধরনের৷ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় তাদের পক্ষ থেকে মনিটরিং করা হয়৷ অন্য জায়গায় ইন্সপেক্টর আছে, ভেটেরেনরি সার্জন আছেন, তারা পরীক্ষা করেন৷

রান্না করা মাংস বা অন্য খাবার ফ্রিজে রাখলে পরে কিভাবে সেটা খেতে হবে তার কিছু নিয়মকানুন আছে৷ এগুলোর মান সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে আপনাদের কোন কর্মসূচি আছে কি?

আমাদের কোন কর্মসূচি নেই৷ তবে মানুষ জানে কিভাবে ফ্রিজের খাবার খেতে হয়৷ যাঁদের ফ্রিজ আছে তারা তো শিক্ষিত পর্যায়ের মানুষ, তারা এগুলো জানেন৷

দুধে বা মাংসে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া যাচ্ছে? মন্ত্রণালয় এগুলো নিয়ে কি কাজ করছে?

মাংসে না৷ দুধে অ্যান্টিবায়োটিকের খবর পাওয়া যাচ্ছে৷ কিন্তু আমাদের ফার্মে যে দুধ উৎপাদন হচ্ছে সেখানে এমন হয় না৷ তবে বিচ্ছিন্নভাবেও তো দুধ উৎপাদন হচ্ছে৷ অনেক সময় দেখা যাচ্ছে আমাদের কৃষক না বুঝেও অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার করছেন৷ এসব বিষয়ে আমরা সচেতন, বন্ধ করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷

অনেকেই গরু মোটা করতে কিছু ওষুধ ব্যবহার করেন? এগুলো কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন?

এখন আর ওষুধ ব্যবহার হয় না৷ এখন বৈজ্ঞানিক উপায়েই হচ্ছে৷ আমাদের মাঠকর্মীরা এগুলো দেখভাল করে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য